ETV Bharat / city

COVID Deaths : করোনাকালে অনাথ হওয়া নাবালকদের তথ্য সংগ্রহ নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের - Department of Women and Child Development and Social Welfare

করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাবা-মা হারিয়েছে এমন নাবালকদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করল নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর ৷ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) জানিয়েছেন, এর জন্য ইতিমধ্যেই জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷

COVID Deaths : করোনাকালে অনাথ হওয়া নাবালকদের তথ্য সংগ্রহ নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের
COVID Deaths : করোনাকালে অনাথ হওয়া নাবালকদের তথ্য সংগ্রহ নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের
author img

By

Published : Aug 26, 2021, 4:25 PM IST

কলকাতা, 26 অগস্ট : করোনাকালে অনাথ হওয়া নাবালকদের দায়িত্ব কার ? এই জটিল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যখন সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে, ঠিক তখনই তাদের কথা ভেবে এগিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকার । অভিভাবকহীন এই ধরনের শিশুর সংখ্যা রাজ্যে কত, তার ডেটাবেস তৈরির কাজ শুরু করল রাজ্য । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে নারী-শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর (Department of Women and Child Development and Social Welfare) । করোনা আবহে গোটা রাজ্যজুড়ে 18 বছরের কম বয়সী অনেক শিশুই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে । এই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার এদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার । রাজ্যের নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর ইতিমধ্যে এই সমস্ত শিশুদের নিয়ে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ।

এর মূল উদ্দেশ্য হল, হঠাৎ করে বিপদে পড়ে যাওয়া এই সমস্ত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যার সমাধান করা । এই নিয়ে রাজ্যের নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) জানিয়েছেন, করোনাকালে এরকম বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে 18 বছরের কমবয়সী শিশুদের বাবা এবং মা উভয়ই কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন । আবার এরকম ঘটনাও ঘটেছে যেখানে শিশুর অভিভাবকের কোনও একজন মারা গিয়েছেন ।

খুব স্বাভাবিকভাবে এধরনের শিশুরা যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে পড়েছে । অনেকাংশেই দেখা যাচ্ছে, আর্থিক সমস্যার জন্য স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে । মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া, দৈনিক পুষ্টির প্রয়োজন না মেটা অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার যৌন নির্যাতনের শিকারও হচ্ছে শিশুরা । এই তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে এই সমস্ত শিশুদের কীভাবে সাহায্য করা যায় সেদিকে নজর দেবে দফতর । ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক এবং সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসারদের এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।

মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন কোম্পানির সিএসআর সংক্রান্ত অনুদান বিভিন্ন এনজিওগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে । সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার সিএসআর অনুদান এই ধরনের শিশুদের দেখভালের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে । এই সমস্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ালে শিশু পাচারের মতো অপরাধও অনেকাংশে কমতে পারে বলে মন্ত্রীর অভিমত । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন তাঁর দফতর রুটিন কাজের বাইরে গিয়ে সেফহোম তৈরি এবং করোনা আক্রান্ত রোগীকে আলাদাভাবে রেখে তার চিকিৎসা করার উদ্যোগ নিয়েছিল । এখনও তারা করোনার কারণে সহায় সম্বলহীনদের পাশে দাঁড়ানোর নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।

আরও পড়ুন : Corona in India : দৈনিক সংক্রমণের সত্তরভাগ কেরালায়, দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে 'ঈশ্বরের আপন দেশ'

কলকাতা, 26 অগস্ট : করোনাকালে অনাথ হওয়া নাবালকদের দায়িত্ব কার ? এই জটিল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যখন সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে, ঠিক তখনই তাদের কথা ভেবে এগিয়ে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকার । অভিভাবকহীন এই ধরনের শিশুর সংখ্যা রাজ্যে কত, তার ডেটাবেস তৈরির কাজ শুরু করল রাজ্য । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে এই নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে নারী-শিশু ও সমাজ কল্যাণ দফতর (Department of Women and Child Development and Social Welfare) । করোনা আবহে গোটা রাজ্যজুড়ে 18 বছরের কম বয়সী অনেক শিশুই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে । এই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার এদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার । রাজ্যের নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর ইতিমধ্যে এই সমস্ত শিশুদের নিয়ে তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ।

এর মূল উদ্দেশ্য হল, হঠাৎ করে বিপদে পড়ে যাওয়া এই সমস্ত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সমস্যার সমাধান করা । এই নিয়ে রাজ্যের নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) জানিয়েছেন, করোনাকালে এরকম বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে 18 বছরের কমবয়সী শিশুদের বাবা এবং মা উভয়ই কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন । আবার এরকম ঘটনাও ঘটেছে যেখানে শিশুর অভিভাবকের কোনও একজন মারা গিয়েছেন ।

খুব স্বাভাবিকভাবে এধরনের শিশুরা যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে পড়েছে । অনেকাংশেই দেখা যাচ্ছে, আর্থিক সমস্যার জন্য স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে । মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া, দৈনিক পুষ্টির প্রয়োজন না মেটা অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার যৌন নির্যাতনের শিকারও হচ্ছে শিশুরা । এই তথ্যভাণ্ডার তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে এই সমস্ত শিশুদের কীভাবে সাহায্য করা যায় সেদিকে নজর দেবে দফতর । ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসক এবং সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অফিসারদের এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।

মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন কোম্পানির সিএসআর সংক্রান্ত অনুদান বিভিন্ন এনজিওগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যবহৃত হচ্ছে । সেক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থার সিএসআর অনুদান এই ধরনের শিশুদের দেখভালের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে । এই সমস্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ালে শিশু পাচারের মতো অপরাধও অনেকাংশে কমতে পারে বলে মন্ত্রীর অভিমত । করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন তাঁর দফতর রুটিন কাজের বাইরে গিয়ে সেফহোম তৈরি এবং করোনা আক্রান্ত রোগীকে আলাদাভাবে রেখে তার চিকিৎসা করার উদ্যোগ নিয়েছিল । এখনও তারা করোনার কারণে সহায় সম্বলহীনদের পাশে দাঁড়ানোর নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।

আরও পড়ুন : Corona in India : দৈনিক সংক্রমণের সত্তরভাগ কেরালায়, দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে 'ঈশ্বরের আপন দেশ'

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.