ETV Bharat / city

অস্থায়ী পারমিট কেড়ে নিচ্ছে রোজের যাত্রী, অভিযোগ বাস মালিকদের

author img

By

Published : Nov 1, 2020, 10:31 AM IST

আনলক ফেজে বাসের অস্থায়ী পারমিট নিয়ে সমস্যা শুরু হয়েছে ৷ বেশ কিছু বাস মালিকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বাসগুলি অস্থায়ী পারমিট নিয়ে এখনও সংশ্লিষ্ট রুটে বাস চালাচ্ছে। তাতে পারমিট যুক্ত বাসগুলি রুট ওভারল্যাপ করছে ৷ তা অবিলম্বে বন্ধ হোক ৷

temporary permit to buses raise confusion and overlapping of routes kolkata
temporary permit to buses raise confusion and overlapping of routes kolkata

কলকাতা, 1 নভেম্বর : সংক্রমণের ভয়ে পথে বেরোচ্ছেন না অনেকেই ৷ অনেকে কর্মক্ষেত্রের কাজ প্রায় বাড়িতে বসেই সারছেন ৷ আনলক ফেজে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে যানবাহন চলাচল ৷ ইতিমধ্যে সরকারি বাস, মেট্রো, অটো, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব, হলুদ ট্যাক্সি চলাচল শুরু হয়েছে ৷ যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম ৷ মানুষজন রাস্তায় বেরোচ্ছেন অনেকে কম ৷ একে বাসে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমেছে ৷ তার সঙ্গে দোসর হয়েছে বেশ কিছু রুটে অস্থায়ী পারমিটের সমস্যা ৷

লকডাউনের পর যেসব রুটে অনেক বেশি যাত্রী হচ্ছিল অথচ সেই তুলনায় বাসের সংখ্যা কম থাকার জন্য সেই রুটে অস্থায়ী পারমিট দিয়ে অন্য বাস চালানো হয় । লকডাউনের পর পরিবহন দপ্তরের তরফে কিছুটা শিথিলতা আনা হয় । তাই তিন মাস সারা রাজ্যে STA ও RTAগুলি এই অস্থায়ী পারমিট দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করে । যেসব বাস রুট কনটেইনমেন্ট জ়োনের মধ্যে পড়েছিল , সেগুলিতে যাতে বাসগুলি বসে না থেকে বিকল্প রুটে বাস চালাতে পারে তাই এই ব্যবস্থা করা হয় । সর্বোচ্চ 16 সপ্তাহ অস্থায়ী পারমিটগুলি দেওয়া হয়েছিল ৷

তবে বেশ কিছু বাস মালিকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বাসগুলি অস্থায়ী পারমিট নিয়ে এখনও সেই সব রুটে বাস চালাচ্ছে । যে RTA ও STA এর তরফেও বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের পারমিট । আনলক ফেজের গোড়ার দিকে বাসের সংখ্যাও যেমন কম ছিল তেমনই অন্য যানবাহনও ছিল না । আবার যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে এবং অন্য যানও চলাচল করছে তখন অস্থায়ী পারমিট যুক্ত বাসগুলির চলাচল করার কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছে না তারা । অন্যদিকে বেশ কয়েকটি রুটের ক্ষেত্রে স্থায়ী পারমিট যুক্ত বাসের সঙ্গে অস্থায়ী পারমিট যুক্ত বাসগুলি রুট ওভারল্যাপ করছে । এর ফলে স্থায়ী পারমিট যুক্ত বাসগুলির যাত্রীসংখ্যা আরও কমে যাচ্ছে ।

সিটি সাব আর্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, "অস্থায়ী পারমিট কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে দেওয়া হয়, কোনও নির্দিষ্ট রুটকে । সাথে পথনির্দেশিকাও থাকে । সেটি কিন্তু অস্থায়ীভাবেই দেওয়া হয় । কোনও একটি বাসের দুটি পারমিট হতে পারে না । অস্থায়ী পারমিট এমনভাবে দেওয়া উচিত নয় যাতে কোনও অস্থায়ী পারমিট যুক্ত বাস রুটকে ওভারল্যাপিং করে স্থায়ী রুটকে নষ্ট করে দিতে পারে ।"

