ETV Bharat / city

"ঠান্ডা ভালো, বৃষ্টি খারাপ", ডেঙ্গির মরশুম নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্য দপ্তর - ডেঙ্গির মরশুম

অন্যান্য বছর দেখা যায় 20 নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গি কমে যায় । এবার হয়ত 20 নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গি পুরোপুরি নাও কমতে পারে ‌। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এটা চলতে পারে । বললেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তী ৷

প্রতীকী ছবি
author img

By

Published : Oct 27, 2019, 5:26 AM IST

কলকাতা, 27 অক্টোবর : ঠান্ডা ভালো, বৃষ্টি খারাপ । তবে, এখনই বোঝা সম্ভব হচ্ছে না ভালো না খারাপ, কোন দিকের পাল্লা কত বেশি ভারী । যার জেরে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এখনও বুঝতে পারছে না, ডেঙ্গি সংক্রমণের হার এবার আরও বেড়ে যাবে কি না । স্বাস্থ্য দপ্তর এখনও বুঝতে পারছে না, এবার আরও কতদিন চলবে ডেঙ্গির মরশুম ।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে বৃষ্টি অব্যাহত । বৃষ্টির সঙ্গে তাপমাত্রাও কমে গেছে । এদিকে, এই বৃষ্টির জমা জলে যেমন ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশার বংশ বৃদ্ধি ঘটতে পারে । তেমনই, তাপমাত্রা কম থাকলে অর্থাৎ, ঠান্ডা পড়লে কমে যেতে পারে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার । নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গির মরশুম থাকে, বিশেষজ্ঞরা এমনই বলেন । অনেক চিকিৎসক বলছেন, এই অক্টোবরের শেষেও ডেঙ্গি সংক্রমণের হার বেশ ভালোরকম রয়েছে । এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "ডেঙ্গি সংক্রমণের হার একটু বেড়েছিল, এখনও পর্যন্ত বেড়ে আছে । তবে, ধীরে ধীরে এবার কমের দিকে যাবে ।"

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "উত্তর 24 পরগনার হাবরাসহ সেখানকার আশপাশ অঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ কমে গেছে । তবে, নদিয়া এবং হাওড়ায় ডেঙ্গির প্রকোপ এখনও রয়েছে ।" এই যে বৃষ্টি হল, তা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "বৃষ্টি হল । একটু ঠান্ডাও পড়েছে । ঠান্ডা ভালো, বৃষ্টি খারাপ । এই দুটো মিলিয়ে ফলাফল কী দাঁড়াবে তা দিন পনেরোর মধ্যে বোঝা যাবে ।" নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গির মরশুম । এই নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "অন্যান্য বছর দেখা যায় 20 নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গি কমে যায় । এবার হয়ত 20 নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গি পুরোপুরি নাও কমতে পারে ‌। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এটা চলতে পারে । ডিসেম্বরে ডেঙ্গি থাকবে না, কারণ ঠান্ডা পড়ে যাবে । এই বৃষ্টির জন্য ডেঙ্গি কমতে আরও একটু সময় লেগে যাবে ।"

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "একটা বিষয় ভালো, ঠান্ডাটা একটু পড়েছে । অন্য বছর এই সময় এতটা ঠান্ডা থাকে না । যদি ঠান্ডাটা চলে আসে, তাহলে ডেঙ্গি কমে যাবে ।" রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে 19 জনের মৃত্যু হয়েছে । যদিও সূত্রের খবর, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী মৃতের এই সংখ্যা আরও বাড়বে । কারণ, ডেঙ্গিতে কারও মৃত্যু হয়েছে কি না, স্বাস্থ্য দপ্তর তা খতিয়ে দেখে ঘোষণা করে । সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি ঘটনা এখনও খতিয়ে দেখেনি স্বাস্থ্য দপ্তর । খতিয়ে দেখার পরে, চলতি বছরে এ রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা অন্তত 25 যেতে পারে । চলতি বছরে এ রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার 17 হাজারের মতো ।

এ দিকে, ডেঙ্গির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার নবান্নে মাসিক পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে সব বিভাগকে নিয়ে । পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে । এ দিকে, ডেঙ্গিতে এবার শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন । রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "ডেঙ্গি শহরে হয়, এবার দেখা যাচ্ছে শহরের বদলে গ্রামে বেশি হচ্ছে ।" কেন এমন পরিস্থিতি? তিনি বলেন, "অ্যালবোপিকটাস মশা ঘরের বাইরে বেশি কামড়ায় । গ্রামাঞ্চলে এই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গির সংক্রমণ ঘটছে ।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "এই মশা শহরেও দেখা যায় । রোগ ধীরে ধীরে ছড়িয়েও পড়তে থাকে‌ ।"

