ETV Bharat / city

ধর্মের নামে রাজনীতি মমতাই এনেছেন : অনুপম

রামনবমীর ফাঁকে প্রচার সারলেন BJP-র দুই প্রার্থী। সেখানে পুলিশকে তৃণমূলের ক্যাডার বলে আক্রমণ করেন তিনি।

রামনবমীর মিছিলে অনুপম
author img

By

Published : Apr 13, 2019, 9:57 PM IST

কলকাতা, 13 এপ্রিল : "পুলিশ তো তৃণমূলের ক্যাডার। ওরা পুলিশে চাকরি না করে তৃণমূল করতে পারে।" আজ রামনবমীর মিছিলে প্রচারের ফাঁকে একথা বলেন অনুপম হাজরা। তাঁর সঙ্গেই আজ প্রচারে নামেন কলকাতা উত্তরের BJP প্রার্থী রাহুল সিনহাও। আজ সকাল থেকে শহরের দু'প্রান্তে জয় শ্রী রাম ধ্বনির সাথে রামনবমীর মিছিলের ফাঁকে প্রচার সারেন রাহুল ও অনুপম। অন্যদিকে, খড়গপুরে অস্ত্র হাতে মিছিল করে আপাতত বিতর্কে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, "হিন্দু হয়ে পরম্পরা মেনে রামনবমী পালনের মধ্যে অন্যায়টা কোথায় ?"

এবার যাদবপুরের BJP প্রার্থী অনুপম হাজরা। তাঁর বিপরীতে তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী ও CPI(M)-এর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সদ্য BJP-তে যোগ দেওয়া অনুপম 2014-য় তৃণমূলের টিকিটে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে CPI(M)-এর রামচন্দ্র ডোমকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তারপর অনেক বিতর্ক শেষে এবারে যাদবপুর থেকে তাঁকে দাঁড় করিয়েছে BJP। সেই সূত্রেই আজ গড়িয়া মোড় থেকে বাঘাযতীন মোড় হয়ে যাদবপুরের 8B বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রামনবমীর শোভাযাত্রা করেন অনুপম। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আজ সকালে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আপনাদের পালটা মিছিল করা হচ্ছে কী বলবেন? উত্তরে অনুপম বলেন, "এটা তৃণমূলের কালচার। যেখানে দেখবে আমাদের দলের লোক ভিড় জমাচ্ছে সেখানে ওরা চলে যাবে। মিডিয়ার ফোকাস নিজের দিকে টানার চেষ্টা। দেখলেন না? মোদিজি যখন এল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা সমাবেশ করল।" আজকের মিছিলে কোথাও কোনওভাবে বাইক ব্যবহার করা হল না। তাহলে বাইক ব্যবহারে কি কারোর কোনও নিষেধ ছিল ? জবাবে অনুপম বলেন, "পুলিশ তো তৃণমূলের ক্যাডার। ওরা পুলিশে চাকরি না করে তো তৃণমূল করতে পারে।" তারপরই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনারা ধর্মের নামে রাজনীতি আনছেন ? অনুপম বলেন, "ধর্ম নিয়ে রাজনীতি প্রথম তো এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথায় ফেট্টি বেঁধে নমাজ পড়াটা কি রাজনীতি নয়? উনিই তো ধর্মকে আনলেন রাজনীতির ময়দানে। এখনও সে সব ছবি আছে। ওঁর কাছ থেকে শিখতে হয় কীভাবে মুসলিম তথা মানুষকে বোকা বানাতে হবে।"

অন্যদিকে, বিডন স্ট্রিট, মানিকতলা, রামলীলা পার্ক, গিরিশপার্ক ও বড়বাজারসহ একাধিক জায়গায় রামনবমীর মিছিলে অংশ নেন রাহুল সিনহা। মিছিলের ফাঁকে তিনি বলেন, "রাম সত্যের প্রতীক। মানুষ দেখছে কারা সত্যের পথে আছে। যারা সত্যের পথে ন্যায়ের পথে, মানুষ তাদের সাথে আছে। কে মিছিলে হাঁটল সেটা বড় কথা নয়। কথা হল আমাদের হিন্দু আবেগ। ভগবান রামচন্দ্রই মানুষকে আকর্ষণ করেছে। আমাদের সব থেকে বড় জয় এটাই। তৃণমূলকেও চাপে পড়ে রামের পুজো করতে হচ্ছে।"

