ETV Bharat / city

যশোর রোডে বেনামে হোটেল মির্জ়ার? খতিয়ে দেখছে CBI - মির্জ়া

রবিবার সকাল । অন্য দিনের মতো আজ রাস্তায় অত যানবাহন নেই । এই হোটেলটি মির্জ়ার, এমনটা চাউর হয়ে যাওয়াতে ইদানিং নাকি খদ্দেরও কম আসেন, বললেন, হোটেলের এক কর্মী ।

রবিবার সকাল । অন্য দিনের মতো আজ রাস্তায় অত যানবাহন নেই । এই হোটেলটি মির্জ়ার, এমনটা চাউর হয়ে যাওয়াতে ইদানিং নাকি খদ্দেরও কম আসেন, বললেন, হোটেলের এক কর্মী ।
author img

By

Published : Sep 29, 2019, 5:32 PM IST

Updated : Sep 29, 2019, 6:13 PM IST

কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর : দমদমের যশোর রোডে না কি বেনামে হোটেল রয়েছে নারদকাণ্ডে ধৃত IPS এস এম এইচ মির্জ়ার ৷ সূত্রের খবর হোটেলটির বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে CBI ৷ এই নিয়ে মির্জ়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন CBI আধিকারিকরা ৷

দমদম এলাকায় যশোর রোডের উপরে এই বিশাল হোটেল । বিমানবন্দরে 3 নম্বর গেটের খুব কাছে রাস্তার উপরই এই বিশাল হোটেল । ডাকসাইটে নেতা থেকে শুরু করে বিদেশি অতিথি অভ্যাগতরা এই হোটেলেই এসে ওঠেন বলে জানা গেছে । গত আট বছর ধরে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ।

স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বাসিন্দারাও জানেন, এটা মির্জ়ার হোটেল । কিন্তু কোন মির্জ়া, এতদিন তা স্পষ্ট ছিল না তাঁদের কাছে ৷

হোটেলের কর্মচারীরাও কথায় কথায় বললেন, পুলিশের পদস্থ কর্তা তথা IPS অফিসার মির্জ়ার হোটেল এটা । ঠিকানা 238/22, যশোর রোড । রবিবার সকাল । অন্য দিনের মতো আজ রাস্তায় অত যানবাহন নেই । এই হোটেলটি মির্জ়ার, এমনটা চাউর হয়ে যাওয়াতে ইদানিং নাকি খদ্দেরও কম আসেন, বললেন হোটেলের এক কর্মী । সাধারণ ক্রেতা হিসেবে উপনয়নের জন্য বুক করতে গিয়ে দেখা গেল, এলাহি ব্যবস্থা । প্রচুর খরচ করে সাজানো হয়েছে সমগ্র হোটেল ।

হোটেলের রেস্তরাঁতেও সব ধরনের খাবার মিলবে । আলাদা করে পানশালা এখানে নেই । অতিরিক্ত টাকা দিলে চাইলে তাও মিলবে, বললেন হোটেলের এক কর্মচারী । তবে মদের দামটা বেশি পড়বে ।

এখানকার খাবারের দাম যথাক্রমে, স্টিম রাইস এক প্লেট 100 টাকা, ডাল প্রতি প্লেট 140 টাকা, পাঁঠার মাংস (3 টুকরো) 340 টাকা । এক বোতল জল 40 টাকা । লাল চা 30 টাকা এক কাপ । প্রত্যেকটি খাবারের সঙ্গে GST ও SGST যোগ হবে, বললেন হোটেলের এক কর্মচারী । একজন মানুষের পেট ভরে খেতে প্রায় এক হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হবে । খাবার নেওয়ার পরে যদি সম্পূর্ণ খাবার না খাওয়া যায়, তাহলে ওই বেশি খাবার কর্মচারীরা প্যাকেট করে দেবেন বলে জানিয়েছেন । অতিরিক্ত প্যাকেট করার জন্য 10 টাকা দিতে হয় ।

নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ছাড়াও এলাকার কিছু বাসিন্দা এই হোটেলে কাজ করেন । হোটেলে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই কয়েকজনকে নিযুক্ত করা হয়েছে, অতিথি- অভ্যাগতদের স্বাগত জানাতে । তাঁদের কাজ, গাড়ির দরজা খুলে অতিথিকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া । বেরোবার সময় আবার দরজা খুলে দেওয়া ।

