কলকাতা, 7 অগস্ট: পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জেল হেফাজত নিয়ে মন্তব্যের পর মুখপাত্র থেকে সূত্রধর হয়ে গেলেন কুণাল ঘোষ (TMC leader Kunal Ghosh) । আবেগতাড়িত হয়ে নিজেই জানালেন জীবনের ওঠা-পড়া যাতে গায়ে না লাগে সেজন্য তিনি বোরোলিন মেখে চলেন ।
শোনা গিয়েছে, কুণাল ঘোষের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । একবার নয় বারবার নাকি ব্যক্তিগত মঞ্চ এবং দল দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলছেন তিনি । বিশেষ করে পার্থর জেল হেফাজত নিয়ে মন্তব্য বেশ দৃষ্টিকটুও আর সে কারণেই 14 দিনের জন্য তাঁকে দলের তরফ থেকে সেন্সর করা হয়েছে অর্থাৎ মুখপাত্র হিসাবে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর । যদিও এই শাস্তির কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে দলের তরফে জানানো হয়নি । এরপর রবিবার এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কুণালের গলায় শোনা গেল অভিমানের সুর ।
সুকিয়া স্ট্রিটে বসে তিনি বলেন, "আমি তৃণমূল কংগ্রেসের কঠিন দিনের সৈনিক । আমি ছিলাম, আছি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক থাকব । দল করতে গেলে বহু সময় দলের নানা বক্তব্য মানতে হয় । আমি মানি । সেইসঙ্গে আগাগোড়া আমি বোরোলিন মেখে চলি । এর ফলে জীবনের ওঠাপড়া আমার গায়ে লাগে না । আমার মন বলছে আমি তৃণমূলকে ভালোবাসি, আমি তৃণমূল করি ।"
কুণাল ঘোষ কী আজ অভিমানী, এই প্রশ্নের জবাবে এই দুঁদে রাজনীতিক বলেন, "কীসের অভিমান? কার উপর অভিমান? আমি বসে আছি আমার বাড়ির নিচের তলায় । সকলকে অনুরোধ ছিল খুঁটি পুজো কভারেজের । সবাই এসেছেন । এরপর আপনারা প্রশ্ন করছেন আমি উত্তর দিচ্ছি । উত্তরের সঙ্গে অবশ্যই বলে দিচ্ছি এটা লোকসভা, এটা রাজ্যসভার বিষয়ে প্রশ্ন । সেখানকার দলনেতারাই বলতে পারবেন । আমি সূত্রধরের মতো বলে দিচ্ছি ।"
আরও পড়ুন: শুক্রবারে পার্থকে আক্রমণ, শনিতে 'কুণালের একটি কথাও বলব না'
আর প্রশ্নটা এখানেই উঠছে ৷ এতদিন যিনি মুখপাত্র হিসাবে যেকোনও প্রশ্নের পুঙ্খানুপুঙ্খ জবাব দিতেন, তিনি হঠাৎ করে সূত্রধর হয়ে গেলেন কেন? 14 দিনের যে সেন্সরশিপের কথা তাঁর বিরুদ্ধে শোনা যাচ্ছে তাহলে কি সেটাই সত্যি ! এ ক্ষেত্রে দলের কী নির্দেশ? তিনি শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না, নাকি কোনও বিষয়েই বলতে পারবে না(TMC leader Kunal Ghosh comments on censor issue over Partha Chatterjee case) ৷ এ সব নিয়ে ধোঁয়াশা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে । কারণ গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল এখনও নীরব ।