কলকাতা, 3 নভেম্বর: রাজ্যে বাসের ভাড়া না বাড়ালে আর কোনওভাবেই বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি জানিয়ে আসছিলেন বেসরকারি বাস মালিকরা ৷ আজ আবারও পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সাফ জানিয়ে দিলেন যে এই রাজ্যে বাড়ানো হবে না বেসরকারি বাসের ভাড়া। বিকল্প উপায়ে বাস চালাবার বিষয়ে পরিকল্পনা করছে রাজ্য। আজ পরিবহণ ভবনে এক বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকের পর একথাই জানান মন্ত্রী।
বাসভাড়া বাড়ালে যাত্রীদের উপর বাড়তি বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হবে। এই বাড়তি বোঝা কোনওভাবেই যাত্রীদের উপর এই বাড়তি বোঝা চাপানো যাবে না বলে স্পষ্টতই জানিয়ে দেন পরিবহণমন্ত্রী। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে বেসরকারি বাস মালিকরা একেবারেই ভাল পরিস্থিতিতে নেই ৷ তাই, তাদের কথা চিন্তা করেই বিকল্প উপায় বাস চালাবার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। কীভাবে সিএনজি ও ইলেকট্রিক বাস আরও বেশি করে রাস্তায় নামানো যায় তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করবে পরিবহণ দফতর। এই নিয়ে আগামী 17 নভেম্বর আবারও বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ফিরহাদ হাকিম। পুণে থেকে বিশেষজ্ঞরা এসে ব্যাটারিচালিত বাস নিয়ে তাদের পরামর্শ দেবেন।
পুরোনো ডিজেল চালিত বাসের ইঞ্জিনকে কীভাবে ব্যাটারিতে রূপান্তরিত করা যায় আর তাতে খরচই বা কত পড়তে পারে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই পুণের এক সিএনজি ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও চলছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। বৈঠকের পর বাসমালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রদীপ নারায়ণ বসু বলেন যে, "আমরা সামান্য অনুদান নিয়ে বাস চালাচ্ছি। ডিজেলের দাম প্রায় 102 টাকা ছুঁই ছুঁই এভাবে তো আর চালানো সম্ভব নয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমাদের এখন চিন্তাভাবনা করতে হবে। মন্ত্রীর সঙ্গে আজ আমাদের বৈঠক হয়েছে। তিনি নিজেও ব্যাপারটা নিয়ে খুব চিন্তিত। আবার বৈঠক হবে আর তার পরেই সমস্ত বিষয়টা মন্ত্রী জানাবেন। তাই সরকারি পর্যায়ে বিকল্প উপায় বাস চালাবার ভাবনা চিন্তা চলছে।"
আরও পড়ুন: কালীপুজোর রাতে এক ফোনেই শব্দবাজি রুখবে লালবাজার
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বৈঠকের পর জানান যে, "বাস মালিকদের পাশাপাশি আমরা সিএনজি সংস্থার সঙ্গেও আলোচনা করছি। সিএনজি এ কিটের দাম যদি কম করা যায় তাহলে কেন তাতে বাস চলবে না? তাই ভাইফোঁটার ঠিক পরেই ব্যাঙ্কের সঙ্গেও অর্থনৈতিক দিকগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে এবং দেখব যে বাস মালিকদের পাশে কতটা দাঁড়ানো যায়। এমাসেই আবার আমরা বাস মালিকদের সঙ্গে এই বিষয় বৈঠক করব।"