ETV Bharat / city

Primary Recruitment Scam : আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না-দিয়ে কীভাবে চাকরি কাড়লেন বিচারপতি, ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি খোয়ানো শিক্ষিকা

গত 13 জুন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Avijit Ganguly) প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam Case) 269 জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন ৷ সেই তালিকায় নাম থাকা জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছেন ৷ তাঁর প্রশ্ন, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কীভাবে চাকরি কাড়লেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ?

Teacher questions Justice Abhijit Ganguly verdict to dismiss her from job
Primary Recruitment Scam : আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কিভাবে চাকরি কাড়লেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি খোয়ানো শিক্ষিকা
author img

By

Published : Jun 22, 2022, 5:49 PM IST

কলকাতা, 22 জুন : আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না-দিয়েই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এমন দাবি করে এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Avijit Ganguly) নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করলেন চাকরি খোয়ানো শিক্ষিকা ।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam Case) ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 13 জুন 269 জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন । যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়ে গেল, তাঁরা কি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বলার সুযোগ পেয়েছিলেন ? তাঁদের কারও বক্তব্য না শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কীভাবে একতরফা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন ? প্রশ্ন তুলেছেন ওই মামলাকারী ।

আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, 2014 সালে টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় । 2017-র 1 জুন টেটের ফলাফল প্রকাশিত হয় । জয়িতা তথ্যের অধিকার আইনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চান তাঁর প্রাপ্ত নম্বর কত । উত্তরে পর্ষদের পক্ষ থেকে তাঁকে উত্তরপত্র-সহ তথ্য প্রদান করা হয় । সেখানে দেখা যায় জয়িতা সঠিক উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও পর্ষদ এক নম্বর কম দিয়েছে । সেই এক নম্বর পাওয়ার জন্য পর্ষদের কাছে আবেদন করেন তিনি । পর্ষদ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না-করায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন ।

আদালতে মামলা দায়েরের কপি পর্ষদে পৌঁছনোর পরেই জয়িতার আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে এক নম্বর দেওয়া হয় । তিনি নিয়োগপত্র পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন । পর্ষদ 2017-র 5 ডিসেম্বর জয়িতার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেয় ।

মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর বক্তব্য

যাবতীয় বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Primary Education) আইনজীবীর জানা থাকলেও নিয়োগ বাতিল মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি তিনি । মামলাকারী গত 13 জুন মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি । বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ 269 জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়ে দেন ওইদিন । মামলাকারী জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সমস্ত তথ্য প্রমাণ-সহ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন যে তাঁর বক্তব্য না-শুনেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ।

মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘এক নম্বর বৃদ্ধির পর প্রার্থীর চাকরি হয়েছিল । কীভাবে তিনি এই নম্বর পেলেন, তা প্রার্থীর থেকে জানতে না চেয়ে, তাঁর বক্তব্য কিছু না শুনেই সিঙ্গেল বেঞ্চ কীভাবে একজন প্রার্থীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল ? আমরা এই সমস্ত তথ্য ডিভিশন বেঞ্চের কাছে তুলে ধরব ।"

আরও পড়ুন : Primary Recruitment Scam : মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তির হিসাব চাইল হাইকোর্ট

কলকাতা, 22 জুন : আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না-দিয়েই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে, এমন দাবি করে এবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Avijit Ganguly) নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করলেন চাকরি খোয়ানো শিক্ষিকা ।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় (Primary Recruitment Scam Case) ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 13 জুন 269 জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন । যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়ে গেল, তাঁরা কি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বলার সুযোগ পেয়েছিলেন ? তাঁদের কারও বক্তব্য না শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কীভাবে একতরফা চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন ? প্রশ্ন তুলেছেন ওই মামলাকারী ।

আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, 2014 সালে টেট পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় । 2017-র 1 জুন টেটের ফলাফল প্রকাশিত হয় । জয়িতা তথ্যের অধিকার আইনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চান তাঁর প্রাপ্ত নম্বর কত । উত্তরে পর্ষদের পক্ষ থেকে তাঁকে উত্তরপত্র-সহ তথ্য প্রদান করা হয় । সেখানে দেখা যায় জয়িতা সঠিক উত্তর দেওয়া সত্ত্বেও পর্ষদ এক নম্বর কম দিয়েছে । সেই এক নম্বর পাওয়ার জন্য পর্ষদের কাছে আবেদন করেন তিনি । পর্ষদ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না-করায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন ।

আদালতে মামলা দায়েরের কপি পর্ষদে পৌঁছনোর পরেই জয়িতার আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে এক নম্বর দেওয়া হয় । তিনি নিয়োগপত্র পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হন । পর্ষদ 2017-র 5 ডিসেম্বর জয়িতার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেয় ।

মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরীর বক্তব্য

যাবতীয় বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Primary Education) আইনজীবীর জানা থাকলেও নিয়োগ বাতিল মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি তিনি । মামলাকারী গত 13 জুন মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি । বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ 269 জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়ে দেন ওইদিন । মামলাকারী জয়িতা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সমস্ত তথ্য প্রমাণ-সহ বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছেন যে তাঁর বক্তব্য না-শুনেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ।

মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী বলেন, ‘‘এক নম্বর বৃদ্ধির পর প্রার্থীর চাকরি হয়েছিল । কীভাবে তিনি এই নম্বর পেলেন, তা প্রার্থীর থেকে জানতে না চেয়ে, তাঁর বক্তব্য কিছু না শুনেই সিঙ্গেল বেঞ্চ কীভাবে একজন প্রার্থীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল ? আমরা এই সমস্ত তথ্য ডিভিশন বেঞ্চের কাছে তুলে ধরব ।"

আরও পড়ুন : Primary Recruitment Scam : মানিক ভট্টাচার্যের সম্পত্তির হিসাব চাইল হাইকোর্ট

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.