কলকাতা, 8 মার্চ: আজ বিশ্ব নারী দিবস। আর এই নারী দিবসের দিন নারী জাতিকে কুর্নিশ জানায় ইটিভি ভারত (Women's Day Special)। নারীরা আজ সমাজের সকল দিক দিয়ে পুরুষের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। আর যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন এই কথাতো সকলেরই প্রায় জানা। কিন্তু যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন ৷ আবার তিনি শহরের আইনশৃঙ্খলাও রক্ষা করেন।
বিশ্ব নারী দিবসে ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে একধারে তাঁর মায়ের ভূমিকা,অন্যদিকে স্ত্রী এবং সর্বশেষ থানার ওসি হয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন উল্টোডাঙা মহিলা থানার অফিসার ইনচার্জ শৃঙ্খলা শর্মা। ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "রোজ রাতে থানার ডিউটি অন্য পুলিশ কর্মীদের বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতে রাত 11টা বেজে যায়। বাড়ি গিয়ে সকলের জন্য রান্না করতে হয়। আমার মেয়ে রয়েছে। বয়স 12 বছর। প্রথম অবস্থায় আমার মেয়ে আর সকলের মাকে দেখে বায়না করত যে, আমি কেন তার কাছে সবসময় থাকতে পারি না? কেন তাকে সময় দিতে পারি না । মেয়েকে বোঝাতেই আমার প্রায় এক বছর সময় কেটে গিয়েছে ৷ আর বলতাম, তোমার মতোই কোনও ছোট্ট শিশুর মায়েরা যখন বিপদে পড়ে সেই সময় তোমার মা তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় ৷"
আরও পড়ুন: নারী দিবসে ভারতীয় ছবিতে নারী চরিত্রের বিবর্তন নিয়ে মতামত দিলেন নীনা-মাধুরী
তিনি আরও বলেন, "বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়ে ধীরে ধীরে বুঝতে শিখল যে তার মা অনেক নির্যাতিতার পাশে এসে দাঁড়ায় ৷ কারণ তার মা যে থানার অফিসার ইনচার্জ, সেই থানায় শুধুমাত্র মহিলাদেরই অভিযোগ নেওয়া হয়। বাড়িতে এবং সংসারে আমার গুরুত্বটা বোঝাতেও বেশকিছু সময় লেগেছে তবে ধীরে ধীরে তাঁরা বুঝে গিয়েছেন। ফ্যামিলির জন্য নির্দিষ্ট করে সময় দেওয়া আর পুলিশে চাকরি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। যেখানেই থাকি না কেন, যে অবস্থায় থাকি না কেন, থানায় বড়সড় কোনও ঘটনার খবর এলে সেই মুহূর্তে বেরিয়ে যেতে হয় ৷ অবশ্যই এটি একটি চ্যালেঞ্জিং জব। প্রথম প্রথম আমারও এই চাকরি জীবন মানিয়ে নিতে খানিকটা অসুবিধা হলেও, পরবর্তীকালে আমি মনে করেছি প্রথমে আমি কলকাতা পুলিশের একজন কর্মী। তারপরে আমি কারও মা বা কারও বাড়ির গৃহবধূ।"