সোনারপুর, 26 অক্টোবর: পুজোর পর রাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জন্য আগামী তিনদিন সোনারপুর-রাজপুর পৌর এলাকায় কার্যত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। আগামী 28, 29 এবং 30 অক্টোবর এই তিনদিন পৌর এলাকায় কঠোর লকডাউন মেনে চলার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভা। সোনারপুর পৌর এলাকার 34টি ওয়ার্ডের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা 190 । দৈনিক আক্রান্ত 15-20। পরিস্থিতি যাতে নাগালের বাইরে না চলে যায় তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হল।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা ৷ এই তিনদিন যাবতীয় দোকানপাট, বাজার বন্ধ থাকলেও ওষুধ সহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকান খোলা থাকবে ৷ মঙ্গলবার মহকুমা প্রশাসন, পুরসভা এবং পুলিশ আধিকারিকদের বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মহকুমাশাসক সুমন পোদ্দার জানিয়েছেন, তিনদিন সবকিছু বন্ধ থাকলে সংক্রমণের চেন ভাঙা সম্ভব হতে পারে। যেসব জায়গায় কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে কড়া নজরদারি চালানো হবে। পুজোর পর থেকেই সর্বত্র করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বাদ যায়নি রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভা এলাকাও। সেইমতো এদিন এই বৈঠক করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষত নিয়েই স্কুল খোলার প্রস্তুতি সুন্দরবনে
আপাতত পৌরসভার 10টি ওয়ার্ডের 19টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সব জায়গায় ব্যারিকেড করে রাখা হবে। ফ্লেক্স দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে এটি কনটেনমেন্ট জোন। কোনওরকম জটলা বা অপ্রয়োজনীয় কারণে মানুষ যাতে ভিড় না করেন তার জন্য বিশেষভাবে নজরদারি চালাবে পুলিশ। তবে অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্রের দোকানগুলি খোলা থাকবে। যানবাহন চলাচলের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও কোভিডবিধি মেনে যাত্রী তুলতে হবে বাস-অটোকে। সংক্রমণ রুখতে তৎপর পুলিশও। এদিন সোনারপুর বাজার এলাকায় অভিযানে নেমে পড়ে পুলিশ। মাস্ক ব্যবহার না করায় মোট 32 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করেন সোনারপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জীব চক্রবর্তী।