কলকাতা, 13 এপ্রিল : "পুলিশ তো তৃণমূলের ক্যাডার। ওরা পুলিশে চাকরি না করে তৃণমূল করতে পারে।" আজ রামনবমীর মিছিলে প্রচারের ফাঁকে একথা বলেন অনুপম হাজরা। তাঁর সঙ্গেই আজ প্রচারে নামেন কলকাতা উত্তরের BJP প্রার্থী রাহুল সিনহাও। আজ সকাল থেকে শহরের দু'প্রান্তে জয় শ্রী রাম ধ্বনির সাথে রামনবমীর মিছিলের ফাঁকে প্রচার সারেন রাহুল ও অনুপম। অন্যদিকে, খড়গপুরে অস্ত্র হাতে মিছিল করে আপাতত বিতর্কে BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, "হিন্দু হয়ে পরম্পরা মেনে রামনবমী পালনের মধ্যে অন্যায়টা কোথায় ?"

এবার যাদবপুরের BJP প্রার্থী অনুপম হাজরা। তাঁর বিপরীতে তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী ও CPI(M)-এর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সদ্য BJP-তে যোগ দেওয়া অনুপম 2014-য় তৃণমূলের টিকিটে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে CPI(M)-এর রামচন্দ্র ডোমকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন। তারপর অনেক বিতর্ক শেষে এবারে যাদবপুর থেকে তাঁকে দাঁড় করিয়েছে BJP। সেই সূত্রেই আজ গড়িয়া মোড় থেকে বাঘাযতীন মোড় হয়ে যাদবপুরের 8B বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রামনবমীর শোভাযাত্রা করেন অনুপম। সেখানে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, আজ সকালে বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আপনাদের পালটা মিছিল করা হচ্ছে কী বলবেন? উত্তরে অনুপম বলেন, "এটা তৃণমূলের কালচার। যেখানে দেখবে আমাদের দলের লোক ভিড় জমাচ্ছে সেখানে ওরা চলে যাবে। মিডিয়ার ফোকাস নিজের দিকে টানার চেষ্টা। দেখলেন না? মোদিজি যখন এল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা সমাবেশ করল।" আজকের মিছিলে কোথাও কোনওভাবে বাইক ব্যবহার করা হল না। তাহলে বাইক ব্যবহারে কি কারোর কোনও নিষেধ ছিল ? জবাবে অনুপম বলেন, "পুলিশ তো তৃণমূলের ক্যাডার। ওরা পুলিশে চাকরি না করে তো তৃণমূল করতে পারে।" তারপরই সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনারা ধর্মের নামে রাজনীতি আনছেন ? অনুপম বলেন, "ধর্ম নিয়ে রাজনীতি প্রথম তো এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথায় ফেট্টি বেঁধে নমাজ পড়াটা কি রাজনীতি নয়? উনিই তো ধর্মকে আনলেন রাজনীতির ময়দানে। এখনও সে সব ছবি আছে। ওঁর কাছ থেকে শিখতে হয় কীভাবে মুসলিম তথা মানুষকে বোকা বানাতে হবে।"

অন্যদিকে, বিডন স্ট্রিট, মানিকতলা, রামলীলা পার্ক, গিরিশপার্ক ও বড়বাজারসহ একাধিক জায়গায় রামনবমীর মিছিলে অংশ নেন রাহুল সিনহা। মিছিলের ফাঁকে তিনি বলেন, "রাম সত্যের প্রতীক। মানুষ দেখছে কারা সত্যের পথে আছে। যারা সত্যের পথে ন্যায়ের পথে, মানুষ তাদের সাথে আছে। কে মিছিলে হাঁটল সেটা বড় কথা নয়। কথা হল আমাদের হিন্দু আবেগ। ভগবান রামচন্দ্রই মানুষকে আকর্ষণ করেছে। আমাদের সব থেকে বড় জয় এটাই। তৃণমূলকেও চাপে পড়ে রামের পুজো করতে হচ্ছে।"

