কলকাতা, 4 জুলাই : রাজ্যে 33 শতাংশ সংক্রমণের মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ৷ তবে মাত্র 2 শতাংশ সংক্রমণে কেন উপনির্বাচন করা যাবে না ? রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই প্রশ্নই তুললেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় । প্রসঙ্গত, রাজ্যে 7টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে ৷ এর মধ্যে ভাবনীপুর বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে ৷ যে কেন্দ্র থেকে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হবেন ৷ কিন্তু, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে উপনির্বাচন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ৷ সে নিয়েই এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সরব হলেন তৃণমূলের মুখপাত্র সুখেন্দুশেখর রায় ৷
এদিন তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে 8 দফায় বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে । প্রথম দফা়র নির্বাচন যখন হয় তখন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছিল 3 শতাংশ । অষ্টম অফার নির্বাচনের সময় রাজ্যের করোনা সংক্রমণের হার গিয়ে দাঁড়ায় 33.20 শতাংশ ৷ আর এখন পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের হার মাত্র 2 শতাংশ । 33.20 শতাংশ করোনা সংক্রমণের সময় যদি রাজ্যে নির্বাচন করা যায়, তাহলে এখন 2 শতাংশ সংক্রমণের সময় রাজ্যে উপনির্বাচন কেন করা যাবে না ? আমাদের বিশ্বাস, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক নির্দেশ মেনে সঠিক সময়সীমার মধ্যেই উপনির্বাচন করাবে ৷’’
বিগত কয়েক দিন ধরে রাজ্যের উপনির্বাচন দ্রুত করার দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল ৷ কয়েকদিন আগে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই দাবি জানিয়েছিলেন । এর পর গত শুক্রবার ভারতের নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যসভার নির্বাচনের জন্য নবান্নে যোগাযোগ করা হয় । সে সময়ও রাজ্য সরকারের তরফে পশ্চিমবঙ্গে বাকি থাকা সাতটি আসনে উপনির্বাচন দ্রুত করানোর জন্য আবেদন জানানো হয় । যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এর পরে এনিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি । তাই আরও একবার উপনির্বাচন দ্রুত করানোর দাবি নিয়ে সরব হল রাজ্যের শাসকদল ৷
আরও পড়ুন : চেন্নাইয়ে 100 টাকা পেরলো পেট্রোলের দাম, কলকাতা ও দিল্লিতে 99 টাকা পার
এদিকে রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় ইতিমধ্যেই পেট্রোলের দাম 100 টাকা পেরিয়ে গিয়েছে ৷ একইভাবে ডিজেলের দামও একশো ছুঁইছুঁই ৷ এই অবস্থায় পেট্রোল ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও এদিন সরব হন সুখেন্দুশেখর রায় ৷ লাগাতার বাড়তে থাকা পেট্রোল-ডিজেলের দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এটা একটি সংগঠিত লুঠ । ভারত সরকার সংগঠিতভাবে দেশবাসীকে লুঠ করছে । এই বিজেপি যখন বিরোধী দল ছিল তখন পেট্রোলের দাম সামান্য বাড়লেও তারা বিক্ষোভ দেখাত । আর এখন প্রায় প্রতিদিন দাম বেড়েই চলেছে । এখন তারা রাজ্যগুলিকে ভ্যাট কমাতে বলবে ৷’’
এদিন তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, পেট্রোল-ডিজেল থেকে সবচেয়ে বেশি সেস আদায় করে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ কেন্দ্র সেই সেসের পরিমাণ কমালে রাজ্যও তা কমানোর বিষয় ভাবনাচিন্তা করবে । রাজ্য সরকার মানুষের সমস্যার কথা ভেবে এর আগেও এক টাকা সেস কমিয়েছে ৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কেন সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না, প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ৷