কলকাতা, 3 অগাস্ট : BJP-র বিভিন্ন জনসংযোগ কর্মসূচি "চুরি" করছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ গতকাল এই মন্তব্য করলেন BJP-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা । তিনি বলেন, "ভাড়া করা মাস্টারমশাই দিয়ে, অন্য দলের কার্যক্রম চুরি করে খুব বেশি এগোনো যায় না ৷"
লোকসভা ভোটে রাজ্যে ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত, জনসংযোগের ঘাটতির মাসুল গুনতে হয়েছে তৃণমূলকে ৷ তাই 2021 সালের বিধানসভা ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াতে প্রশান্ত কিশোরের উপর ভরসা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সম্প্রতি সাধারণ মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনতে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি চালু করেছে তৃণমূল ৷ লক্ষ্য, মানুষের আরও কাছে পৌঁছাতে হবে ৷ পাশাপাশি, ধাপে ধাপ আরও বেশ কয়েকটি জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে তৃণমূল ৷ গতকালও তৃণমূলের তরফে "আমার গর্ব মমতা" নামে একটি ফেসবুক চালু করা হয়েছে ৷ ওয়াকিবহল মহলের বক্তব্য, পুরোটাই প্রশান্তের মস্তিষ্কপ্রসূত ৷
এই সংক্রান্ত আরও খবর : "দিদিকে বলো", চালু টোল ফ্রি নম্বর
তবে, তৃণমূলের কর্মসূচিগুলিকে পাত্তা দিতে নারাজ রাহুল ৷ তাঁর বক্তব্য, BJP-র অনুকরণ করছে তৃণমূল ৷ কিন্তু, তা করলেও কোনও লাভ হবে না ৷ কারণ, জনভিত্তি হারিয়েছে তৃণমূল ৷ তাঁর কথায়, "তৃণমূলের সঙ্গে মানুষই নেই । তাই কে কাকে বলবে দিদিকে বলো? প্রথম দিনই দিদিকে বলতে গেল, বলতে পারল না । দিদিকে লোক কী বলবে? দিদিকে লোকেরা জয়শ্রীরাম বলবে । আর কী বলবে? সেই কারণে হোয়াটসঅ্যাপ তৃণমূলের কয়েকজন কার্যকর্তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে । মানুষের সঙ্গে এর কোনও যোগসূত্র থাকবে না ৷"
এই সংক্রান্ত আরও খবর : দিদির মধ্যে মমতা ছাড়া সবকিছু রয়েছে : অরবিন্দ মেনন
রাহুল বলেন, তৃণমূলের আসল রূপ রাজ্যের মানুষের সামনে প্রকাশ পেয়েছে ৷ তাই কোনও কর্মসূচি করেই কিছু হবে না ৷ তাঁর বক্তব্য, "এটা (তৃণমূল) একটা প্রতারকদের পার্টি ৷ কাটমানিখোরদের পার্টি ৷ মিথ্যাবাজদের পার্টিটা । তাই মানুষের আর কোনও আগ্রহ নেই তৃণমূলের প্রতি । দিদিকে নিয়ে গর্ববোধ তারাই করবে যারা দিদির স্তাবক । মানুষ যদি দিদিকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন, তাহলে দিদির জনমোহনী অতীত আজ ধূলোয় মিশে যেত না ৷ দিদির এখন এমন অবস্থা, লোক না হওয়ার জন্য তাঁকে পদযাত্রা করতে হচ্ছে । গাড়ি থেকে নেমে যেতে হচ্ছে । "