কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: তবে কি এবার বিজেপির পথেই হাঁটছে তৃণমূল ! এর আগে আমজনতার উদ্দেশ্যে প্রার্থী হওয়ার বার্তা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল বিজেপি ৷ বলেছিল, দলের প্রার্থী হতে চাইলে সদর দপ্তরে রাখা ড্রপবক্সেই ফেলা যাবে আবেদনপত্র ৷ এবার সেই একই কাজ করল তৃণমূলও ৷ প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের জন্য তৃণমূল ভবনেই বসানো হল ‘ড্রপবক্স’ ৷
সূত্রের খবর, তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী হতে চাইলে এই ড্রপবক্সেই আবেদন জানাতে পারবেন আগ্রাহীরা। তারপর যোগ্য়তা মাফিক আবদেনকারীদের মধ্যে থেকে প্রার্থী বেছে নেবে দলীয় নেতৃত্ব তথা স্টিয়ারিং কমিটি ৷ সর্বোপরি মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় স্বয়ং ৷
ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, দলের অন্দরের কোন্দল সরিয়ে প্রার্থী বাছাই করতেই এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছে তৃণমূল ৷ ড্রপবক্স রাখার আরও একটি কারণ রয়েছে। তৃণমূল সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ড্রপবক্সে দল ও নেতা সম্পর্কিত যেকোনও অভিযোগও জানানো যাবে ৷ দলের এক শীর্ষ নেতৃত্বের কথায়, ‘‘তৃণমূল একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। নির্দিষ্ট নীতির ভিত্তিতে এই দল চলে। দলনেত্রী নিজে মানুষের উন্নয়নকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেন। অর্থাৎ ড্রপবক্সের মাধ্যমে দলের শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়াও চলবে ৷
আরও পড়ুন: পৌরভোটে BJP-র প্রার্থী হওয়ার দরবার, সদর কার্যালয়ে বসল "ড্রপবক্স"
এদিকে, গত শনিবারই ভোট মরশুমে তৃণমূলের নতুন স্লোগান তোলেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ নাগরাকাটার সভামঞ্চ থেকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেন, ‘‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’’৷ রবিবার এই স্লোগানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে দলীয় নেতৃত্ব ৷ উপস্থিত ছিলেন দলের উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি অতীন ঘোষ, জীবন সাহা প্রমূখ।
এদিনের অনুষ্ঠানে অতীন বলেন, ‘‘যে বহিরাগতরা বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চায়, তাদের বিদায় করবে বাংলার মানুষই। হাথরস, উন্নাও, বলরামপুরে নারী নিপীড়নের নায়ক যারা, সেই পৈশাচিক শক্তির ঠাঁই নেই বাংলায়। এই বাংলার নারীরা মা দুর্গার আশীর্বাদে দুর্দমনীয়। তাঁদের অপমান বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নেবেন না ৷ রুখে দাঁড়াবেন বরাবরের মতোই ৷ পাশে থাকবে বাংলার মানুষ। মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যারা দেশের ক্ষমতায় এসে মানুষকে লুঠ করেছে, তাদের বাংলার মানুষ জবাব দেবে ভোটবাক্সে। বাংলার মানুষ অর্থের প্রলোভনে নিজেদের সম্মান বিকিয়ে দেবে না। জননেত্রীর নেতৃত্বে বাংলায় জারি থাকবে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ। কারণ ,সাগর থেকে পাহাড়, জনগণের রায়, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’৷’’