কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর : 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের (Bengal Assembly Elections 2021) পর বিজেপির (BJP) সবচেয়ে বড় কর্মসূচি ছিল নবান্ন অভিযান (BJP Nabanna Abhijan) । অথচ এই নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্য বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল গেরুয়া শিবির ৷ কিন্তু তা নিয়ে কার্যত কিছুটা নিষ্ক্রিয়তাই দেখা গেল বিরোধী দলের বিধায়কদের মধ্যে ।
এদিন বিধানসভার শুরুতেই নবান্ন অভিযান নিয়ে বিজেপির আনা মুলতবি প্রস্তাব পাঠের সুযোগ দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker Biman Banerjee) । সাধারণত মুলতবি প্রস্তাব এভাবে পাঠের সুযোগ দিলেও, তা নিয়ে আলোচনার দাবি জানান বিরোধীরা । দাবি না মানলে সেক্ষেত্রে ওয়াক আউটের ছবিও দেখা যায় হামেশাই ।
এ দিন অবশ্য সেই ছবি দেখা যায়নি। প্রস্তাব পাঠের পর, তা নিয়ে আলোচনার দাবি পর্যন্ত জানালেন না বিরোধী বিধায়করা । আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক । বিজেপির যে ইস্যুকে সর্বভারতীয় স্তরে তুলে এনে প্রচারের জন্য সরব হয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব । সেখানে কেন বিজেপি পরিষদীয় দলের এই নিয়ে আলোচনায় অনীহা ? বিতর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে যখন কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মার জানিয়েছেন, এদিন বিধানসভার মুড আলোচনার পক্ষে ছিল না ।
আর তাঁর এই বক্তব্যে যেন রাজ্যের শাসক দল নিজেদের হাতে অস্ত্র পেয়ে গিয়েছে । এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা বা বিরোধী শিবিরের কারোরই সেভাবে বিধানসভা সম্পর্কে ধারণা নেই ৷ আর এই অজ্ঞানতা থেকেই এই ধরনের আচরণ করছেন তাঁরা ।’’
তিনি এও বলেন, ‘‘বিরোধী দল চাইলে এই বিষয়ে আলোচনা আদায় করে নিতে পারত অথবা আলোচনা না হলেও তাই নিয়ে প্রতিবাদ নথিভুক্ত করাতে পারতো । একরকম অভিজ্ঞতার অভাবেই সেই সুযোগ হারালো বিরোধী পক্ষ ।’’
এদিন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা কী বলেছেন আমি জানি না । আমরা আলাদা করে আলোচনার জন্য হইচই করিনি কারণ আমরা জানি অধ্যক্ষ আমাদের সেই সুযোগ দেবেন না ।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘নবান্ন অভিযানের জন্য দলের তরফ থেকে একাধিক স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা হলেও পুলিশ আমাদের কর্মী ও সমর্থকদের একটা বড় অংশকে কলকাতায় আসতে দেয়নি । সেদিন কার্যত ভূমিকা নিয়েছিল পুলিশ । আর যারা কলকাতায় এসেছিল তাদের উপর বর্বরতা আক্রমণ করেছে পুলিশ ।’’
তাঁর সংযোজন, ‘‘তার বিরুদ্ধে আমরা এই মুলতবি প্রস্তাব এনেছিলাম । আমরা আমাদের বক্তব্য রেকর্ড করিয়েছি । আমরা জানি কার আমাদের এই নিয়ে আলোচনা করতে দেবেন না । তাই বিধানসভার বাইরে আমাদের আন্দোলন চলছে এবং চলবে ।’’
আরও পড়ুন : শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে নয়া নথি পেশ শুভেন্দুর