কলকাতা, 30 এপ্রিল : "নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী । একটা প্রধানমন্ত্রী বিধায়ক বেচা কেনা করছে । হর্স ট্রেডিং চলছে এখন । এই একটাই কারণে তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত ।" প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গতকালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ তীব্র প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ।
গতকাল উত্তর 24 পরগনার ভাটপাড়ায় এক নির্বাচনী জনসভায় মোদি বলেন, "এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের 40 জন বিধায়ক আমার সাথে যোগাযোগ রাখছেন ।" সেই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকালই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে নরেন্দ্র মোদির প্রার্থীপদ বাতিলের আবেদন করে তৃণমূল কংগ্রেস । রাজনৈতিক মহলেও উঠেছে নানান প্রশ্ন ।
আজ ভদ্রেশ্বেরে একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে মুকুল রায়কেও তীব্র আক্রমণ করে মমতা । তিনি বলেন, "ওর বিরুদ্ধে হাওয়ালার অভিযোগ আছে । ও হাওয়ালাকাণ্ডে জড়িত । আমি ভদ্রলোক তাই নির্বাচন চলছে বলে কিছু বলছি না । ও তো সারদা, নারদা, হাওয়ালার দালাল । ও এখন মোদির এক নম্বর লোক ।"
40 জন তৃণমূল বিধায়ক BJP-র সাথে যোগাযোগ রাখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "হর্স ট্রেডিং চলছে এখন । এই একটাই কারণে তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত । একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে বলেন আমার সাথে 40 জন বিধায়ক যোগাযোগ করছে ? অ্যান্টি ইলেকশন কথা বলছে । অসাংবিধানিক কথা বলছে । আগে চা ওয়ালা ছিল, সঙ্গে ছিল কেটলি । আর এখন আছে জেটলি ।"
অন্যদিকে, তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে দলের বিধায়কদের সম্পর্কে মোদি ইচ্ছে করে এই মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন । তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে তিনি কমিশনে অভিযোগ জানানোর বিষয়টি সামনে আনেন । তৃণমূলের তরফ থেকে কমিশনে যে চিঠি পাঠানো হয়, তাতে জানানো হয়, "ঘোড়া কেনা বেচার কথা বলে ভোটারদের কিনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন মোদি । তাই তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত ।"
অন্যদিকে, গতকাল মোদির এই মন্তব্যের পর পশ্চিমবঙ্গে ভোটপরবর্তী রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে নানান প্রশ্ন । কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইট করে বলেন, "মোদিজির দাবি তৃণমূলের 40 জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে । এটা কী ঘোড়া বেচাকেনা না ? প্রকাশ্যে কেনা বেচার কথা বলে BJP কী নিজের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা দেখাচ্ছে না ? "