কলকাতা, 19 মে: এখনও উত্তপ্ত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ও নিউ টাউন ক্যাম্পাস (Student agitation in Aliah University)৷ মঙ্গলবার রাত থেকে অনলাইনে পরীক্ষার দাবিতে শুরু হয়েছে ছাত্রদের আন্দোলন ৷ ইতিমধ্যেই গরম ও শরীরে জলশূন্যতার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দুজন পড়ুয়া । কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছাত্রদের ম্যারাথন বৈঠকের পরও জট কাটেনি (demand of online exam)৷
বুধবার দুপুর থেকেই চলে বৈঠক । তবে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । পড়ুয়াদের অভিযোগ, অসুস্থ হয়ে পড়ার পর দুই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে অ্যাম্বুলান্সেরও ব্যবস্থা করা হয়নি (Aliah University agitation)।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং সেমিস্টারের পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন । সারাদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ও নিউ টাউন ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালান পড়ুয়ারা । কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের সঙ্গে কেউ কথা বলতে চায়নি বলে অভিযোগ ৷ নিজেদের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা মঙ্গলবার রাতে পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে উপাচার্য শেখ কামরউদ্দিন, রেজিস্ট্রার ও ডিনকে ঘেরাও করেন ।
![Student agitation continues in Alia University in demand of online exam](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-01-nodecisionyetataliahuniversityregardingexammodemarathonmeetingwithvc-copy-7206406_18052022162338_1805f_1652871218_319.jpg)
আরও পড়ুন: Aliah University Student Agitation : অনলাইন পরীক্ষার দাবিতে অনড় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা
অন্যদিকে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া অনশন শুরু করেছেন । এখনও চলছে তাঁদের অনশন । উপাচার্য শেখ কামরউদ্দিন গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন । জানানো হয় যে, বুধবার নিউটাউন ক্যাম্পাসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে উপনীত হবে দু পক্ষ । এরপরেই বুধবার বহুক্ষণ ধরে দু পক্ষের মধ্যে বৈঠক চলে । পড়ুয়ারা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বুধবার যদি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা তাঁদের অনশন জারি রাখবেন ।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর কলেজ ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের পর আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়েও অনলাইনে পরীক্ষার দাবি জানান পরীক্ষার্থীরা । পড়ুয়াদের মতে, মোট ক্লাসের 50 শতাংশের বেশি ক্লাস অনলাইনে হয়েছে । শুধু তাই নয়, মাত্র দু মাসের মধ্যে পাঁচ মাসের সিলেবাস শেষ করানো হয়েছে । গোটা পাঠ্যক্রমের এখনও অনেকটাই পড়ানো হয়নি । আর তার মধ্যেই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।