কলকাতা, 1 জুন : নবম ও দশম শ্রেণিতে অর্থাৎ, মাধ্যমিকে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আবারও সরব হলেন এই বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা (Teachers Demands Include Physical Education in Secondary Education) ৷ প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ৷ কিন্তু, মাধ্যমিকে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষাকে এখনও বাধ্যতামূলক করা হয়নি ৷ এই নিয়ে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন ৷ তবে, আগামী শিক্ষাবর্ষে যাতে আবশ্যিক লিখিত ও ব্যবহারিক বিষয় হিসাবে বিষয়টিকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করা হয়, সেই দাবিতে তুলল পশ্চিমবঙ্গ শারীরশিক্ষা শিক্ষক সংগঠন ৷
সংগঠনের সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেবনাথ বলেন, ‘‘2011 সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদল হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে, স্কুলে সব শ্রেণিতে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষাকে আবশ্যিক লিখিত ও ব্যবহারিক বিষয় হিসাবে পাঠ্যসূচির অন্তর্গত করা হবে ৷ 2011 সালে বিদ্যালয় শিক্ষা দফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি একটি সুপারিশ করেছিল ছিল ৷ প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শারীরশিক্ষার অবশ্যিকরণ করতে হবে ৷ সেই অনুযায়ী প্রথম থেকে দশম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচি তৈরি করা হয়েছিল ৷ তবে, আজ পর্যন্ত নবম ও দশম শ্রেণিতে এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হল না ৷ তবে, আমাদের বক্তব্য জানিয়ে আমরা সিলেবাস কমিটির কাছে একটি ডেপুটেশন জমা দিয়েছি ৷’’
আরও পড়ুন : শারীর শিক্ষাকে আবশ্যিক করতে চলেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর
তিনি আরও বলেন, "একাধিকবার আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে দাবি পত্র জমা দিয়েছি। তবে তাতে কোনো লাভ হয়নি।" সংগঠনের মতে নবম ও দশম শ্রেণীতে যেহেতু এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়নি তাই এই বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আগ্রহ একেবারে নেই বললেই চলে। তারা এই সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে খুবই কম। পাশাপাশি সূত্র মারফৎ জানা গেছে যে সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তত্ত্বাবধানে যে নয়া সিলেবাস কমিটি তৈরি হয়েছে সেই কমিটির সভাপতি অভীক মজুমদার আগামিকাল অর্থাৎ 2 জুন যে সিলেবাস কমিটির বৈঠক রয়েছে সেখানে বিষয়টি আলোচনা করবেন।