হোটেলটি চারতলা । তিনতলায় প্রায় 22টির মতো ঘর । সিঙ্গল ডিলাক্স, থেকে প্রিমিয়াম ডিলাক্স, স্যুট সবই আছে । সব ঘরে AC, মিনি বারের সঙ্গে নানা বিলাসবহুল ব্যবস্থা রয়েছে । প্রতিদিনের ভাড়া 3 হাজার থেকে শুরু করে 4 হাজার টাকা পর্যন্ত । ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে অতিরিক্ত GST ।

হোটেলের এক কর্মচারী বলছিলেন, মির্জ়া তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে কাছেই একটি বহুতলে থাকেন । মাঝে-মাঝেই তাঁরা হোটেলের কাজকর্ম দেখতে আসেন । কর্মীদের ঠিকমতো মাইনে দেন প্রতি মাসের নির্ধারিত সময়ে । তাই অত সব নিয়ে ভাবতে চান না তাঁরা । বিভিন্ন সূত্র মারফত খোঁজ করে জানা গেছে রাজ্য সরকারের এই পুলিশ অফিসারের নামে হোটেলটি নেই । সরকারি নথিতে এই হোটেলের মালিক অন্য একজন । তাঁর সম্পত্তির যে তালিকা রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন, সেখানেও এই হোটেলের উল্লেখ নেই ।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নাকি এই হোটেলের মালিকের খোঁজখবর করছে । এই বিষয়ে তারা মির্জ়াকে গতকাল প্রশ্নও করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি ।

কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর : দমদমের যশোর রোডে না কি বেনামে হোটেল রয়েছে নারদকাণ্ডে ধৃত IPS এস এম এইচ মির্জ়ার ৷ সূত্রের খবর হোটেলটির বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে CBI ৷ এই নিয়ে মির্জ়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন CBI আধিকারিকরা ৷

দমদম এলাকায় যশোর রোডের উপরে এই বিশাল হোটেল । বিমানবন্দরে 3 নম্বর গেটের খুব কাছে রাস্তার উপরই এই বিশাল হোটেল । ডাকসাইটে নেতা থেকে শুরু করে বিদেশি অতিথি অভ্যাগতরা এই হোটেলেই এসে ওঠেন বলে জানা গেছে । গত আট বছর ধরে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ।

স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বাসিন্দারাও জানেন, এটা মির্জ়ার হোটেল । কিন্তু কোন মির্জ়া, এতদিন তা স্পষ্ট ছিল না তাঁদের কাছে ৷

হোটেলের কর্মচারীরাও কথায় কথায় বললেন, পুলিশের পদস্থ কর্তা তথা IPS অফিসার মির্জ়ার হোটেল এটা । ঠিকানা 238/22, যশোর রোড । রবিবার সকাল । অন্য দিনের মতো আজ রাস্তায় অত যানবাহন নেই । এই হোটেলটি মির্জ়ার, এমনটা চাউর হয়ে যাওয়াতে ইদানিং নাকি খদ্দেরও কম আসেন, বললেন হোটেলের এক কর্মী । সাধারণ ক্রেতা হিসেবে উপনয়নের জন্য বুক করতে গিয়ে দেখা গেল, এলাহি ব্যবস্থা । প্রচুর খরচ করে সাজানো হয়েছে সমগ্র হোটেল ।

হোটেলের রেস্তরাঁতেও সব ধরনের খাবার মিলবে । আলাদা করে পানশালা এখানে নেই । অতিরিক্ত টাকা দিলে চাইলে তাও মিলবে, বললেন হোটেলের এক কর্মচারী । তবে মদের দামটা বেশি পড়বে ।

