ETV Bharat / city

TMC Legislative Party Meets: দুর্নীতি থেকে দূরে থাকুন ! দলীয় বিধায়কদের কড়া বার্তা নেতৃত্বের

দুর্নীতি থেকে দূরে থাকুন ! সংযত জীবনযাপন করুন ! কারণ, দল কারও ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায় নেবে না ৷ বুধবার তৃণমূল পরিষদীয় দলের বৈঠকে (TMC Parliamentary Group Meeting) এই বার্তাই দেওয়া হল শাসক শিবিরের বিধায়কদের ৷

TMC MLAs are warned by leadership during Parliamentary Group Meeting
TMC Parliamentary Group Meeting: দুর্নীতি থেকে দূরে থাকুন ! দলীয় বিধায়কদের কড়া বার্তা নেতৃত্বের
author img

By

Published : Sep 14, 2022, 7:02 PM IST

Updated : Sep 14, 2022, 8:07 PM IST

কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (SSC Recruitment Scam), অন্যদিকে গরুপাচার (West Bengal Cattle Smuggling Case) এবং কয়লাপাচারের (West Bengal Coal Smuggling Case) অভিযোগ নিয়ে সক্রিয় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি ৷ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মতো দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ৷ আর এই বিতর্কের আবহেই বুধবার থেকে শুরু হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশন (West Bengal Legislative Assembly) ৷ প্রথম দিনই দুর্নীতি ইস্যুতে দলীয় বিধায়কদের সতর্ক করল তৃণমূল নেতৃত্বে ৷ এদিন বিধানসভায় শোক প্রস্তাবের পরই ছিল তৃণমূল পরিষদীয় দলের বৈঠক (TMC Legislative Party Meeting) ৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ৷ ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষ নেতারা ৷ এই বৈঠক থেকেই দলের বিধায়কদের সতর্ক করা হয় ৷ স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, দল কারও ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায় নেবে না ৷

বস্তুত, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে এই ধরনের বক্তব্য এই প্রথম নয় ৷ অতীতেও দলের শীর্ষ নেতা ও নেত্রীদের মুখ থেকে এমন বক্তব্য একাধিকবার শোনা গিয়েছে ৷ এদিন সেই একই কথা আরও একবার শোনা গেল পরিষদীয় দলের সদস্যদের মুখে ৷

আরও পড়ুন: বিজেপির 'হিংস্র' কর্মীদের উপর গুলি চালাতে পারত পুলিশ, তবে সরকার সংযম দেখিয়েছে: মমতা

এদিনের বৈঠকে বার্তা দেওয়া হয়, বিধানসভা চলাকালীন 100 শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক ৷ বিগত অধিবেশনগুলিতে দেখা গিয়েছে, বিধানসভায় এসে হাজিরা খাতায় সই করেই ফিরে যেতেন অনেকে ! এমনটা যে আর কোনও মতেই চলতে দেওয়া হবে না, তা তৃণমূল বিধায়কদের স্পষ্ট করে দেওয়া হয় ৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, বিধানসভায় সারাদিনই তৃণমূল বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে হবে ৷ বিল পাশের সময় অনেককেই দেখা যায় বাইরে বসে রয়েছেন ৷ আগামী দিনে এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের বিরুদ্ধে দলের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ সভা যতদিন চলবে, সবাইকেই আসতে হবে ৷ বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত থাকার বিষয়টি কখনই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না ৷

এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূল বিধায়কদের বলা হয়, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন থেকে দূরে থাকুন ! দুর্নীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন ! কিছু বিধায়কের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে দলকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে ! তাই এদিন তাঁদের সকলকেই সতর্ক করা হয় ৷ একইসঙ্গে পার্থ, অনুব্রতর প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়, একজন অন্যায় করেছে মানেই সবাই দোষী, এমন ভাববেন না ৷ বিরোধীরা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করলে তার প্রতিবাদ করুন ৷

এদিন নয়া পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়কদের বলেন, যা বলবেন সঠিক তথ্য নিয়ে তবেই বলবেন ৷ যুক্তিসঙ্গত কথা বলবেন ৷ কোনওভাবেই বিধানসভার অন্দরে কোনও সংঘাতে জড়াবেন না ৷ এদিন দিনের শেষে বিরোধী নেতৃত্বকেও বার্তা দেন শোভনদেব ৷ জানান, বিধানসভার অন্দরে গঠনমূলক ভূমিকায় বিরোধীদের দেখতে চান তিনি ৷ শোভনদেবের মতে, বিধানসভা বিরোধীদের জায়গা ৷ সেখানে বিরোধিতা অবশ্যই থাকবে ৷ কিন্তু, তা হতে হবে গঠনমূলক ৷ পদে পদে, কারণে-অকারণে বিরোধিতা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় বলেই মনে করেন তিনি ৷

কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (SSC Recruitment Scam), অন্যদিকে গরুপাচার (West Bengal Cattle Smuggling Case) এবং কয়লাপাচারের (West Bengal Coal Smuggling Case) অভিযোগ নিয়ে সক্রিয় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি ৷ ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মতো দুই হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ৷ আর এই বিতর্কের আবহেই বুধবার থেকে শুরু হল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার অধিবেশন (West Bengal Legislative Assembly) ৷ প্রথম দিনই দুর্নীতি ইস্যুতে দলীয় বিধায়কদের সতর্ক করল তৃণমূল নেতৃত্বে ৷ এদিন বিধানসভায় শোক প্রস্তাবের পরই ছিল তৃণমূল পরিষদীয় দলের বৈঠক (TMC Legislative Party Meeting) ৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ৷ ছিলেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষ নেতারা ৷ এই বৈঠক থেকেই দলের বিধায়কদের সতর্ক করা হয় ৷ স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়, দল কারও ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায় নেবে না ৷

বস্তুত, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে এই ধরনের বক্তব্য এই প্রথম নয় ৷ অতীতেও দলের শীর্ষ নেতা ও নেত্রীদের মুখ থেকে এমন বক্তব্য একাধিকবার শোনা গিয়েছে ৷ এদিন সেই একই কথা আরও একবার শোনা গেল পরিষদীয় দলের সদস্যদের মুখে ৷

আরও পড়ুন: বিজেপির 'হিংস্র' কর্মীদের উপর গুলি চালাতে পারত পুলিশ, তবে সরকার সংযম দেখিয়েছে: মমতা

এদিনের বৈঠকে বার্তা দেওয়া হয়, বিধানসভা চলাকালীন 100 শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক ৷ বিগত অধিবেশনগুলিতে দেখা গিয়েছে, বিধানসভায় এসে হাজিরা খাতায় সই করেই ফিরে যেতেন অনেকে ! এমনটা যে আর কোনও মতেই চলতে দেওয়া হবে না, তা তৃণমূল বিধায়কদের স্পষ্ট করে দেওয়া হয় ৷ সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, বিধানসভায় সারাদিনই তৃণমূল বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে হবে ৷ বিল পাশের সময় অনেককেই দেখা যায় বাইরে বসে রয়েছেন ৷ আগামী দিনে এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট বিধায়কদের বিরুদ্ধে দলের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷ সভা যতদিন চলবে, সবাইকেই আসতে হবে ৷ বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত থাকার বিষয়টি কখনই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না ৷

এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে তৃণমূল বিধায়কদের বলা হয়, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন থেকে দূরে থাকুন ! দুর্নীতি থেকে নিজেকে দূরে রাখুন ! কিছু বিধায়কের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে দলকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে ! তাই এদিন তাঁদের সকলকেই সতর্ক করা হয় ৷ একইসঙ্গে পার্থ, অনুব্রতর প্রসঙ্গ তুলে বলা হয়, একজন অন্যায় করেছে মানেই সবাই দোষী, এমন ভাববেন না ৷ বিরোধীরা কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করলে তার প্রতিবাদ করুন ৷

এদিন নয়া পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়কদের বলেন, যা বলবেন সঠিক তথ্য নিয়ে তবেই বলবেন ৷ যুক্তিসঙ্গত কথা বলবেন ৷ কোনওভাবেই বিধানসভার অন্দরে কোনও সংঘাতে জড়াবেন না ৷ এদিন দিনের শেষে বিরোধী নেতৃত্বকেও বার্তা দেন শোভনদেব ৷ জানান, বিধানসভার অন্দরে গঠনমূলক ভূমিকায় বিরোধীদের দেখতে চান তিনি ৷ শোভনদেবের মতে, বিধানসভা বিরোধীদের জায়গা ৷ সেখানে বিরোধিতা অবশ্যই থাকবে ৷ কিন্তু, তা হতে হবে গঠনমূলক ৷ পদে পদে, কারণে-অকারণে বিরোধিতা গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় বলেই মনে করেন তিনি ৷

Last Updated : Sep 14, 2022, 8:07 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.