কলকাতা, 13 জুন : শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য নিয়ে প্রতিবাদ তৃণমূলের (TMC Protest against Suvendu Adhikari Comment on New Chancellor Bill) । সোমবার ভোটাভুটিতে রাজ্য বিধানসভায় পাস হয়েছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পরিবর্তন বিল । এই বিলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Bengal Opposition Leader Suvendu Adhikari) ।
তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই বিলের ভবিষ্যৎ বাংলার নাম পরিবর্তন নিয়ে আনা রাজ্য সরকারের বিলের মতোই হবে । বিল রাজ্যপাল পাঠাবেন রাষ্ট্রপতির কাছে । এই বিল পাস হলেও রাজ্যপাল তাতে স্বাক্ষর করবেন না । তিনি বিল দিল্লিতে পাঠাবেন । শেষে বিল পড়ে থাকবে । আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Bengal CM Mamata Banerjee) আচার্য হওয়া হবে না ।’’
বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যে রীতিমতো রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল (Trinamool Congress) । আর তাঁর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজ্যের শাসক দল বলছে, বিজেপি পার্টি অফিস থেকে রাজভবন পরিচালিত হচ্ছে । রাজ্যপাল চলছেন বিজেপির কথায় । আর তাই রাজ্যপাল কি করবেন আগেভাগেই বলে দিচ্ছেন বিরোধী দলের নেতারা ।
প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভায় নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu) । বিধানসভা কক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, বিল পাস হওয়ার আগেই এই বিল নিয়ে রাজ্যপাল কী করবেন, তা বাতলে দিচ্ছেন বিজেপি বিধায়কেরা । এর থেকেই স্পষ্ট বিজেপির কথায় চলছেন রাজ্যপাল ।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এদিন এই বিল প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলের বিধায়করা বারবার বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করা হলে শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটবে । এদিন বিজেপির এই বক্তব্যকে সামনে রেখে বিরোধী দলের প্রতি কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী । তিনি বলেন, ‘‘যেখানে আইন সভায় পাস হওয়া বিলের ভবিষ্যৎ রাজ্যপাল বিজেপির কথায় নির্ধারণ করে, সেখানে আচার্য হিসাবে তার ভূমিকা কিভাবে নিরপেক্ষ হতে পারে ।’’
এখানেই শেষ নয়, এদিন এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা বারবার বলছিলাম মহামহিম রাজ্যপাল আসলে বিজেপিরই কণ্ঠ । এই দিনের এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার বক্তব্য থেকে স্পষ্ট রাজ্যপাল তাঁদের হাতের খেলার পুতুল মাত্র ।’’
এ দিন বিরোধী দলনেতার বক্তব্য খণ্ডন করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘শিক্ষা কংকারেন্স লিস্টে থাকলেই বিল রাষ্ট্রপতির কাছে চলে যাবে, এর কোনও মানে নেই । বিরোধী দলনেতা আইন জানেনই না ।’’
আরও পড়ুন : New Chancellor Bill : বিধানসভায় পাস মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর বিল