এখানকার খাবারের দাম যথাক্রমে, স্টিম রাইস এক প্লেট 100 টাকা, ডাল প্রতি প্লেট 140 টাকা, পাঁঠার মাংস (3 টুকরো) 340 টাকা । এক বোতল জল 40 টাকা । লাল চা 30 টাকা এক কাপ । প্রত্যেকটি খাবারের সঙ্গে GST ও SGST যোগ হবে, বললেন হোটেলের এক কর্মচারী । একজন মানুষের পেট ভরে খেতে প্রায় এক হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হবে । খাবার নেওয়ার পরে যদি সম্পূর্ণ খাবার না খাওয়া যায়, তাহলে ওই বেশি খাবার কর্মচারীরা প্যাকেট করে দেবেন বলে জানিয়েছেন । অতিরিক্ত প্যাকেট করার জন্য 10 টাকা দিতে হয় ।

নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ছাড়াও এলাকার কিছু বাসিন্দা এই হোটেলে কাজ করেন । হোটেলে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে থেকেই কয়েকজনকে নিযুক্ত করা হয়েছে, অতিথি- অভ্যাগতদের স্বাগত জানাতে । তাঁদের কাজ, গাড়ির দরজা খুলে অতিথিকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া । বেরোবার সময় আবার দরজা খুলে দেওয়া ।

হোটেলটি চারতলা । তিনতলায় প্রায় 22টির মতো ঘর । সিঙ্গল ডিলাক্স, থেকে প্রিমিয়াম ডিলাক্স, স্যুট সবই আছে । সব ঘরে AC, মিনি বারের সঙ্গে নানা বিলাসবহুল ব্যবস্থা রয়েছে । প্রতিদিনের ভাড়া 3 হাজার থেকে শুরু করে 4 হাজার টাকা পর্যন্ত । ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে অতিরিক্ত GST ।

হোটেলের এক কর্মচারী বলছিলেন, মির্জ়া তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে কাছেই একটি বহুতলে থাকেন । মাঝে-মাঝেই তাঁরা হোটেলের কাজকর্ম দেখতে আসেন । কর্মীদের ঠিকমতো মাইনে দেন প্রতি মাসের নির্ধারিত সময়ে । তাই অত সব নিয়ে ভাবতে চান না তাঁরা । বিভিন্ন সূত্র মারফত খোঁজ করে জানা গেছে রাজ্য সরকারের এই পুলিশ অফিসারের নামে হোটেলটি নেই । সরকারি নথিতে এই হোটেলের মালিক অন্য একজন । তাঁর সম্পত্তির যে তালিকা রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন, সেখানেও এই হোটেলের উল্লেখ নেই ।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নাকি এই হোটেলের মালিকের খোঁজখবর করছে । এই বিষয়ে তারা মির্জ়াকে গতকাল প্রশ্নও করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি ।

Intro:এস এম এইচ মির্জার বেনামে চালানো একটি হোটেলের সন্ধান পেয়েছে গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, নারদা ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার এসএম এইচ মির্জার হোটেল বলে পরিচিত 'হোটেল হাজারদুয়ারি'।
দমদম এলাকায় যশোর রোডের উপরে এই বিশাল হোটেল। বিমান বন্দরে ৩ নম্বর গেটের খুব কাছে রাস্তার ওপরই এই বিশাল হোটেল। ডাকসাইটে নেতা থেকে শুরু করে বিদেশী অতিথি অভ্যাগতরা এই হোটেলেই এসে ওঠেন বলে জানা গিয়েছে। গত আট বছর ধরে হোটেল হাজারদুয়ারি রমরমিয়ে ব্যবসা করছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বাসিন্দারাও জানেন, এটা মির্জা সাহেবের হোটেল। কিন্তু কোন মির্জা, প্রশ্ন এখানেই। যে মির্জার কথা তারা বলছেন, তিনিও একজন আইপিএস অফিসার। তিনিও নাকি কয়েকদিন ধরে সমস্যায় রয়েছেন।
কর্মচারীরাও কথায় কথায় বললেন, পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তা তথা আইপিএস অফিসার মির্জারই হোটেল এটা। ঠিকানা ২৩৮ /২২,যশোর রোড। রবিবার সকাল। অন্যান্য দিনের মতো আজ রাস্তায় অত যানবাহন নেই। বিশাল এই হোটেলে। এই হোটেলটি মির্জার চাউর হয়ে যাওয়াতে ইদানিং নাকি খদ্দেরও কম আসেন। জানালেন, হোটেলের এক ওয়েটার। সাধারণ ক্রেতা হিসেবে উপনয়নের জন্য বুক করতে এসেছিলাম। গিয়ে দেখা গেল, এলাহি ব্যবস্থা। প্রচুর খরচ করে সাজানো হয়েছে সমগ্র হোটেল।


