কলকাতা, 13 এপ্রিল : "পুলিশ তো তৃণমূলের ক্যাডার। ওরা পুলিশে চাকরি না করে তৃণমূল করতে পারে।" আজ রামনবমীর মিছিলে প্রচারের ফাঁকে একথা বলেন অনুপম হাজরা। তাঁর সঙ্গেই আজ প্রচারে নামেন কলকাতা উত্তরের BJP প্রার্থী রাহুল সিনহাও। আজ সকাল থেকে শহরের দু'প্রান্তে জয় শ্রী রাম ধ্বনির সাথে রামনবমীর মিছিলের ফাঁকে প্রচার সারেন রাহুল ও অনুপম। অন্যদিকে, খড়গপুরে অস্ত্র হাতে মিছিল করে আপাতত বিতর্কে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, "হিন্দু হয়ে পরম্পরা মেনে রামনবমী পালনের মধ্যে অন্যায়টা কোথায় ?"
এবার যাদবপুরের BJP প্রার্থী অনুপম হাজরা। তাঁর বিপরীতে তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী ও CPI(M)-এর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সদ্য BJP-তে যোগ দেওয়া অনুপম 2014-য় তৃণমূলের টিকিটে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে CPI(M)-এর রামচন্দ্র ডোমকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তারপর অনেক বিতর্ক শেষে এবারে যাদবপুর থেকে তাঁকে দাঁড় করিয়েছে BJP। সেই সূত্রেই আজ গড়িয়া মোড় থেকে বাঘাযতীন মোড় হয়ে যাদবপুরের 8B বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রামনবমীর শোভাযাত্রা করেন অনুপম। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আজ সকালে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আপনাদের পালটা মিছিল করা হচ্ছে কী বলবেন? উত্তরে অনুপম বলেন, "এটা তৃণমূলের কালচার। যেখানে দেখবে আমাদের দলের লোক ভিড় জমাচ্ছে সেখানে ওরা চলে যাবে। মিডিয়ার ফোকাস নিজের দিকে টানার চেষ্টা। দেখলেন না? মোদিজি যখন এল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা সমাবেশ করল।" আজকের মিছিলে কোথাও কোনওভাবে বাইক ব্যবহার করা হল না। তাহলে বাইক ব্যবহারে কি কারোর কোনও নিষেধ ছিল ? জবাবে অনুপম বলেন, "পুলিশ তো তৃণমূলের ক্যাডার। ওরা পুলিশে চাকরি না করে তো তৃণমূল করতে পারে।" তারপরই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনারা ধর্মের নামে রাজনীতি আনছেন ? অনুপম বলেন, "ধর্ম নিয়ে রাজনীতি প্রথম তো এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথায় ফেট্টি বেঁধে নমাজ পড়াটা কি রাজনীতি নয়? উনিই তো ধর্মকে আনলেন রাজনীতির ময়দানে। এখনও সে সব ছবি আছে। ওঁর কাছ থেকে শিখতে হয় কীভাবে মুসলিম তথা মানুষকে বোকা বানাতে হবে।"
অন্যদিকে, বিডন স্ট্রিট, মানিকতলা, রামলীলা পার্ক, গিরিশপার্ক ও বড়বাজারসহ একাধিক জায়গায় রামনবমীর মিছিলে অংশ নেন রাহুল সিনহা। মিছিলের ফাঁকে তিনি বলেন, "রাম সত্যের প্রতীক। মানুষ দেখছে কারা সত্যের পথে আছে। যারা সত্যের পথে ন্যায়ের পথে, মানুষ তাদের সাথে আছে। কে মিছিলে হাঁটল সেটা বড় কথা নয়। কথা হল আমাদের হিন্দু আবেগ। ভগবান রামচন্দ্রই মানুষকে আকর্ষণ করেছে। আমাদের সব থেকে বড় জয় এটাই। তৃণমূলকেও চাপে পড়ে রামের পুজো করতে হচ্ছে।"