কলকাতা, 10 জুলাই: যে কোনও উৎসবেই সকলের ঘরে ফেরার তাগিদ থাকে ৷ সকলেই পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে উৎসবে সামিল হতে চান ৷ কিন্তু, ঈদেও ঘরে ফেরা হল না SLST (State Level Selection Test) চাকরিপ্রার্থীদের ৷ চাকরি না পেয়ে কলকাতায় এসে ধর্না দিচ্ছেন তাঁরা ৷ রবিবার সেই ধর্না মঞ্চ থেকেই বকরি ঈদের নমাজ পড়লেন (Eid Namaz) ইলিয়াস, ইয়াকুব, সইদুল্লারা ৷ তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করার বার্তা দিলেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, বিক্রম রায়, প্রণয় পাল, রিম্পা কুণ্ডুরা ৷
বিক্ষোভকারীদের সাফ কথা, ন্যায্য দাবি আদায় করতে ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে জোটবদ্ধ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা ৷ এ দিন বিক্ষোভ মঞ্চে রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা হাজির হন ৷ উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টরাও ৷ সেই তালিকায় ছিলেন সিপিএম-এর মহম্মদ সেলিম, বিজেপি-র সজল ঘোষ, কংগ্রেসের আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, আইনজীবী কৌস্তব বাগচী প্রমূখ ৷
আরও পড়ুন: Soma Das reject Job offer : ‘শিক্ষিকাই হতে চাই’, অন্য চাকরির প্রস্তাব ফেরালেন ক্যানসার যোদ্ধা সোমা
নমাজ পাঠের পর বিক্ষোভে সামিল চাকরিপ্রার্থী সইদুল্লা বলেন, "এর আগে তিনটে ঈদ গিয়েছে ৷ সেই সময়েও পরিবারকে ছেড়ে রাস্তায় দিন কাটিয়েছি ৷ শুধুমাত্র হক আদায়ের দাবিতেই এই আন্দোলন ৷ মুখ্যমন্ত্রী আগের ঈদে কথা দিয়েছিলেন, আমাদের ন্যায্য দাবি পূরণ করবেন ৷ যোগ্য সকলের চাকরির ব্যবস্থা করবেন ৷ কিন্ত, তিনি কথা রাখলেন না ৷ আমরা নিরুপায় ৷ তাই, পরিবার, স্ত্রী, সন্তান ছেড়ে দিয়ে দিনের পর দিন রাস্তায় বসে রয়েছি ৷ পুজোর সময়েও অনেকে ঘরে ফেরেননি ৷ কারণ, আমরা একসঙ্গে আছি ৷"
প্রসঙ্গত, এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের এই বিক্ষোভ তিন দফা মিলিয়ে এই রবিবার 483 দিনে পড়ল ৷ এর আগে 2019 সালে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে টানা 29 দিন বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা ৷ তারপর করোনাকালে লকডাউনের জন্য আন্দোলনে বিরতি পড়েছিল ৷ 2021 সালে ফের সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে টানা 187 দিন বিক্ষোভ চলে ৷
ইতিমধ্যে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনের বিরূদ্ধে ফৌজদারি মামলাও করেছে সরকার ৷ কিন্তু পিছু হাঁটেননি আন্দোলনকারীরা ৷ বদলে আবারও গান্ধি মূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা ৷ রবিবার তৃতীয় দফায় 267 দিনে পড়ল এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ৷ সব মিলিয়ে বিক্ষোভ গড়াল 483 দিনে ৷