ETV Bharat / city

গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণা, গ্রেপ্তার 2 - two arrested for bank fraud

একটি নামী গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ ৷ 2 জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ৷

ধৃত দুই ব্যক্তি
author img

By

Published : Aug 24, 2019, 8:05 AM IST

কলকাতা, 24 অগাস্ট : একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জীবনদীপ ব্রাঞ্চে অ্যাকাউন্ট রয়েছে একটি নামী গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার । আর ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ । ঘটনার তদন্তে নেমে 2 ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।

পুলিশ সূত্রে খবর, 1 জুন শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার । তখন সদ্য সেখানে যোগ দিয়েছেন তিনি । জানান, মে মাসের শেষদিকে তিনি একটি ফোন পান । ওপ্রান্ত থেকে গাড়ি প্রস্তুতকারী ওই সংস্থার নাম করে বলা হয়, "ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলছি "৷ তারপর নানা কথা ‌‌। এমন ভাবে ওই ব্যক্তি কথা বলে যে, তাকে বিশ্বাস করে ফেলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার । কয়েকদিনের মধ্যে ফের ফোন আসে । ২১.০৫ লাখ টাকা ওভারড্রাফট চায় । ম্যানেজারের সংশয় দূর করতে হোয়টসঅ্যাপে মূল অ্যাকাউন্টের মতো দেখতে চেক পাঠায় । বিশ্বাস করে ফেলেন ম্যানেজার । ফান্ড ট্রান্সফার করা হয় তিনটি ব্যাঙ্কের তিনটি অ্যাকাউন্টে । দু'দিন পরও ওই টাকা ফেরত না আসায় সন্দেহ হয় ম্যানেজারের । তিনি ফোন করেন ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার আসল ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে । বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছে তাঁর ব্রাঞ্চ । সঙ্গে সঙ্গে 8 লাখ 33 হাজার টাকা আটকে দেন তিনি । তারপরই অভিযোগ করেন শেক্সপিয়র সরণি থানায় ।

ঘটনার গুরুত্ব বুঝে শেক্সপিয়র সরণি থানা এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে তদন্তে নামে । খতিয়ে দেখা যায়, যে সিম কার্ডের নম্বর থেকে ফোন এসেছিল ওই ব্রাঞ্চে, সেটি উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের ঠিকানায় এক ব্যক্তির নামে নেওয়া । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বুঝতে পারে, ওই ব্যক্তি এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নয় । পুলিশের কাছে সূত্র থাকে তিনটি অ্যাকাউন্ট নম্বর । যে নম্বরে ট্রান্সফার করা হয়েছিল টাকা । জানা যায়, তিনটের মধ্যে দুটি অ্যাকাউন্ট নম্বর বিহারের বৈশালীর এক ব্যক্তির । সেখান থেকেই তোলা হয় টাকা । তখনই তদন্তের জট খোলে । বিহারে যায় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল । বৈশালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সন্তোষ কুমার দাস এবং পঙ্কজ কুমার নামে দুই ব্যক্তিকে । তাদের ট্রানজ়িট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে । পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে আরও কয়েকজন । তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ।

কলকাতা, 24 অগাস্ট : একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের জীবনদীপ ব্রাঞ্চে অ্যাকাউন্ট রয়েছে একটি নামী গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার । আর ওই সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ । ঘটনার তদন্তে নেমে 2 ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ ।

পুলিশ সূত্রে খবর, 1 জুন শেক্সপিয়র সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্রাঞ্চের ম্যানেজার । তখন সদ্য সেখানে যোগ দিয়েছেন তিনি । জানান, মে মাসের শেষদিকে তিনি একটি ফোন পান । ওপ্রান্ত থেকে গাড়ি প্রস্তুতকারী ওই সংস্থার নাম করে বলা হয়, "ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলছি "৷ তারপর নানা কথা ‌‌। এমন ভাবে ওই ব্যক্তি কথা বলে যে, তাকে বিশ্বাস করে ফেলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার । কয়েকদিনের মধ্যে ফের ফোন আসে । ২১.০৫ লাখ টাকা ওভারড্রাফট চায় । ম্যানেজারের সংশয় দূর করতে হোয়টসঅ্যাপে মূল অ্যাকাউন্টের মতো দেখতে চেক পাঠায় । বিশ্বাস করে ফেলেন ম্যানেজার । ফান্ড ট্রান্সফার করা হয় তিনটি ব্যাঙ্কের তিনটি অ্যাকাউন্টে । দু'দিন পরও ওই টাকা ফেরত না আসায় সন্দেহ হয় ম্যানেজারের । তিনি ফোন করেন ওই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার আসল ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে । বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছে তাঁর ব্রাঞ্চ । সঙ্গে সঙ্গে 8 লাখ 33 হাজার টাকা আটকে দেন তিনি । তারপরই অভিযোগ করেন শেক্সপিয়র সরণি থানায় ।

