ETV Bharat / city

বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বামপরিষদীয় দলনেতা - মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মুখ্যমন্ত্রীকে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল 2020 নিয়ে চিঠি বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর । কৃষিক্ষেত্রে ও গরীব মানুষের জন্য ক্রস সাবসিডি বস্তুত থাকবে না । সব গ্রাহককে একই দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে । রাজ্য সরকার ইচ্ছে করলে গ্রাহককে সরাসরি নগদ অর্থ ভর্তুকি বাবদ দিতে পারে । সব রাজ্যের আর্থিক অবস্থা যেহেতু সমান নয়, স্বাভাবিকভাবেই দেশের এক বিশাল অংশের গরিব মানুষ ও কৃষক বিদ্যুৎ কিনে ব্যবহার করতে পারবে না ।

letter to cm
বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী
author img

By

Published : Jun 2, 2020, 10:08 AM IST

কলকাতা, 2 জুন : বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল 2020 নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এবং বিলটির বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল বাম পরিষদীয় দল । মুখ্যমন্ত্রীকে মঙ্গলবার একটি চিঠি দিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, "দেশে লকডাউনের সময়কালকে বেছে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম আইনসহ অনেকগুলি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে । জনবিরোধী এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল 2020 নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এই বিলটির বিরোধিতা সংগত এবং স্বাভাবিক ।"

বিদ্যুৎ সংবিধানের যুগ্ম তালিকার বিষয় হলেও প্রস্তাবিত বিলে এটি কার্যত কেন্দ্রীয় বিষয়ে পর্যবসিত হবে । রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে যাবে । কৃষিক্ষেত্রে ও গরীব মানুষের জন্য ক্রস সাবসিডি বস্তুত থাকবে না । সব গ্রাহককে একই দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে । রাজ্য সরকার ইচ্ছে করলে গ্রাহককে সরাসরি নগদ অর্থ ভর্তুকি বাবদ দিতে পারে । সব রাজ্যের আর্থিক অবস্থা যেহেতু সমান নয়, স্বাভাবিকভাবেই দেশের এক বিশাল অংশের গরিব মানুষ ও কৃষক বিদ্যুৎ কিনে ব্যবহার করতে পারবে না । বিদ্যুৎ সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত একটি কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের অধিকার কমে যাবে । এখানেই বিরোধিতা করেছেন বামেরা ।

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির পরিকল্পনা ও রূপায়ণ নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার । ভৌগোলিক কারণে সব রাজ্যের উৎস এবং সুযোগ সমান নয় । তাই, বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও সংস্থাপন নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে স্বভাবতই বিরোধ এবং বঞ্চনার সৃষ্টি হতে থাকবে । বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "এই বিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রটিকে সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণ করা হবে । অর্থাৎ বিদ্যুৎ পরিষেবা আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য নয়, বস্তুত তা সম্পূর্ণ বাজারি পণ্যে পরিণত হবে ।"

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের জাতীয় সমন্বয় কমিটির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য মঞ্চ মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে বিশদভাবে জানিয়েছে । ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্য, এই বিল বিরোধিতায় অবস্থান গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছে । সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই ওয়াকিবহাল আছেন বলে জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী । রাজ্যের অধিকারের বিরুদ্ধে এটি একটি সরাসরি হস্তক্ষেপ । রাজ্যের পক্ষ থেকে এই বিলটির সার্বিক বিরোধিতা করাটাই সঠিক বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী । এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী বাম দলনেতা ।

কলকাতা, 2 জুন : বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল 2020 নিয়ে আপত্তি জানিয়ে এবং বিলটির বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিল বাম পরিষদীয় দল । মুখ্যমন্ত্রীকে মঙ্গলবার একটি চিঠি দিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী জানান, "দেশে লকডাউনের সময়কালকে বেছে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার শ্রম আইনসহ অনেকগুলি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে । জনবিরোধী এই প্রচেষ্টাগুলির মধ্যে বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল 2020 নিঃসন্দেহে খুবই গুরুত্বপূর্ণ । এই বিলটির বিরোধিতা সংগত এবং স্বাভাবিক ।"

বিদ্যুৎ সংবিধানের যুগ্ম তালিকার বিষয় হলেও প্রস্তাবিত বিলে এটি কার্যত কেন্দ্রীয় বিষয়ে পর্যবসিত হবে । রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠন করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে যাবে । কৃষিক্ষেত্রে ও গরীব মানুষের জন্য ক্রস সাবসিডি বস্তুত থাকবে না । সব গ্রাহককে একই দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে । রাজ্য সরকার ইচ্ছে করলে গ্রাহককে সরাসরি নগদ অর্থ ভর্তুকি বাবদ দিতে পারে । সব রাজ্যের আর্থিক অবস্থা যেহেতু সমান নয়, স্বাভাবিকভাবেই দেশের এক বিশাল অংশের গরিব মানুষ ও কৃষক বিদ্যুৎ কিনে ব্যবহার করতে পারবে না । বিদ্যুৎ সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার নিযুক্ত একটি কর্তৃপক্ষ। রাজ্যের অধিকার কমে যাবে । এখানেই বিরোধিতা করেছেন বামেরা ।

পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির পরিকল্পনা ও রূপায়ণ নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার । ভৌগোলিক কারণে সব রাজ্যের উৎস এবং সুযোগ সমান নয় । তাই, বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও সংস্থাপন নিয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে স্বভাবতই বিরোধ এবং বঞ্চনার সৃষ্টি হতে থাকবে । বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "এই বিলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রটিকে সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণ করা হবে । অর্থাৎ বিদ্যুৎ পরিষেবা আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য নয়, বস্তুত তা সম্পূর্ণ বাজারি পণ্যে পরিণত হবে ।"

প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারদের জাতীয় সমন্বয় কমিটির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য মঞ্চ মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে বিশদভাবে জানিয়েছে । ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্য, এই বিল বিরোধিতায় অবস্থান গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছে । সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্যই ওয়াকিবহাল আছেন বলে জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী । রাজ্যের অধিকারের বিরুদ্ধে এটি একটি সরাসরি হস্তক্ষেপ । রাজ্যের পক্ষ থেকে এই বিলটির সার্বিক বিরোধিতা করাটাই সঠিক বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী । এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন বিরোধী বাম দলনেতা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.