কলকাতা, 23 জুলাই: দীর্ঘ প্রায় 27 ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর ইডি (ED) আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ৷ আর তারপর থেকেই যেন ভোল বদলে গিয়েছে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) ! শুক্রবার দলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে ইডি, সিবিআই-কে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল ৷ রাজ্যের আর এক মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, ইডি, সিবিআই-এর আচরণে দলের কোনও সদস্যের যদি শারীরিক বা মানসিক সমস্যা হয়, তাহলে তার দায় কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই নিতে হবে ৷ তখন তৃণমূলও ছেড়ে কথা বলবে না ! অথচ, শনিবার সকালে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় গ্রেফতার হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বকে সেভাবে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায়নি ৷ বরং দলের অন্যতম নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে দলের দূরত্ব বজায় রাখার উপরেই জোর দিয়েছেন ৷
অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের ফ্ল্যাট থেকে 21 কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পরই কুণাল ঘোষ বলেন, ওই তরুণীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই। অতএব, এ নিয়ে তৃণমূলের কিছু বলার থাকতে পারে না ৷ যাঁর বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তিনিই এর জবাব দেবেন ৷ অথবা, তাঁর আইনজীবীকে এই টাকার সুলুকসন্ধান দিতে হবে ৷
শনিবার সকালেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি ৷ তারপর কুণাল ঘোষকে এই গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমরা এই বিষয়ে একটি মন্তব্যও করব না ৷" এরপর প্রশ্ন করা হয় দলের সাংসদ সৌগত রায়কেও (Saugata Roy) ৷ কিন্তু, তাঁর কাছ থেকেও কোনও নতুন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷ পরবর্তীতে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে ইটিভি ভারতের তরফে ফোন করা হয় ৷ কিন্তু, তাঁরা হয় ফোন ধরেননি, অথবা প্রশ্ন শুনে ফোন রেখে দিয়েছেন ! এই প্রেক্ষাপটে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, শুক্রবার রাতে তৃণমূলের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরও কেন হঠাৎ নির্বাক হয়ে গেল দলীয় নেতৃত্ব ! এর জবাব অবশ্য মেলেনি ৷