ঘটনার গুরুত্ব বুঝে শেক্সপিয়র সরণি থানা এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে তদন্তে নামে । খতিয়ে দেখা যায়, যে সিম কার্ডের নম্বর থেকে ফোন এসেছিল ওই ব্রাঞ্চে, সেটি উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের ঠিকানায় এক ব্যক্তির নামে নেওয়া । তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বুঝতে পারে, ওই ব্যক্তি এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নয় । পুলিশের কাছে সূত্র থাকে তিনটি অ্যাকাউন্ট নম্বর । যে নম্বরে ট্রান্সফার করা হয়েছিল টাকা । জানা যায়, তিনটের মধ্যে দুটি অ্যাকাউন্ট নম্বর বিহারের বৈশালীর এক ব্যক্তির । সেখান থেকেই তোলা হয় টাকা । তখনই তদন্তের জট খোলে । বিহারে যায় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল । বৈশালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সন্তোষ কুমার দাস এবং পঙ্কজ কুমার নামে দুই ব্যক্তিকে । তাদের ট্রানজ়িট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে । পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে আরও কয়েকজন । তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে ।

Intro:কলকাতা, ২৩ অগাস্ট: স্টেট ব্যাংকের জীবনদীপ ব্রাঞ্চে অ্যাকাউন্ট রয়েছে টপসেল টয়োটার। এমন অ্যাকাউন্টের প্রতি ব্যাংক ম্যানেজারের বিশ্বাস স্বাভাবিক। সেই বিশ্বাসকে কাজে লাগিয়েই ব্যাঙ্ক প্রতারণা করা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে ২ ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। Body:পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১ জুন শেক্সপিয়ার সরণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্টেট ব্যাংকের জীবনদীপ ব্রাঞ্চের ম্যানেজার। তখন সদ্য সেখানে যোগ দিয়েছেন তিনি। জানান, মে মাসের শেষদিকে তিনি একটি ফোন পান। ওপ্রান্ত থেকে বলা হয়,“ টপসেল টয়োটার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলছি।" তারপর নানা কথা‌‌। এমন ভাবে ওই ব্যাক্তি কথা বলেন যে, তাকে বিশ্বাস করে ফেলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। কয়েকদিনের মধ্যে ফের ফোন আসে। ২১.০৫ লাখ টাকা ওভারড্রাফট চান তিনি। ম্যানেজারের সংশয় দূর করতে হোয়টস অ্যাপে মূল একাউন্টের মত দেখতে চেক পাঠান তিনি। বিশ্বাস করে ফেলেন ম্যানেজার। ফান্ড ট্রান্সফার করা হয় SBI, OBC, J&K ব্যাঙ্কের তিনটি অ্যাকাউন্টে। দুদিন পরেও ওই টাকা ফেরত না আসায় সন্দেহ হয় ম্যানেজারের। তিনি ফোন করেন টয়োটার আসল ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে। বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছে তার ব্রাঞ্চ। সঙ্গে সঙ্গে 8 লাখ 33 হাজার টাকা আটকে দেন তিনি। তারপরেই অভিযোগ করেন শেক্সপিয়ার সরণি থানায়।
Conclusion:ঘটনার গুরুত্ব বুঝে শেক্সপিয়ার সরণি থানা এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ যৌথভাবে তদন্তে নামে। খতিয়ে দেখা যায়, যে সিম কার্ডের নম্বর থেকে ফোন এসেছিল ওই ব্রাঞ্চে, সেটি উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুরের ঠিকানায় এক ব্যক্তির নামে নেওয়া। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ বুঝতে পারে, ওই ব্যক্তি এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশের কাছে সূত্র থাকে তিনটি অ্যাকাউন্ট নম্বর। যে নম্বরে ট্রান্সফার করা হয়েছিল টাকা। জানা যায়, তিনটের মধ্যে দুটি একাউন্ট নাম্বার বিহারের বৈশালীর এক ব্যাক্তির। সেখান থেকেই তোলা হয় টাকা। তখনই তদন্তের জট খোলে। বিহারে যায় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল। বৈশালী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সন্তোষ কুমার দাস এবং পঙ্কজ কুমার নামে দুই ব্যক্তিকে। তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে আরও কয়েকজন। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.