কলকাতা, 17 মে : সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজে বউবাজার অঞ্চলের কাজ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই জটিল । এক কথায় তা স্বীকার করে নিয়েছেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন (Kolkata Metro Rail Corporation) এর ডিরেক্টর এন সি কার্মালি । একে পুরনো অঞ্চল, অন্যদিকে মাটির নিচে জলস্তর । দুইয়ে মিলে কাজ আরও জটিল করে তুলেছে ।
সুড়ঙ্গের এই অংশের কাজ করতে গিয়ে তিনবার বিপত্তি ঘটেছে । একবার 2019 সালের অগাস্ট মাসে, তারপর 2020-এর জানুয়ারি মাসে এবং এবার । ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের জন্য ধস ও ফাটলের জেরে 12টি বাড়ি বিলীন হয়ে গিয়েছে । দুর্গাপিতুরি লেনেও 5টি বাড়িতেও ফাটল দেখা দিয়েছে । রাতারাতি উদ্বাস্তু হতে হয়েছে বহু মানুষকে । আজও তাঁদের মধ্যে অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেননি । কবে আবার নিজেদের ভিটেতে ফিরতে পারবেন তা জানেন না। আর যারা রয়ে গেলেন তাঁরা এখন দিন কাটাচ্ছেন চরম আতঙ্কে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাশের রাস্তা অর্থাৎ স্যাকরা পাড়া লেনেও ।
কেএমআরসিএল-এর ডিরেক্টর এন সি কার্মালি জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের কাজ শুরু করার জন্য জল আটকাতে এখন যে কংক্রিটের স্ল্যাব ব্যবহার করা হয়েছে তা সরিয়ে ফেলতে হবে । তার জন্য আইআইটি রুর্কির বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শ নেওয়া হবে । অন্যদিকে, কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, 2024 সালের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে । ফলে আর কোনও বিপত্তি না ঘটিয়ে সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার দিকেই এখন কেএমআরসিএল-এর পাখির চোখ ।
আরও পড়ুন : বউবাজারের বিপদের ভূগোল দাঁড়িয়ে শহরের ইতিহাসের উপর
এই অংশের কাজ যে বেশ ঝক্কিপূর্ন তা স্বীকার করে নিয়েছেন এন সি কার্মালি ৷ তিনি বলেন, ‘‘এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সুড়ঙ্গের কাজ সবচেয়ে বেশি (ক্রুশিয়াল) জটিল বউবাজার অঞ্চলে । নির্মল চন্দ্র স্ট্রিটের মাটির নিচে সুড়ঙ্গের ভেতরে যে ক্রস প্যাসেজ ও ভেন্টিলেশন শ্যাফট নির্মাণের কাজ চলছে সেগুলিও কম জটিল নয় ।’’