ETV Bharat / city

Opposition supports CJI comment: দেশে বিরোধী পরিসর সংকীর্ণ হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে সহমত বাম-কং-তৃণমূল - প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা

দেশে বিরোধী পরিসর সংকীর্ণ হচ্ছে (Space for Opposition is diminishing in India)৷ প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার (CJI Ramana) এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করল বাম, কংগ্রেস ও তৃণমূল (Left Congress TMC support CJI comment)৷

Space for Opposition is diminishing in India, says CJI Ramana; Left Congress TMC support comment
দেশে বিরোধী পরিসর সংকীর্ণ হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে সহমত বাম-কং-তৃণমূল
author img

By

Published : Jul 17, 2022, 5:40 PM IST

কলকাতা, 17 জুলাই: ক্রমেই বিরোধী পরিসর সংকীর্ণ হচ্ছে (Space for Opposition is diminishing in India)। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত নয় । দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেটাই এখন করা যাচ্ছে । যা একেবারে স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের লক্ষণ নয় । শক্তিশালী বিরোধীই পারে সরকারকে ত্রুটিমুক্ত করতে । সহযোগিতামূলক বিরোধিতাই আদর্শ গণতন্ত্র গড়ে তুলতে পারে । রাজস্থানের বিধানসভার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ ভাবেই নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (Opposition supports CJI comment)। আর দেশের প্রধান বিচারপতির (CJI Ramana) এই বক্তব্যকে যথার্থ হিসেবেই মনে করছে এ রাজ্যের তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস ।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ যথাযথ । তাঁর বক্তব্য সঠিক । এখন তো সংসদে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিল পাশ হয়ে যাচ্ছে । বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে । এই অবস্থায় শুধু প্রধান বিচারপতি কেন, প্রত্যেক নাগরিকের এই নিয়ে ভাবা উচিত । তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও । স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছেন, প্রধান বিচারপতির এই উদ্বেগের পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে । যত সময় যাচ্ছে দেশে বিরোধীদের জন্য পরিসর ছোট হয়ে যাচ্ছে । নিজের ছাড়া কারও কথা শুনতে চাইছে না বিজেপি । এর ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে (Left Congress TMC support CJI comment)।

অন্যদিকে, এই বিষয় নিয়ে সবর হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও । তিনি বলেছেন, এতদিন বিরোধী দলগুলোর মুখে যে কথা শোনা যেত, এ বার সেই কথাই বলছেন দেশের প্রধান বিচারপতি । আসলে এর মাধ্যমে দেশ এবং রাজ্যের শাসক দলগুলিকে একটা সতর্কবাণী দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি । কোনও সন্দেহ নেই দেশ বা রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে জনসমর্থন রয়েছে, যার উপর ভিত্তি করে তারা ক্ষমতায় রয়েছেন । জনগণের সমর্থন পেয়ে অন্য জনপ্রতিনিধিরা যে কাজ করছেন সেগুলো সঠিক নয় এটা বলা যাবে না । এমন পরিস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয় । সরকার ভুল করলে তার বিরোধিতা কেন বিরোধী দল করতে পারবে না, এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । সুজন চক্রবর্তীর দাবি, বিরোধীদের বাদ দিয়ে এবং বিরোধিতা বাদ দিয়ে যে গণতন্ত্র হয় না, তা-ই আরও একবার প্রধান বিচারপতি রাজস্থানের অনুষ্ঠানে গিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন । রাজ্যের শাসক, কেন্দ্রের শাসক সকলকেই এই সতর্কবার্তা মেনে চলা উচিত ।

আরও পড়ুন: বাংলার রাজভবনে পরবর্তী মুখ কে ? বড় চমকের অপেক্ষা !

কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সঠিক কথাই বলেছেন প্রধান বিচারপতি । কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য যাঁরা দেশের শাসক তাঁদের কান পর্যন্ত পৌঁছল তো ! গণতন্ত্রের কথা বললেই বিরোধীদের কথা অবশ্যই আসবে । কিন্তু এ বারের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দেশে তাকে আদৌ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বলা যায় তো ? এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ।

যদিও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, "আমার মনে হয় বিরোধীরা প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছেন । যে কোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকার উপরে । তখনই গণতন্ত্রের সাফল্য আসবে যখন একটা দায়িত্বশীল বিরোধীদল পাওয়া যাবে । আইনসভা কখনও মুখ্যমন্ত্রী বা শাসকদলের জন্য নয়, আইনসভা সর্বদাই বিরোধীদের । গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্তই হল বিরোধিতার অধিকার । কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বর্তমানে এই বিশাল ভারতে কোনও শক্তিশালী বিরোধী দল নেই । শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস পার্টিও এখন এতটাই প্রান্তিক হয়ে পড়েছে যে তারাও বিরোধীদলের যে মর্যাদা তা হারিয়ে ফেলেছে । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজেপি বিরোধী শক্তি বলে যারা পরিচিত তাদের রাজনীতি মূলত বিভাজনের । মূল জাতীয় প্রেক্ষিত থেকে সরে গিয়ে তাদের ভোটব্যাংক সুনিশ্চিত করার জন্য তারা লড়াই করছে । প্রধান বিচারপতি এ ক্ষেত্রে বিরোধীদের এই গঠনমূলক ভূমিকা পালনের দিকেই দিকনির্দেশ করেছেন ।"

