ETV Bharat / city

ফি মকুবের দাবিতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ বিদ্যাসাগর গার্লস কলেজে

author img

By

Published : Feb 23, 2021, 1:44 PM IST

ফি মকুবের দাবিতে বিদ্যাসাগর গার্লস কলেজে বিক্ষোভ দেখালেন ছাত্রীরা। সেশন চার্জ, ডেভলপমেন্ট ফি দিতে নারাজ তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ল্যাব না করলেও তার জন্য চার্জ চাওয়া হয়েছে।

student's agitation_in_front_of_vidyasagar_college_for_women
ফি মকুবের দাবিতে ছাত্রীদের বিক্ষোভ বিদ্যাসাগর গার্লস কলেজে

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: ফি মকুবের দাবিতে সকাল থেকেই ছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তাল হল বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেন্স চত্বর। অভিযোগ, করোনা অতিমারির কারণে কলেজ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কোর্সে সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা পর্যন্ত ফি ধার্য করা হয়েছে। এত টাকা ফি দিতে রাজি নন ছাত্রীরা। তাই সকাল থেকেই ফি মকুবের দাবিতে কলেজে এসে সোচ্চার হন তাঁরা। দেখান বিক্ষোভ।

গত শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে আর্টস ও সায়েন্সের স্নাতক কোর্সের তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের ভরতির ফি দিতে বলা হয় বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেন্স কর্তৃপক্ষের তরফে। ফি বাবদ প্রতিটি কোর্সের পড়ুয়াদের কত টাকা কবে জমা দিতে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে। আর সেই বিজ্ঞপ্তি দেখেই চোখ কপালে ওঠে পড়ুয়াদের। দেখা রায়, ভরতির ফি-র সঙ্গে টিউশন ফি, সেশন ফি, ডেভলপমেন্ট ফি, অ্যাকাডেমিক ফি, ল্যাব ফি, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার, জামানত, ডিজিট্যাল লাইব্রেরি ফি, কম্পিউটার ফি বাবদ কোর্স অনুযায়ী প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। যেমন, ফিজিক্সের জন্য 8 হাজার 390 টাকা, ভূগোলের জন্য 8 হাজার 140 টাকা ধার্য করা হয়েছে। 23 ফেব্রুয়ারি থেকে 26 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাগে ভাগে পড়ুয়াদের এসে এই টাকা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কলেজের তরফে।

কিন্তু, আজ সকাল 9টা থেকেই কলেজের সামনে জমায়েত করেন ছাত্রীরা। তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান, এত টাকা দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের কথায় কর্ণপাত করতে চাননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারী এক ছাত্রী স্নেহা সরকার বলেন, "আমাদের লকডাউনে প্রায় 1 বছর কলেজে কোনও ক্লাস হয়নি। তা সত্ত্বেও আমাদের থেকে ফি চাওয়া হচ্ছে প্রায় 8-9 হাজার টাকা করে। আমরা এতো টাকা ফি দিতে পারব না বলে জানিয়েছি কলেজকে। কিন্তু, আমাদের কোনও কথাই শোনা হচ্ছে না। অন্য কলেজে 800-900 টাকা করে টাকা নিচ্ছে। আর আমাদের থেকে এত করে টাকা চাওয়া হচ্ছে। আমরা টিউশন ফি দিতে রাজি আছি। কিন্তু, সেশন চার্জ, ডেভলপমেন্ট ফি দিতে পারব না। ল্যাব আমরা করিই নি। তাও ল্যাব চার্জ চাওয়া হচ্ছে। ডিজিট্যাল লাইব্রেরি কী আমরা জানি না। তারও চার্জ চাওয়া হচ্ছে।" অভিযোগ, আগের সিমেস্টারে ভরতি ফি বাবদ 20 টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে এই বছর প্রতিটি বিষয়েই 1 হাজার টাকা করে ভরতি ফি চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির জন্যই জল প্রকল্পে দেরি, দাবি তৃণমূল নেতার

সবমিলিয়ে ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা ফি মকুবের দাবিতে বেশ কয়েকঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। তারপরে ফি না কমালেও, ফি জমার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করলে আজকের মতো বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে ফিরে যান ছাত্রীরা। ফি জমার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না-করা পর্যন্ত তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারের ফি জমার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। তবে, শেষ পর্যন্ত ফি কমানো হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্ধ মনে রেখেই আজকে ফিরে গেছেন ছাত্রীরা। বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেন্সের ইকোনমিকসের ছাত্রী মৌলী বিশ্বাস বলেন, "আজকে একটা স্থগিত রাখার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কিন্তু, ফি কমানো হবে কি না তা জানানো হয়নি। এবার দেখা যাক।"

কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: ফি মকুবের দাবিতে সকাল থেকেই ছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তাল হল বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেন্স চত্বর। অভিযোগ, করোনা অতিমারির কারণে কলেজ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন কোর্সে সাড়ে পাঁচ হাজার থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা পর্যন্ত ফি ধার্য করা হয়েছে। এত টাকা ফি দিতে রাজি নন ছাত্রীরা। তাই সকাল থেকেই ফি মকুবের দাবিতে কলেজে এসে সোচ্চার হন তাঁরা। দেখান বিক্ষোভ।

গত শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে আর্টস ও সায়েন্সের স্নাতক কোর্সের তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের ভরতির ফি দিতে বলা হয় বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেন্স কর্তৃপক্ষের তরফে। ফি বাবদ প্রতিটি কোর্সের পড়ুয়াদের কত টাকা কবে জমা দিতে হবে, তা জানিয়ে দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে। আর সেই বিজ্ঞপ্তি দেখেই চোখ কপালে ওঠে পড়ুয়াদের। দেখা রায়, ভরতির ফি-র সঙ্গে টিউশন ফি, সেশন ফি, ডেভলপমেন্ট ফি, অ্যাকাডেমিক ফি, ল্যাব ফি, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার, জামানত, ডিজিট্যাল লাইব্রেরি ফি, কম্পিউটার ফি বাবদ কোর্স অনুযায়ী প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে আট হাজার টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। যেমন, ফিজিক্সের জন্য 8 হাজার 390 টাকা, ভূগোলের জন্য 8 হাজার 140 টাকা ধার্য করা হয়েছে। 23 ফেব্রুয়ারি থেকে 26 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভাগে ভাগে পড়ুয়াদের এসে এই টাকা জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কলেজের তরফে।

কিন্তু, আজ সকাল 9টা থেকেই কলেজের সামনে জমায়েত করেন ছাত্রীরা। তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান, এত টাকা দেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের কথায় কর্ণপাত করতে চাননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভকারী এক ছাত্রী স্নেহা সরকার বলেন, "আমাদের লকডাউনে প্রায় 1 বছর কলেজে কোনও ক্লাস হয়নি। তা সত্ত্বেও আমাদের থেকে ফি চাওয়া হচ্ছে প্রায় 8-9 হাজার টাকা করে। আমরা এতো টাকা ফি দিতে পারব না বলে জানিয়েছি কলেজকে। কিন্তু, আমাদের কোনও কথাই শোনা হচ্ছে না। অন্য কলেজে 800-900 টাকা করে টাকা নিচ্ছে। আর আমাদের থেকে এত করে টাকা চাওয়া হচ্ছে। আমরা টিউশন ফি দিতে রাজি আছি। কিন্তু, সেশন চার্জ, ডেভলপমেন্ট ফি দিতে পারব না। ল্যাব আমরা করিই নি। তাও ল্যাব চার্জ চাওয়া হচ্ছে। ডিজিট্যাল লাইব্রেরি কী আমরা জানি না। তারও চার্জ চাওয়া হচ্ছে।" অভিযোগ, আগের সিমেস্টারে ভরতি ফি বাবদ 20 টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে এই বছর প্রতিটি বিষয়েই 1 হাজার টাকা করে ভরতি ফি চাওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনা পরিস্থিতির জন্যই জল প্রকল্পে দেরি, দাবি তৃণমূল নেতার

সবমিলিয়ে ক্ষুব্ধ ছাত্রীরা ফি মকুবের দাবিতে বেশ কয়েকঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান। তারপরে ফি না কমালেও, ফি জমার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তি জারি করলে আজকের মতো বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে ফিরে যান ছাত্রীরা। ফি জমার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি জারি না-করা পর্যন্ত তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারের ফি জমার প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। তবে, শেষ পর্যন্ত ফি কমানো হবে কিনা, তা নিয়ে ধন্ধ মনে রেখেই আজকে ফিরে গেছেন ছাত্রীরা। বিদ্যাসাগর কলেজ ফর উইমেন্সের ইকোনমিকসের ছাত্রী মৌলী বিশ্বাস বলেন, "আজকে একটা স্থগিত রাখার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কিন্তু, ফি কমানো হবে কি না তা জানানো হয়নি। এবার দেখা যাক।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.