কলকাতা, 27 অক্টোবর : ঠান্ডা ভালো, বৃষ্টি খারাপ । তবে, এখনই বোঝা সম্ভব হচ্ছে না ভালো না খারাপ, কোন দিকের পাল্লা কত বেশি ভারী । যার জেরে, রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এখনও বুঝতে পারছে না, ডেঙ্গি সংক্রমণের হার এবার আরও বেড়ে যাবে কি না । স্বাস্থ্য দপ্তর এখনও বুঝতে পারছে না, এবার আরও কতদিন চলবে ডেঙ্গির মরশুম ।

অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রাজ্যে বৃষ্টি অব্যাহত । বৃষ্টির সঙ্গে তাপমাত্রাও কমে গেছে । এদিকে, এই বৃষ্টির জমা জলে যেমন ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশার বংশ বৃদ্ধি ঘটতে পারে । তেমনই, তাপমাত্রা কম থাকলে অর্থাৎ, ঠান্ডা পড়লে কমে যেতে পারে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার । নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গির মরশুম থাকে, বিশেষজ্ঞরা এমনই বলেন । অনেক চিকিৎসক বলছেন, এই অক্টোবরের শেষেও ডেঙ্গি সংক্রমণের হার বেশ ভালোরকম রয়েছে । এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "ডেঙ্গি সংক্রমণের হার একটু বেড়েছিল, এখনও পর্যন্ত বেড়ে আছে । তবে, ধীরে ধীরে এবার কমের দিকে যাবে ।"

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "উত্তর 24 পরগনার হাবরাসহ সেখানকার আশপাশ অঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ কমে গেছে । তবে, নদিয়া এবং হাওড়ায় ডেঙ্গির প্রকোপ এখনও রয়েছে ।" এই যে বৃষ্টি হল, তা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "বৃষ্টি হল । একটু ঠান্ডাও পড়েছে । ঠান্ডা ভালো, বৃষ্টি খারাপ । এই দুটো মিলিয়ে ফলাফল কী দাঁড়াবে তা দিন পনেরোর মধ্যে বোঝা যাবে ।" নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গির মরশুম । এই নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "অন্যান্য বছর দেখা যায় 20 নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গি কমে যায় । এবার হয়ত 20 নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গি পুরোপুরি নাও কমতে পারে ‌। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এটা চলতে পারে । ডিসেম্বরে ডেঙ্গি থাকবে না, কারণ ঠান্ডা পড়ে যাবে । এই বৃষ্টির জন্য ডেঙ্গি কমতে আরও একটু সময় লেগে যাবে ।"

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "একটা বিষয় ভালো, ঠান্ডাটা একটু পড়েছে । অন্য বছর এই সময় এতটা ঠান্ডা থাকে না । যদি ঠান্ডাটা চলে আসে, তাহলে ডেঙ্গি কমে যাবে ।" রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে 19 জনের মৃত্যু হয়েছে । যদিও সূত্রের খবর, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী মৃতের এই সংখ্যা আরও বাড়বে । কারণ, ডেঙ্গিতে কারও মৃত্যু হয়েছে কি না, স্বাস্থ্য দপ্তর তা খতিয়ে দেখে ঘোষণা করে । সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি ঘটনা এখনও খতিয়ে দেখেনি স্বাস্থ্য দপ্তর । খতিয়ে দেখার পরে, চলতি বছরে এ রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা অন্তত 25 যেতে পারে । চলতি বছরে এ রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার 17 হাজারের মতো ।

এ দিকে, ডেঙ্গির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার নবান্নে মাসিক পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে সব বিভাগকে নিয়ে । পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গেছে । এ দিকে, ডেঙ্গিতে এবার শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন । রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "ডেঙ্গি শহরে হয়, এবার দেখা যাচ্ছে শহরের বদলে গ্রামে বেশি হচ্ছে ।" কেন এমন পরিস্থিতি? তিনি বলেন, "অ্যালবোপিকটাস মশা ঘরের বাইরে বেশি কামড়ায় । গ্রামাঞ্চলে এই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গির সংক্রমণ ঘটছে ।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "এই মশা শহরেও দেখা যায় । রোগ ধীরে ধীরে ছড়িয়েও পড়তে থাকে‌ ।"

Intro:কলকাতা, ২৬ অক্টোবর: ঠান্ডা ভালো, বৃষ্টি খারাপ। তবে, এখনই বোঝা সম্ভব হচ্ছে না ভালো না খারাপ, কোন দিকের পাল্লা কত বেশি ভারী। যার জেরে, রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তর এখনও বুঝতে পারছে না, ডেঙ্গি সংক্রমণের হার এবার আরও বেড়ে যাবে কি না। স্বাস্থ্য দপ্তর এখনও বুঝতে পারছে না, এবার আরও কতদিন চলবে ডেঙ্গির মরশুম।Body:অক্টোবরের শেষেও বৃষ্টি হল। বৃষ্টির সঙ্গে তাপমাত্রাও কমে গিয়েছে। এদিকে, এই বৃষ্টির জমা জলে যেমন ডেঙ্গির জীবাণু বহনকারী মশার বংশ বৃদ্ধি ঘটতে পারে। তেমনই অন্যদিকে, তাপমাত্রা কম থাকলে অর্থাৎ, ঠান্ডা পড়লে কমে যেতে পারে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার। নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গির মরশুম থাকে, বিশেষজ্ঞরা এমনই বলেন। যদিও, অনেক চিকিৎসক বলছেন, এই অক্টোবরের শেষেও ডেঙ্গি সংক্রমণের হার বেশ ভালোরকম রয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "ডেঙ্গি সংক্রমণের হার একটু বেড়েছিল, এখনও পর্যন্ত বেড়ে আছে। তবে, ধীরে ধীরে এবার কমের দিকে যাবে।"

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া সহ সেখানকার আশপাশ অঞ্চলে ডেঙ্গির প্রকোপ কমে গিয়েছে। তবে, নদিয়া এবং হাওড়ায় ডেঙ্গির প্রকোপ এখনও রয়েছে।" এই যে বৃষ্টি হল, তা কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "বৃষ্টি হল। একটু ঠান্ডাও পড়েছে। ঠান্ডা ভালো, বৃষ্টি খারাপ। এই দুটো মিলিয়ে ফলাফল কী দাঁড়াবে তা দিন ১৫-র মধ্যে বোঝা যাবে।" নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গির মরশুম...। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "অন্যান্য বছর দেখা যায় ২০ নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গি কমে যায়। এবার হয়তো ২০ নভেম্বরের মধ্যে ডেঙ্গি পুরোপুরি নাও কমতে পারে‌। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত এটা চলতে পারে।ডিসেম্বরে ডেঙ্গি থাকবে না, কারণ ঠান্ডা পড়ে যাবে। এই বৃষ্টির জন্য ডেঙ্গি কমতে আরও একটু সময় লেগে যাবে।"

একই সঙ্গে তিনি বলেন, "একটা বিষয় ভালো, ঠান্ডাটা একটু পড়েছে। অন্য বছর এই সময় এতটা ঠান্ডা থাকে না। যদি ঠাণ্ডাটা চলে আসে, তাহলে ডেঙ্গি কমে যাবে।" রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী মৃতের এই সংখ্যা আরও বাড়বে। কারণ, ডেঙ্গিতে কারও মৃত্যু হয়েছে কি না, স্বাস্থ্য দপ্তর তা খতিয়ে দেখে ঘোষণা করে। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি ঘটনা এখনও খতিয়ে দেখেনি স্বাস্থ্য দপ্তর। খতিয়ে দেখার পরে, চলতি বছরে এ রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৫ যেতে পারে। সূত্রের খবর, চলতি বছরে এ রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণের হার ১৭ হাজারের মতো।
Conclusion:এ দিকে, ডেঙ্গির সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল, শুক্রবার নবান্নে মাসিক পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে সব বিভাগকে নিয়ে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এ দিকে, ডেঙ্গিতে এবার শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, "ডেঙ্গি শহরে হয়, এবার দেখা যাচ্ছে শহরের বদলে গ্রামে বেশি হচ্ছে।" কেন এমন পরিস্থিতি? তিনি বলেন, "অ্যালবোপিকটাস মশা ঘরের বাইরে বেশি কামড়ায়। গ্রামাঞ্চলে এই মশার মাধ্যমে ডেঙ্গির সংক্রমণ ঘটছে।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "এই মশা শহরেও দেখা যায়। রোগ ধীরে ধীরে ছড়িয়েও পড়তে থাকে‌।"

_______


ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.