কলকাতা, 17 জুলাই: ক্রমেই বিরোধী পরিসর সংকীর্ণ হচ্ছে (Space for Opposition is diminishing in India)। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শত্রু হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত নয় । দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেটাই এখন করা যাচ্ছে । যা একেবারে স্বাস্থ্যকর গণতন্ত্রের লক্ষণ নয় । শক্তিশালী বিরোধীই পারে সরকারকে ত্রুটিমুক্ত করতে । সহযোগিতামূলক বিরোধিতাই আদর্শ গণতন্ত্র গড়ে তুলতে পারে । রাজস্থানের বিধানসভার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ ভাবেই নিজের মতামত প্রকাশ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (Opposition supports CJI comment)। আর দেশের প্রধান বিচারপতির (CJI Ramana) এই বক্তব্যকে যথার্থ হিসেবেই মনে করছে এ রাজ্যের তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেস ।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ যথাযথ । তাঁর বক্তব্য সঠিক । এখন তো সংসদে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বিল পাশ হয়ে যাচ্ছে । বিরোধীদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে । এই অবস্থায় শুধু প্রধান বিচারপতি কেন, প্রত্যেক নাগরিকের এই নিয়ে ভাবা উচিত । তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও । স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছেন, প্রধান বিচারপতির এই উদ্বেগের পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে । যত সময় যাচ্ছে দেশে বিরোধীদের জন্য পরিসর ছোট হয়ে যাচ্ছে । নিজের ছাড়া কারও কথা শুনতে চাইছে না বিজেপি । এর ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে (Left Congress TMC support CJI comment)।

অন্যদিকে, এই বিষয় নিয়ে সবর হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও । তিনি বলেছেন, এতদিন বিরোধী দলগুলোর মুখে যে কথা শোনা যেত, এ বার সেই কথাই বলছেন দেশের প্রধান বিচারপতি । আসলে এর মাধ্যমে দেশ এবং রাজ্যের শাসক দলগুলিকে একটা সতর্কবাণী দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি । কোনও সন্দেহ নেই দেশ বা রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে জনসমর্থন রয়েছে, যার উপর ভিত্তি করে তারা ক্ষমতায় রয়েছেন । জনগণের সমর্থন পেয়ে অন্য জনপ্রতিনিধিরা যে কাজ করছেন সেগুলো সঠিক নয় এটা বলা যাবে না । এমন পরিস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য সুখকর নয় । সরকার ভুল করলে তার বিরোধিতা কেন বিরোধী দল করতে পারবে না, এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । সুজন চক্রবর্তীর দাবি, বিরোধীদের বাদ দিয়ে এবং বিরোধিতা বাদ দিয়ে যে গণতন্ত্র হয় না, তা-ই আরও একবার প্রধান বিচারপতি রাজস্থানের অনুষ্ঠানে গিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন । রাজ্যের শাসক, কেন্দ্রের শাসক সকলকেই এই সতর্কবার্তা মেনে চলা উচিত ।

আরও পড়ুন: বাংলার রাজভবনে পরবর্তী মুখ কে ? বড় চমকের অপেক্ষা !

কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সঠিক কথাই বলেছেন প্রধান বিচারপতি । কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য যাঁরা দেশের শাসক তাঁদের কান পর্যন্ত পৌঁছল তো ! গণতন্ত্রের কথা বললেই বিরোধীদের কথা অবশ্যই আসবে । কিন্তু এ বারের বাদল অধিবেশন শুরুর আগে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দেশে তাকে আদৌ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বলা যায় তো ? এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ।

যদিও বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, "আমার মনে হয় বিরোধীরা প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছেন । যে কোনও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকার উপরে । তখনই গণতন্ত্রের সাফল্য আসবে যখন একটা দায়িত্বশীল বিরোধীদল পাওয়া যাবে । আইনসভা কখনও মুখ্যমন্ত্রী বা শাসকদলের জন্য নয়, আইনসভা সর্বদাই বিরোধীদের । গণতন্ত্রের প্রাথমিক শর্তই হল বিরোধিতার অধিকার । কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, বর্তমানে এই বিশাল ভারতে কোনও শক্তিশালী বিরোধী দল নেই । শতাব্দী প্রাচীন কংগ্রেস পার্টিও এখন এতটাই প্রান্তিক হয়ে পড়েছে যে তারাও বিরোধীদলের যে মর্যাদা তা হারিয়ে ফেলেছে । অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিজেপি বিরোধী শক্তি বলে যারা পরিচিত তাদের রাজনীতি মূলত বিভাজনের । মূল জাতীয় প্রেক্ষিত থেকে সরে গিয়ে তাদের ভোটব্যাংক সুনিশ্চিত করার জন্য তারা লড়াই করছে । প্রধান বিচারপতি এ ক্ষেত্রে বিরোধীদের এই গঠনমূলক ভূমিকা পালনের দিকেই দিকনির্দেশ করেছেন ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.