Intro:
13-04-19


সুজয় ঘোষ, কলকাতা

কলকাতাঃ ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচণের আগে রামনবমীকে কে হাতিয়ার করে শহরময় ভোটের প্রচার সারলেন বিজেপির দুই প্রার্থী রাহুল সিনহা ও অনুপম হাজরা। এদিন সকাল থেকেই শহরের দুই পান্থে জয়শ্রীরাম ধ্বনি সহ মিছিলে এটেছেন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী রাহুল সিনহা ও যাদবপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অনুপম হাজরা। আর পশ্চিম মেদনীপুর জেলায় খড়কপুরে অস্ত্র হাতে মিছিল করে বির্তক বাড়িয়েছেন রাজ্য সভাপতি তথা মেদনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। অবশ্য এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের যুক্ত হিন্দু হিসাবে পরমপরাগত রীতি মেনে রামনবমী পালনের মধ্যে অন্যাই টা কোথায়।


আজ রামনবমীর মিছিলে অংশ নিয়ে রাহুল সিনহা বলেন, "রাম সত্যের প্রতীক। মানুষ দেখছে কারা সত্যের পথে আছে। যারা সত্যের পথে ন্যায়ের পথে। মানুষ তাদের সাথে আছে। কে মিছিলে হাটলো সেটা বড় কথা নয়। কথা হল আমাদের হিন্দু আবেগের সঙ্গে ন্যায় এর মূর্তি হিদাবে যার স্থান চিরকালীন। সেই ভগবান রামচন্দ্রই মানুষ কে আর্কশন করেছে। আমাদের সব থেকে বড় জয় এটাই তৃণমূল কেও চাপে পরে রামের পূজো করতে হচ্ছে। কংগ্রেসের একজন প্রার্থী আজ শস্ত্র পূজো করতে বাধ্য হয়েছেন"

আজ বিডন স্ট্রীট, মানিকতলা, রামলীলা পার্ক, গিরিশপার্ক ও বড়বাজার সহ একাধিক রামনবমীর মিছিলে অংশ নিয়ে নেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।


আজ রামনবমীর মিছিল অংশ নিয়ে বিজেপির যাদবপুরের প্রার্থী অনুপম হাজরা বলেন, " ধর্ম নিয়ে রাজনীতি প্রথম শুরু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আমরা সব ধর্ম কে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে চাই । ধর্ম জাতি নিয়ে রাজনীতি করে না বিজেপি "

অনুপম বলেন, "একই সঙ্গে শুক্রবার পূর্ব যাদবপুর থানার সামনে ধরনায় বসার প্রসঙ্গ টেনে বলেন- একটি ঐতিহাসিক ঘটনা আমি প্রথমবার দেখলাম কোন থানার প্রধান গেটে তালা ঝুলানো হয় । আর সেই তালা ঝোলাছেন পূর্ব যাদবপুর থানার ওসি মলয় বসু । সেই সঙ্গে তিনি বলেন বর্তমানে পুলিশ এখন তৃণমূলের ক্যাডার"




আজ বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে গড়িয়া মোড় থেকে বাঘাযতীন মোড় হয়ে যাদবপুরের 8B বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত রামনবমীর শোভাযাত্রা করেন যাদবপুরে বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা ।




উল্লেখ্য বিজেপি ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচণের আগে রাম মন্দিরকে প্রচারের ইশু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিমকোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় ও দেশের শীর্ষ আদালত এই প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশ না দেওয়ায় গেরুয়া শিবির সামন্য হলেও ব্যাকফুটে। এই আবহে রামনবমীকে কেন্দ্র করে হিন্দু আবেগ ছোওয়ায় মরিয়া চেষ্টায় গেরুয়া শিবির।
Body:কপিConclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.