কলকাতা, 28 অক্টোবর : বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নেট দুনিয়ায় প্রতরণার ফাঁদ ৷ প্রতারকদের কাজ এতটাই নিপুণ যে সেই প্রতরণার ফাঁদে পা-দিয়ে টাকা খোয়াচ্ছেন অনেকেই ৷ করোনাকালে লোক ঠকানো কিছুটা বন্ধ থাকলেও, সম্প্রতি করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হতেই ফের প্রতারকরা ব্যস্ত নিজেদের কাজে ৷
লালবাজার সূত্রের খবর, পুজোর আগে থেকে এই ধরনের প্রতারণার একাধিক অভিযোগ লালবাজারে জমা পড়েছে ৷ প্রত্যেক ক্ষেত্রেই প্রতারণার ধরন প্রায় এক প্রকারেরই। কীভাবে কাজ করছে এই প্রতারণা চক্র ? লালবাজার সূত্রের খবর, এই চক্রের নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় মাথা। প্রতারকরা মূলত ভিনরাজ্যের। একাধিক ইন্টারনেট কলের মাধ্যমে এমনটা করে থাকে ৷ ফলে অধিকাংশ সময়ই ফোন নম্বর ট্র্যাক করতে সমস্যায় পড়তে হয় গোয়েন্দাদের ৷ এদের নজর থাকে মূলত কীভাবে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করা যায়, তার দিকে।
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার একাধিক সরকারি বা সরকারের সঙ্গে যুক্ত ওয়েবসাইট রয়েছে ৷ কিন্তু করোনাকালে যা বন্ধ রয়েছে ৷ প্রতারকরা সেই সকল বন্ধ থাকা সরকারি ওয়েবসাইট থেকে একাধিক তথ্য নিয়ে এই কাজ করে থাকে ৷ মানুষের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য সেই সব ওয়েবসাইটগুলি নকল করে একাধিক জায়গায় বিজ্ঞাপনও দেয়। এক্ষেত্রে সাবলীল বাংলা জানা ছেলেমেয়েদের এই কাজে ব্যবহার করে থাকে ৷
কিন্তু কীভাবে ভিনরাজ্যের প্রতারকরা বাংলা জানা ছেলে মেয়েদের কাজে নিচ্ছে ? এক্ষেত্রে ভুয়ো কলসেন্টারগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। করোনাকালে বেকারত্ব বেড়েছে ৷ ফলে শহরের আনাচেকানাচে আগাছার মত গজিয়ে উঠছে ভুয়ো কলসেন্টার ৷ সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের ক্রাইম মিটিংয়ে নগরপাল সৌমেন মিত্র গোয়েন্দা বিভাগকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে শহরের ভুয়ো কলসেন্টারগুলিকে খুঁজে বের করতে ৷ সেই মতো শহরের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে একাধিক ভুয়ো কলসেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
আরও পড়ুন : ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা, এক মহিলা-সহ গ্রেফতার 9
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলিধর শর্মা জানান, একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে লালবাজারে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লালবাজার সূত্রের খবর, নেট দুনিয়ায় প্রতরকদের পাশাপাশি গোয়েন্দারাও নিজেদের জাল বিস্তার করেছে। কোথাও কোনও ঘটনা নজরে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।