কলকাতা, 20 জুলাই : তৃণমূল কংগ্রেসের 21 জুলাই শহিদ স্মরণ এবার ভার্চুয়াল হতে চলেছে ৷ কোরোনা ভাইরাসের কারণে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ভার্চুয়াল সমাবেশের কথা জানিয়েছেন ৷ ভার্চুয়াল সমাবেশের জন্য প্রত্যেক বুথে ব্যবস্থা থাকছে ৷ পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে শহিদদের স্মরণ করা হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷
1993 সালের 21 জুলাই যুব কংগ্রেসের ডাকে মহাকরণ অভিযান হয় ৷ অভিযান ঘিরে গন্ডগোল থামাতে গুলি চালায় পুলিশ ৷ প্রাণ হারান 13 জন যুব কংগ্রেস কর্মী ৷ সেই ঘটনার স্মরণে প্রতি বছর 21 জুলাই পালিত হয় শহিদ দিবস ৷ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পরও 21 জুলাই পালন করেন মমতা ৷ 2011-য় ক্ষমতায় আসার পর শহিদ দিবসকে সামনে রেখে দলীয় শক্তির আস্ফালন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অন্তত তেমন মত ৷ প্রতিবছর 21 জুলাই উপলক্ষ্যে ধর্মতলা চত্বরে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় ৷ বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের সমাবেশে যোগ দেওয়ার উৎসাহ থাকে ৷ তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দল ৷ 21 জুলাইকে সামনে রেখে তৃণমূলের অন্দরে রীতিমতো সাজো সাজো রব থাকে ৷ 2021-এ বিধানসভা নির্বাচন ৷ তার আগে এবছরের সমাবেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল বলে মনে করা হচ্ছিল ৷ কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের সামগ্রিক পরিস্থিতির জেরে কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না ৷ তাই সামাজিক দূরত্ববিধির কথা মাথায় রেখে ভার্চুয়াল সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কালীঘাটের বাড়ি থেকে তিনি ভার্চুয়াল সমাবেশে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য রাখবেন ৷ শহিদদের পরিবারকে এবার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না ৷ তাঁদের এই বিষয়ে চিঠি লিখে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মমতা ৷ পাশাপাশি দলের আর এক নেত্রী দোলা সেন শহিদদের বাড়িতে গিয়ে উত্তরীয়, ফুল ও মিষ্টি দিয়ে আসেন ৷
দলনেত্রীর নির্দেশে রাজ্যের প্রত্যেক বুথে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ বুথগুলিতে দলের 30 জন কর্মী ও সমর্থক থাকবেন ৷ সামাজিক দূরত্ব মানতে পর্যাপ্ত আসনের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে জেলা তথা বুথ নেতৃত্বকে ৷ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পতাকা উত্তোলন, শহিদ বেদিতে মাল্যদান করা হবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে ৷ পাশাপাশি দলের নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের এলাকার সাধারণ মানুষ যাতে ভার্চুয়াল সমাবেশে যোগ দিতে পারেন, তা নজরে রাখবেন ৷ তবে প্রত্যেকবার ধর্মতলা চত্বরে এসে শহিদ সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহ থাকত তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ৷ এবছর কোরোনার সংক্রমণের ভয় রয়েছে ৷ তাহলে কি এবার দলের সদস্য ও সমর্থকদের একপ্রকার জোর করে আনতে হবে? তৃণমূল নেতা বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জোর করে লোক আনার প্রয়োজন নেই ৷ প্রত্যেক বুথে দলের সংগঠন রয়েছে ৷’’