কলকাতা, 26 জুন : পেট্রল-ডিজ়েলের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ শহরে ইন্ডিয়ান অয়েলের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখায় CITU । অভিনব সেই প্রতিবাদে সাইকেল চালালেন বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। ঢাকুরিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েলের দপ্তরের সামনে বাম শ্রমিক সংগঠনের এই বিক্ষোভ। পেট্রল এবং ডিজ়েলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার না করলে দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন করবে শ্রমিক সংগঠনগুলো। কড়া হুঁশিয়ারি সুজন চক্রবর্তীর।
রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার নিজের খেয়ালে চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার জনবিরোধী কাজ করলেও রাজ্য সরকার তার প্রতিবাদ করে না। BJP এবং তৃণমূলকে একে অপরের পরিপূরক বলে মন্তব্য করে CITU নেতৃত্ব। সুজন চক্রবর্তী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম যখন কমছে তখন এদেশে তেলের দাম টানা 20 দিন ধরে বেড়ে চলেছে। আবগারি শুল্ক বাড়িয়ে তেলের মূল্যবৃদ্ধি ঘটাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের কোষাগার ভরাতে, দেশের মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি ছিল 15 লাখ টাকা করে দেশের মানুষকে দেবেন। সে সমস্ত প্রতিশ্রুতি ভুলে গিয়ে এখন তিনি মোদি ম্যাজিক দেখাচ্ছেন পেট্রোল এবং ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি করে। কুড়ি দিন পর পর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে পেট্রল এবং ডিজ়েলের। যা রেকর্ড। মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছেন। পেট্রলের আবগারি শুল্ক 4 গুণ বাড়িয়ে 32 টাকা করা হয়েছে। ডিজেলের আবগারি শুল্ক 3 বৃদ্ধি করে 31 টাকা করা হয়েছে। এর ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে।"
লকডাউনে দেশ এবং রাজ্যের মানুষ দিশেহারা। কর্মস্থানে যেতে পারছে না তারা। প্রধান পরিবহন রেল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে দেশে। রাস্তায় গণপরিবহনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তেলের দাম এভাবে বাড়লে পরিবহন খরচ বেড়ে যাবে দেশের মানুষের। এরই মধ্যে বেকার হয়েছেন অন্তত পঁচিশ কোটি মানুষ । তাদের ভবিষ্যতের কথা না ভেবে কোষাগার ভরে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার সেই জ্বালানির থেকে সেস আদায় করছে।