বিরাটি, 22 জুলাই : বিরাটিতে খুন হলেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC Worker Killed) । এই ঘটনায় পুলিশ স্থানীয় দুষ্কৃতী বাবুলালকে আটক করেছে । বাবুলাল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন । সেখানেই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে ।
গতকাল রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিরাটির পৌরসভা হাসপাতালে মারা যান তৃণমূল কর্মী শুভ্রজিৎ দত্ত ওরফে পিকুন (38)। বুধবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পার্টি অফিস থেকে বাড়ি ফেরার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় । তড়িঘড়ি স্থানীয় উত্তর দমদম পৌর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন: শহিদ দিবসে ডিজে বাজিয়ে, ছাগল বলি দিয়ে ভূরিভোজ; নেতৃত্বে প্রাক্তন বিধায়ক
সূত্রের খবর, সিন্ডিকেটের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে ৷ শুভ্রজিৎ এলাকার তৃণমূল নেতা মহারাজ মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী বলে পরিচিত । মহারাজের সঙ্গে বাবুলালের দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিকেট ঘিরে এলাকা দখলের লড়াই চলছিল । গতকাল দুপুরে মহারাজের অনুগামীরা বাবুলালকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ৷ এর পর বাবুলালকে আহত অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । আর রাতেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবেই বাবুলালের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে ।
আরও পড়ুন: মমতার সফরের আগে লক্ষ্মীবারে সুখেন্দুশেখরের দিল্লির বাড়িতে অভিষেক-মুকুল-যশবন্ত
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, রাতে বাইকে চড়ে তিন দুষ্কৃতী এসে তৃণমূল কর্মীর মাথায় ও বুকে লক্ষ্য করে চার-পাঁচটি গুলি করে । এই ঘটনার পরেই এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয় । খবর পেয়ে নিমতা থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয় । তড়িঘড়ি পৌঁছয় ব্যারাকপুর ও বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনীও । তারা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে । এলাকায় চাপা উত্তেজনা থাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে । গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিমতা থানার পুলিশ ।
আরও পড়ুন: চণ্ডীতলায় যুবতীর যৌনাঙ্গে লঙ্কাগুঁড়ো ছিটিয়ে অত্যাচার শাশুড়ির, আটক 3
এই ঘটনায় এলাকার কুখ্যাত দুস্কৃতী বাবুলাল সিং-কে আটক করা হয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, বিরাটি অঞ্চলের ত্রাস বাবুলাল সিংকে ওইদিন দুপুর দুপুর দুটো নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে কয়েক মিটার দূরে কয়েকজন মিলে ভারী বস্তু দিয়ে ব্যাপক মারধর করে । এতে বাবুলালের মাথায় আঘাত লাগে । সেই সময় নিমতা থানার পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় । আর তার কয়েক ঘণ্টা পরেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন তৃণমূল কর্মী । এই ঘটনার সঙ্গে দুপুরের ঘটনার কোনও যোগসাজশ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে নিমতা থানার পুলিশ ।
স্থানীয় তৃণমূল সভাপতি বিধান বিশ্বাসের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে । তিনি দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ।