ETV Bharat / city

ফের বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি - The State Co-ordination Committee preparing for the greater movement again

শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্তদের নিয়ে ফের বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ।

বিজয়শংকর সিংহ
author img

By

Published : Sep 29, 2019, 10:09 PM IST

কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর : ফের পথে নামবে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা । শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্তদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ।

রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শংকর সিংহ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনের যে ক্ষয় হয় সেটা পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বেতন কমিশন গঠন করে । বেতন কমিশন অল ইন্ডিয়া কনজ়ুমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধনের বা বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করে । সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি সেই সুপারিশ গ্রহণ করে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করে । বাজার মূল্যের সঙ্গে বেতনের সমতা ফেরানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করে সরকার । এই রাজ্যে দীর্ঘ 14 বছর পর বকেয়া 41 শতাংশ মহার্ঘভাতা না মিটিয়ে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকরী করার আদেশনামা প্রকাশ করে সরকার । জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের আরও এক কিস্তি মহার্ঘভাতা বকেয়া রয়েছে । সেটাকে যুক্ত করলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা ৫০ শতাংশের বেশি । এ ছাড়াও রাজ্য সরকার বিগত চার বছরের এরিয়ার দেবে না বলেছে । স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সমাবেশ থেকে এ কথা ঘোষণা করেছেন । বিজয়শংকরবাবুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের লক্ষাধিক টাকার বেতন ভাতা বৃদ্ধি, ক্লাবকে টাকা, পুজোর জন্য টাকা দেওয়া, উৎসব, কার্নিভালে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে । অথচ কর্মচারী সমাজ, শিক্ষক, প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আর্থিকভাবে অসম্মান করা হচ্ছে ৷ আর্থিক বঞ্চনার শিকার রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তরা । রাজ্য সরকারের এই ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার ফলে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী, এবং প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পাহাড়প্রমাণ আর্থিক বঞ্চনার শিকার হবেন যা সমগ্র ভারতে কোথাও হয়নি ৷

এছাড়া ন্যূনতম বেতন দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী 18,000 টাকা হওয়া উচিত । তা হয়েছে মাত্র 17,000 টাকা এবং বাড়িভাড়া ভাতা 15 শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র 12 শতাংশ । সবদিক থেকে রাজ্য কর্মচারী, বোর্ড কর্পোরেশনের কর্মচারী ও শিক্ষকসহ অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীরা সীমাহীন আর্থিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন । আক্ষরিক অর্থে বেতন কমিশনের গুরুত্বই মানছে না রাজ্য সরকার । তাই এই প্রতারণামূলক ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ।

এর আগে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ লাগু না করলে রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজয়শংকরবাবু ৷ এবার ফের পথে নেমে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ৷

কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর : ফের পথে নামবে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা । শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্তদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ।

রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শংকর সিংহ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনের যে ক্ষয় হয় সেটা পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বেতন কমিশন গঠন করে । বেতন কমিশন অল ইন্ডিয়া কনজ়ুমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধনের বা বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করে । সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলি সেই সুপারিশ গ্রহণ করে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করে । বাজার মূল্যের সঙ্গে বেতনের সমতা ফেরানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করে সরকার । এই রাজ্যে দীর্ঘ 14 বছর পর বকেয়া 41 শতাংশ মহার্ঘভাতা না মিটিয়ে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকরী করার আদেশনামা প্রকাশ করে সরকার । জুলাই থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের আরও এক কিস্তি মহার্ঘভাতা বকেয়া রয়েছে । সেটাকে যুক্ত করলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা ৫০ শতাংশের বেশি । এ ছাড়াও রাজ্য সরকার বিগত চার বছরের এরিয়ার দেবে না বলেছে । স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সমাবেশ থেকে এ কথা ঘোষণা করেছেন । বিজয়শংকরবাবুর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের লক্ষাধিক টাকার বেতন ভাতা বৃদ্ধি, ক্লাবকে টাকা, পুজোর জন্য টাকা দেওয়া, উৎসব, কার্নিভালে প্রচুর টাকা খরচ হচ্ছে । অথচ কর্মচারী সমাজ, শিক্ষক, প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আর্থিকভাবে অসম্মান করা হচ্ছে ৷ আর্থিক বঞ্চনার শিকার রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তরা । রাজ্য সরকারের এই ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার ফলে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী, এবং প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পাহাড়প্রমাণ আর্থিক বঞ্চনার শিকার হবেন যা সমগ্র ভারতে কোথাও হয়নি ৷

