কলকাতা, 13 জুলাই : স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে স্বাধীনতা থাকা উচিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ৷ এমনই মত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক সংগঠনের ৷ তাদের বক্তব্য, রাজ্য হোক বা কেন্দ্রের সরকার, কারও উচিত নয় কোনও প্রতিষ্ঠানের কাজে হস্তক্ষেপ করা ৷
আরও পড়ুন : স্কুল খুলুক, চাইছেন মহারাষ্ট্রের 85 শতাংশ অভিভাবক
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি নির্দেশিকার খবর সংবাদমাধ্যমে ছড়ায় ৷ তার প্রেক্ষিতেই এই মত প্রকাশ করেছে ওই শিক্ষক সংগঠনগুলি ৷ সংবাদমাধ্য়মে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সরকারের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে স্নাতকস্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না ৷ জানা গিয়েছে যে রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের প্রেক্ষিতে ভর্তি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷ এমনকি, স্নাতকোত্তর স্তরেও ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা না নিতে বলা হয়েছে ৷ এই নিয়ে আপত্তি তুলেছে ওই শিক্ষক সংগঠনগুলি ৷
যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় অধ্যাপক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘স্নাতক বা স্নাতকোত্তর স্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া সংক্রান্ত যে কোনও সিদ্ধান্ত বিপক্ষে আমরা ৷ আমাদের মনে হয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে কি হবে না, এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত ৷’’
আরও পড়ুন : Post Poll Violence : নিহত বিজেপি কর্মীর ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
ওই শিক্ষকদের বক্তব্য, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সরকার যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, আর তা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বশাসনের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে তার থেকে শিক্ষার মানের উপর প্রভাব পড়ে ৷ ওই শিক্ষকদের এই বিষয় সংক্রান্ত মতামতকে সম্পূর্ণ সমর্থন করেছেন কল্যাণী, বর্ধমান ও বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ৷
তবে এই নিয়ে উচ্চ শিক্ষা দফতর এখনও সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা করেনি ৷ তারা এই বিষয়টিকে স্বীকারও করছে না ৷ আবার অস্বীকারও করছে না ৷
আরও পড়ুন : লক্ষ্য লোকসভা, ফের বিস্তারক নিয়োগের পথে বঙ্গ বিজেপি