কলকাতা, 31 ডিসেম্বর : ব্রিটেন ফেরত এক যুবকের শরীরে কোরোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের খোঁজ পাওয়ার পর রাজ্যজুড়ে নজরদারির সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য দপ্তর। এর জন্য কলকাতা পৌরনিগমের পাশাপাশি রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে চিঠি দেওয়া হয়েছে দপ্তরের তরফে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, ব্রিটেন থেকে আসা বিমানের উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত এক মাসে ব্রিটেন থেকে বিমানে যে সব যাত্রী এসেছেন এরাজ্যে, তাঁদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ঠিক কোন ধরনের ব্যবস্থা ? ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, বিদেশ ফেরত বিমান যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ করতে হবে তাঁদের বাড়ি থেকে। আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে এই নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। দেশে ফেরার পর থেকে 14 দিন পর্যন্ত বিমান যাত্রীদের উপর নজরদারি চালাতে হবে জেলা স্তরের নজরদারি দলকে। দেশে ফেরার পর থেকে 28 দিন পর্যন্ত বিমান যাত্রীদের প্রতিদিনের গতিবিধির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে জেলার নজরদারি আধিকারিককে।
চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে কোনও বিমান যাত্রীর ক্ষেত্রে যদি কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তাহলে তাঁকে হাসপাতালে পৃথক আইসোলেশনে রাখতে হবে। অন্যদিকে, বিদেশ থেকে ফেরা কোনও বিমানযাত্রীর ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়লে, তাঁর সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন তাঁদের পৃথক কোয়ারানটিন সেন্টারে রাখতে হবে। কোয়ারানটিনে থাকার সময় তাঁদের আইসিএমআর-এর গাইডলাইন অনুযায়ী টেস্ট করাতে হবে। যদি তাঁদের কারও ক্ষেত্রে কোরোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তাহলে হাসপাতালে পৃথক আইসোলেশনে রাখতে হবে।
চিঠিতে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে ফেরা যাত্রীদের নিয়মিত ফোন করা হবে অথবা তাঁদের বাড়িতে যাবেন সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই কাজে তাঁরা যেন ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা করেন। দেশে ফেরার পর থেকে 28 দিন পর্যন্ত বিমানযাত্রীরা যাতে নিজেদের উপর নিজেরা নজর রাখেন, অর্থাৎ- জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে কি না, তার দেখার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। জেলার নজরদারি আধিকারিক অথবা রাজ্য স্তরের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে জানাতে বলা হয়েছে।