কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর: প্রথম জীবনে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও একাধিক সময়ে অপরাধের তকমা গায়ে লেগেছে এই শিক্ষকদের। এখন আর তারা শিক্ষকতা করে না ৷ তবে তারা জীবনের অন্ধকার জগৎ কাটিয়ে আলোর পথে পা বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এরা প্রত্যকেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি। তবে তারা নিজেদের সংশোধন করছে। তারই পুরস্কার পেল শিক্ষক দিবসে ৷ এই বিশেষ দিনে ছ'জন শিক্ষককে বিশেষ সম্মান জানালেন জেল সুপার।
রবিবার শিক্ষক দিবসে অন্য এক দুপুর কাটল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে। শিক্ষক দিবসের দিন পুস্পস্তবক তুলে দেওয়া হল সংশোধনাগারের বেশ কয়েকজন শিক্ষককে ৷ যারা আদতে শিক্ষক হলেও জীবনের একটা সময় অন্ধকার জগৎতে পা দিয়েছিল ৷ ফলে ঠাঁই হয়েছিল সংশোধনাগারে ৷
আরও পড়ুন : Modi on Teachers' Day: কোভিড আবহে শিক্ষক দিবসে বিশেষ শুভেচ্ছা মোদির
প্রথম জীবনে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও জীবনের একটা সময় তারা একাধিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল ৷ দোষী সাব্য়স্ত হওয়ায় ছাত্রদের সংশোধনের পথ বাতলে দেওয়ার বদলে নিজেদেরই জায়গা হয়েছিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ৷ তবে সেখানেই নিজেদের জীবনকে সংশোধনের পথে ফিরিয়ে নেওয়ার পাঠ নেয় এই শিক্ষকরা। প্রশাসনও তাদের পাশে দাঁড়ায়। অন্ধকার থেকে আলোর জগতে ফেরার তাদের উদ্য়োগকে সাধুবাদ জানান জেল সুপার ৷
শিক্ষক দিবসে সংশোধনাগারের ভিতরেই এই ছ'জন শিক্ষকের হাতে পুস্পস্তবক তুলে দিয়ে তাদের সম্মান জানান প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "জীবনের অন্ধকার অধ্যায়কে সরিয়ে আজ ওরা আলোর পথে। আর তাদের এই মূলস্রোতে ফিরে আসার ক্ষেত্রে সংশোধনাগারের একটি উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা থাকে ৷ সেটাই পালন করা হল ৷"