Body:হোটেলের রেস্তোরাঁতেও সব ধরনের খাবার মিলবে। আলাদা করে মদের বার এখানে নেই। কিন্তু অতিরিক্ত টাকা দিলে চাইলে তাও মিলবে। জানালেন, হোটেলের এক কর্মচারী। তবে মদের দামটা বেশি পড়বে। রেস্তোরাঁর নাম হাজারদুয়ারি রেসিডেন্সি।
এখানকার খাবারের দাম যথাক্রমে, স্টিম রাইস এক প্লেট ১০০ টাকা, ডাল প্রতি প্লেট ১৪০ টাকা, খাসির মাংস(৩ টুকরো) ৩৪০ টাকা। এক বোতল জল ৪০ টাকা। লাল চা ৩০ টাকা এক কাপ। প্রত্যেকটি খাবারের সঙ্গে জি এস টি ও এস জিএসটি যোগ হবে বলে জানালেন হোটেলের এক কর্মচারী। একজন মানুষের পেট ভরে খেতে প্রায় এক হাজার টাকার কাছাকাছি খরচ হবে। খাবার নেওয়ার পরে যদি সম্পূর্ণ খাবার না খাওয়া যায়, তাহলে ওই বেশি খাবার কর্মচারীরা প্যাকেট করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। অতিরিক্ত প্যাকেট করার জন্য আরো দশ টাকা দিতে হয়।
নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, ছাড়াও এলাকার কিছু বাসিন্দা এই হোটেলে কাজ করেন। হোটেলে যারা কাজ করেন তাদের মধ্যে থেকেই কয়েকজনকে নিযুক্ত করা হয়েছে, অতিথি অভ্যাগতদের জন্য। তাদের কাজ, গাড়ির দরজা খুলে অতিথিকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া। বেরোবার সময় আবার দরজা খুলে দেওয়া। হোটেল থেকে বেরোবার সময় অতিথিকে গাড়ি অবধি পৌঁছে দেন কোন এক কর্মচারী। যদিও তার পোশাক অন্যান্য কর্মচারীদের মতো নয়। খানিকটা নিরাপত্তারক্ষীদের মতো পোশাক তার। বেরোবার সময় কিছু টাকা টিপস না দিলে মুখ ভার করে দাড়িয়ে থাকে তারা।
এই হোটেলটি চারতলা। তিনতলায় প্রায় ২২ টির মত ঘর। সিঙ্গেল ডিলাক্স, থেকে প্রিমিয়াম ডিলাক্স, স‍্যুট সবই আছে। সব ঘরে এসি, মিনি বারের সঙ্গে নানান বিলাসবহুল ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিদিনের ভাড়া ৩ হাজার থেকে শুরু করে চার হাজার টাকা পর্যন্ত। ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে অতিরিক্ত জিএসটি।
হোটেলের এক কর্মচারী বলছিলেন, এস এম এইচ মির্জা তার স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে কাছের একটি বহুতলেই থাকেন। মাঝে মাঝেই তারা হোটেলের কাজকর্ম দেখতে আসেন। কর্মীরা বলেন, কি অভিযোগ আছে মির্জার বিরুদ্ধে তা জানেন। কিন্তু ওদের ঠিকমতো মাইনে দেন প্রতি মাসের নির্ধারিত সময়ে। তাই অত সব নিয়ে ভাবতে চান না ওরা। বিভিন্ন সূত্র মারফত খোঁজ করে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারের এই পুলিশ অফিসারের নামে এই হোটেলটি নেই। সরকারি নথিতে এই হোটেলের মালিক অন্য একজন। তার সম্পত্তির যে তালিকা রাজ্য সরকারকে দিয়েছেন সেখানেও এই হোটেলের উল্লেখ নেই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নাকি এই হোটেলের মালিকের খোঁজখবর করছে। এই বিষয়ে তারা মির্জাকে গতকাল প্রশ্নও করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি। যদিও এই ব্যাপারে মির্জার বক্তব্য জানা যায়নি।


Conclusion:
Last Updated : Sep 29, 2019, 6:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.