এছাড়া ন্যূনতম বেতন দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী 18,000 টাকা হওয়া উচিত । তা হয়েছে মাত্র 17,000 টাকা এবং বাড়িভাড়া ভাতা 15 শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র 12 শতাংশ । সবদিক থেকে রাজ্য কর্মচারী, বোর্ড কর্পোরেশনের কর্মচারী ও শিক্ষকসহ অবসরপ্রাপ্ত পেনশনভোগীরা সীমাহীন আর্থিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন । আক্ষরিক অর্থে বেতন কমিশনের গুরুত্বই মানছে না রাজ্য সরকার । তাই এই প্রতারণামূলক ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ।

এর আগে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ লাগু না করলে রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিজয়শংকরবাবু ৷ এবার ফের পথে নেমে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি ৷

Intro:ফের পথে নামবে রাজ্যের সব অংশের সরকারি কর্মচারীরা। শিক্ষক ও অবসর প্রাপ্তদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি।


Body:রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ জানিয়েছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতনের যে ক্ষয় হয় সেটা পূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বেতন কমিশন গঠন করে। বেতন কমিশন অল ইন্ডিয়া কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন সংশোধনের বা বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করে। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার গুলি সেই সুপারিশ গ্রহণ করে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি করে।
বাজার মূল্যের সঙ্গে বেতনের সমতা ফেরানোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করে সরকার। এই রাজ্যে দীর্ঘ ১৪ বছর পর বকেয়া ৪১ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা মিটিয়ে না দিয়েই ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকরী করার আদেশনামা প্রকাশ করল সরকার। গত জুলাই মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের আরো এক কিস্তি মহার্ঘ্যভাতা বকেয়া হয়েছে। এটাকে যুক্ত করলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা ৫০ শতাংশের বেশি। এ ছাড়াও রাজ্য সরকার বিগত চার বছরের এরিয়ার দেবে না বলেছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সমাবেশ থেকে এ কথা ঘোষণা করেছেন। বিজয় শংকর সিংহের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সহ মন্ত্রিসভার সদস্যদের লক্ষাধিক টাকার বেতন ভাতা বৃদ্ধি, ক্লাবকে টাকা ও পুজোর জন্য টাকা দেওয়া, উৎসব-মহোৎসব, কার্নিভালে দেদার টাকা খরচ হচ্ছে। অথচ কর্মচারী সমাজ, শিক্ষক, প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের আর্থিকভাবে অসম্মান করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিজয় শংকর সিংহ। চরম আঘাত করছে রাজ্য সরকার। আর্থিক বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং অবসরপ্রাপ্তদের। অভিযোগ, রাজ্য সরকারের এই ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার ফলে, সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী, এবং প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পাহাড়প্রমাণ আর্থিক বঞ্চনার শিকার হবে যা সমগ্র ভারতে কথাও হয়নি, বলে জানিয়েছেন রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ।
এছাড়া ন্যূনতম বেতন দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ১৮০০০ টাকা হওয়া উচিত। তা হয়েছে মাত্র ১৭০০০ টাকা এবং বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ। সবদিক থেকে রাজ্য কর্মচারী, বোর্ড কর্পোরেশনের কর্মচারী ও শিক্ষক সহ অবসরপ্রাপ্ত পেনশন ভোগীরা সীমাহীন আর্থিক বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। আক্ষরিক অর্থে বেতন কমিশনের গুরুত্বই মানছে না রাজ্য সরকার। তাই এই প্রতারণামূলক ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি।


Conclusion:

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.