কলকাতা, 23 মার্চ : বেহালায় প্রোমোটারের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ৷ আজ সকাল এগারোটা নাগাদ দোতলা বাড়ির একতলার অফিস ঘরে প্রোমোটার পুষ্পেন পালের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ তাঁর ভাই অরিন্দম পাল প্রথম দেহটি দেখতে পান ৷ পুলিশ পুষ্পেন পালকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলে মনে হলেও, পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে ৷ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷
বেহালা থানা এলাকার রাজা রামমোহন রায় রোডর বাসিন্দা পুষ্পেন পাল ৷ বয়স 49 বছর, পেশায় প্রোমোটারির ব্যবসা ৷ আজ সকাল 11টা নাগাদ দোতলা বাড়ির একতলার অফিস ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে পুষ্পেনবাবুর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তাঁর ভাই অরিন্দম পাল। তিনি সকালে দাদাকে ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ পাননি ৷ এর পর অফিস ঘরের দরজা খুলতেই দেখতে পান তাঁর দাদা সিলিং ফ্যান থেকে বিছানার চাদর জড়িয়ে ঝুলছেন । সঙ্গে সঙ্গে বৌদি ও তাঁর ছেলেকে ডাকেন ৷ তারাও নিচে নেমে আসে এবং প্রতিবেশীরাও সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। এরপর বেহালা থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ এসে পুষ্পেন পালকে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় ।
আরও পড়ুন : সংশোধনাগারে বন্দীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
পাড়া-প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকেরা মনে করছেন প্রোমোটিং ব্যবসায় প্রচুর ধার-দেনা হয়ে গেছে । প্রচুর ফ্ল্যাট বানিয়ে রাখলেও এখনও বিক্রি হয়নি । বিভিন্ন লোকের কাছে ধার দেনা হওয়ায় বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পুষ্পেন পাল। সেই কারণেই হয়তো তিনি এই পথ বেছে নিয়েছেন। পুষ্পেন বাবুর ওই বাড়িতে থাকেন তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ৷ ছেলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। বহুদিন ধরেই পুষ্পেন বাবু এলাকায় প্রমোটিং-এর ব্যবসা করছেন, বেশ সুনামও আছে তাঁর। বেহালা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে ৷ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে ।