কলকাতা, 21 জানুয়ারি : রাজ্যের আসন্ন চার পৌরনিগমে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election commission announc new circulations for upcoming municipal elections)। কোভিডের কারণে যে চার পৌরনিগমের নির্বাচন পিছিয়ে আগামী মাসের 12 তারিখ করা হয়েছে সেখানে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর কমিশন ৷ সেই কারণেই নয়া এই নির্দেশিকা জারি।
শুক্রবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে নয়া যে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে তাতে নতুন ভোটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জোগাতে রুটমার্চ ও এরিয়া ডমিনেশনের কাজ চলবে। সমাজবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে গত 17 ডিসেম্বর থেকে নির্মীয়মাণ বাড়ি, কমিউনিটি হল, লজ, হোটেল, গেস্ট হাউস ও স্টেডিয়ামে বিকেল পাঁচটার পর থেকে নজরদারি চলছে, নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত এই নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে। এছাড়া নির্দেশিকায় যা যা উল্লেখ রয়েছে :
- সীমান্ত এলাকাগুলিতে গাড়িতে নাকা চেকিং চলবে।
- প্রয়োজন পড়লে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পরিচয় যাচাই করা হবে।
- পুলিশ প্রশাসনকে সমস্ত বেআইনি অস্ত্র ও মদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
- অতীতে বুথ দখল এবং নির্বাচনী হিংসায় অভিযুক্ত কেউ বর্তমানে যদি জামিনে বাইরে থাকেন এবং তার কাছে যদি লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র থাকে, তবে তা প্রশাসনের হেফাজতে নিতে হবে।
- নির্বাচনের একদিন আগে এলাকার দাগী অপরাধীদের আটক করতে হবে।
- আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ ও কুইক রেসপন্স টিমকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।
- নির্বাচনের আগেরদিন পোলিং পার্টি পৌঁছনোর আগে সেখানে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়ন করতে হবে। বুথ প্রহরার দায়িত্বে থাকা সশস্ত্র পুলিশকে বুথ দখল, রিগিং রুখতে হবে।
- যে মানুষ বুথে এসে ভোট দিতে চাইবেন তাঁরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে।
- ভোটের দিন যদি কোনও প্রার্থী বা পার্টির লোকজন অনুমতিহীন গাড়ি নিয়ে এলাকায় ঘোরাঘুরি করে তবে তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। বাইক মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
- ভোটের দিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পগুলিতেও চলবে কড়া নজরদারি।
- সমস্ত বুথে থাকবে সিসিটিভি ব্যবস্থা।
- ভোটের দিন সমস্ত রাজনৈতিক দলের পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।