কলকাতা, 28 জুলাই : দীনেশ ত্রিবেদীর (Dinesh Trivedi) ছেড়ে যাওয়া রাজ্য়সভার আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) প্রার্থী জহর সরকার (Jawhar Sircar) ৷ বুধবার তিনি বিধানসভায় গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন ৷
এদিন দুপুর 1টা নাগাদ তিনি বিধানসভায় আসেন ৷ দুপুর তিনটের কিছু আগে বিধানসভার সচিবের হাতে তাঁর মনোনয়নপত্র তুলে দেন । মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ । এদিন তৃণমূলের দশ বিধায়কের সমর্থনে বিধানসভায় মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee : আমি রাজনৈতিক জ্যোতিষী নই, 2024 নিয়ে মমতা
রাজ্যসভায় আসন পাকা জহর সরকারের । এবার তৃণমূলের হয়ে মোদি বিরোধিতায় সুর চড়াবেন জহরবাবু । কারণ, প্রসারভারতীর এই প্রাক্তন সিইও বরাবর নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিরোধী বলেই পরিচিত ৷ আমলা থাকাকালীনই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আর তার নীতির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছেন তিনি । অবসরের পরবর্তী সময়েও সেই ঝাঁঝ আরও বাড়িয়েছেন তিনি ।
তৃণমূলের তরফে দীনেশ ত্রিবেদীর আসনে একাধিক নাম ঘোরাফেরা করলেও নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জহর সরকারের নামে সিলমোহর দেন । সেই মতোই আজ বিধানসভায় এসে রাজ্যসভায় মনোনয়ন জমা দিলেন জহর সরকার ।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: দিল্লিতে তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে মমতা
প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) বলেন, ‘‘আমরা একাধিক মনোনয়ন পত্র তৈরি রেখেছি জহরবাবুর জন্য । বিধানসভায় আমাদের 212টি আসন রয়েছে । যার মধ্যে 10 জন বিধায়কের সমর্থনে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে জহরবাবুকে । কোনও ভুলভ্রান্তি যাতে না হয়, তাই একাধিক সেট রয়েছে ।’’
এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর জহর সরকার জানিয়েছেন, দলনেত্রী তাঁকে যে গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন, তা দায়িত্ব সহকারে পালন করবেন ৷ একই সঙ্গে তিনি জানান যে কেন্দ্রের মোদি সরকার বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন বিরোধী নেতা-নেত্রীকে নিজেদের বশে নিয়ে নিয়েছে ৷ একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যেই লড়াকু মনোভাব দেখা যাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন : জাগোবাংলায় কলম ধরলেন অজন্তা, অনিলকন্যার অবস্থান ঘিরে কৌতূহল
এদিকে এই আসনে বিজেপিও প্রার্থী দিতে পারে বলে খবর ৷ কারণ, রাজ্য়সভার ভোটের নিয়ম অনুসারে দলের হুইপ অমান্য করে কেউ ভোট দিলে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যায় ৷ এই হিসেবে বিজেপির প্রার্থীকে ভোট না দিলে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাবে ৷ তাই মুকুলকে বিপাকে ফেলতে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিজেপি ৷