নিউটাউন, 19 ফেব্রুয়ারি : রান্নায় স্বাদ কম । আর তার জেরেই মার খেয়ে মৃত্যু হল গৌরাঙ্গনগরের বাসিন্দা যুবতির । এমনই অভিযোগ মৃতের বাড়ির । মৃতের নাম কাকলি হালদার (মণ্ডল) । পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছে স্বামী রথীন হালদার ও তার মা ।
অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নিউটাউন থানার পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রান্না করা নিয়ে বিবাদ হয় রথীনের সঙ্গে কাকলির । সেই বিবাদে জড়িয়ে পড়ে রথীনের মাও । পাড়া-প্রতিবেশীরা এই ঝগড়ার শব্দ পেয়েছিলেন । এরপর রাত 10 টা নাগাদ মেয়ের বাড়িতে রথীনের পরিবারের তরফে ফোন করে জানায় যে কাকলি পেটে ব্যথার জেরে অজ্ঞান হয়ে গেছে । রথীন ফোনে জানায়, তাঁকে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । কিন্তু মেয়ের বাবা-মা না এলে ভরতি নেবে না । এরপর পরিবারের লোকেরা হাসপাতালে গেলে দেখে এক পাশে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছে মেয়েটি ।
জিজ্ঞাসা করলে রথীন জানায় সে মারা গেছে । এরপরই রথীন দেহ ফেলে বাড়িতে চলে আসে । মেয়ের বাড়ির লোকজন হাসপাতালের কাজ মিটিয়ে ছেলের বাড়ি পৌঁছালে ছেলের বাড়ি থেকে জানায় রান্না নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল । এরপর কাকলি ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে । স্থানীয় বাসিন্দারা রথীনের এই কথা বিশ্বাস করেনি । তাদের দাবি , তারা ঘরে ঢুকে দেখে ঘরে গলায় দড়ি দেওয়ার কোনও পরিস্থিতি নেই । সব পরিষ্কার । মেয়ের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে । গলার কাছে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তারা অভিযোগ করে । নিউটাউন থানায় অভিযোগ জানায় মেয়ের বাড়ির লোকজন । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ । মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দু'জনকে । জানা গেছে, ১০ মাস আগে নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগর সত্যজিৎ পল্লির বাসিন্দা কাকলি মণ্ডলের সাথে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করে একই এলাকার নিবেদিত পল্লির বাসিন্দা রথীন হালদার ।