অন্যদিকে অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "লকডাউনের পর স্বাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধাসহ একাধিক বাস তখন একটা দীর্ঘ সময় ধরে বসে ছিল। তাই পরিবহন দপ্তরের তরফে এই শিথিলতা আনা হয়েছিল । তখন এই ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল । তবে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে । তাই আর অস্থায়ী পারমিট না দেওয়াই বাঞ্চনীয় । না হলে অস্থায়ী পারমিটের বাসের জন্য স্থায়ী বাসগুলির ব্যবসা মার খাবে ।"

কলকাতা, 1 নভেম্বর : সংক্রমণের ভয়ে পথে বেরোচ্ছেন না অনেকেই ৷ অনেকে কর্মক্ষেত্রের কাজ প্রায় বাড়িতে বসেই সারছেন ৷ আনলক ফেজে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়েছে যানবাহন চলাচল ৷ ইতিমধ্যে সরকারি বাস, মেট্রো, অটো, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব, হলুদ ট্যাক্সি চলাচল শুরু হয়েছে ৷ যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম ৷ মানুষজন রাস্তায় বেরোচ্ছেন অনেকে কম ৷ একে বাসে যাত্রীর সংখ্যা অনেক কমেছে ৷ তার সঙ্গে দোসর হয়েছে বেশ কিছু রুটে অস্থায়ী পারমিটের সমস্যা ৷

লকডাউনের পর যেসব রুটে অনেক বেশি যাত্রী হচ্ছিল অথচ সেই তুলনায় বাসের সংখ্যা কম থাকার জন্য সেই রুটে অস্থায়ী পারমিট দিয়ে অন্য বাস চালানো হয় । লকডাউনের পর পরিবহন দপ্তরের তরফে কিছুটা শিথিলতা আনা হয় । তাই তিন মাস সারা রাজ্যে STA ও RTAগুলি এই অস্থায়ী পারমিট দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করে । যেসব বাস রুট কনটেইনমেন্ট জ়োনের মধ্যে পড়েছিল , সেগুলিতে যাতে বাসগুলি বসে না থেকে বিকল্প রুটে বাস চালাতে পারে তাই এই ব্যবস্থা করা হয় । সর্বোচ্চ 16 সপ্তাহ অস্থায়ী পারমিটগুলি দেওয়া হয়েছিল ৷

তবে বেশ কিছু বাস মালিকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট বাসগুলি অস্থায়ী পারমিট নিয়ে এখনও সেই সব রুটে বাস চালাচ্ছে । যে RTA ও STA এর তরফেও বর্তমানে দেওয়া হচ্ছে এই ধরনের পারমিট । আনলক ফেজের গোড়ার দিকে বাসের সংখ্যাও যেমন কম ছিল তেমনই অন্য যানবাহনও ছিল না । আবার যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে এবং অন্য যানও চলাচল করছে তখন অস্থায়ী পারমিট যুক্ত বাসগুলির চলাচল করার কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছে না তারা । অন্যদিকে বেশ কয়েকটি রুটের ক্ষেত্রে স্থায়ী পারমিট যুক্ত বাসের সঙ্গে অস্থায়ী পারমিট যুক্ত বাসগুলি রুট ওভারল্যাপ করছে । এর ফলে স্থায়ী পারমিট যুক্ত বাসগুলির যাত্রীসংখ্যা আরও কমে যাচ্ছে ।

সিটি সাব আর্বান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, "অস্থায়ী পারমিট কোনও বিশেষ পরিস্থিতিতে দেওয়া হয়, কোনও নির্দিষ্ট রুটকে । সাথে পথনির্দেশিকাও থাকে । সেটি কিন্তু অস্থায়ীভাবেই দেওয়া হয় । কোনও একটি বাসের দুটি পারমিট হতে পারে না । অস্থায়ী পারমিট এমনভাবে দেওয়া উচিত নয় যাতে কোনও অস্থায়ী পারমিট যুক্ত বাস রুটকে ওভারল্যাপিং করে স্থায়ী রুটকে নষ্ট করে দিতে পারে ।"

অন্যদিকে অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "লকডাউনের পর স্বাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধাসহ একাধিক বাস তখন একটা দীর্ঘ সময় ধরে বসে ছিল। তাই পরিবহন দপ্তরের তরফে এই শিথিলতা আনা হয়েছিল । তখন এই ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল । তবে আস্তে আস্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে । তাই আর অস্থায়ী পারমিট না দেওয়াই বাঞ্চনীয় । না হলে অস্থায়ী পারমিটের বাসের জন্য স্থায়ী বাসগুলির ব্যবসা মার খাবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.