ETV Bharat / city

53 একর জমিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ছে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় - 53 একর জমিতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস

পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় 53 একর জমির উপর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়তে চলেছে । 2025 সালের মধ্যে এই বিশাল ক্যাম্পাসের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর।

sidho kanhu birsa
সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়
author img

By

Published : Nov 4, 2020, 2:49 AM IST

কলকাতা, 3 নভেম্বর: 53 একর জমির উপর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়তে চলেছে পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। 2019 সালে পশ্চিমবঙ্গের ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তরের কাছ থেকে পুরুলিয়ায় এই জমি দেওয়া হয় । পুরুলিয়ার ছররায় এই বিশাল জমি পায় সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরেই একটু একটু করে শুরু হয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির কাজ। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেছে। 2025 সালের মধ্যে আধুনিকতায় সমৃদ্ধ এই দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর।

2010 সালে পুরুলিয়ায় প্রায় 13 একর জমিতে তৈরি হয় সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। সবকিছু তৈরি হয়ে সম্পূর্ণভাবে শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয় 2014 সাল থেকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিস্তার হতে থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। গত 6 বছরে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারের জন্য জায়গা নেই ক্যাম্পাসে। তাই 2018 দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমির আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 2019 সালে সেই আবেদন মঞ্জুর করে রাজ্য সরকার। পুরুলিয়া শহরের অদূরে ছররা এলাকায় 53 একর জমি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ার জন্য সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয় রাজ্য সরকারের ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর।

এই বিশাল জায়গা জুড়ে বিশ্বমানের পরিকাঠামো সহ আধুনিকতায় সমৃদ্ধ দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চায় সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা প্রথম ক্যাম্পাসের মতোই সম্পূর্ণভাবে একটি গ্রিন ক্যাম্পাস হিসেবে তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই PWD ক্যাম্পাসের প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছে। প্রস্তাবিত সেই প্ল্যান অনুযায়ী, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে দোতালা একটি প্রশাসনিক বিল্ডিং, একটি চারতলা লাইব্রেরি সহ প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, একটি তিনতলা স্টুডেন্ট অ্যাক্টিভিটি সেন্টার, ক্যান্টিন, সাইকেল স্ট্যান্ড, বসার জায়গা সহ ওপেন এয়ার প্লাজা, একটি গেস্ট হাউস, হেল্থ সেন্টার, গার্লস ও বয়েজ হস্টেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কর্মচারীদের থাকার জন্য কোয়ার্টার, উপাচার্যের থাকার জন্য বাংলো, গ্যালারি সহ খেলার মাঠ, সুইমিং পুল, বাস্কেটবল কোর্ট সহ জিমনাসিয়াম, অডিটোরিয়াম, পার্কিং লট, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, মেডিসিনাল প্ল্যান্ট গার্ডেন, মিউজিয়াম, ফার্মার্স ক্লাব, ওয়াটার বডি ফর অ্যাকোয়াকালচার আরও সহ অনেক কিছুই থাকবে।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর বলেন, "4-5 কোটি টাকা খরচে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। ওখানে মেডিসিনাল প্ল্যান্টের গার্ডেন তৈরি হয়ে গেছে। পুরো জায়গার চারভাগের একভাগ জায়গা জুড়ে তৈরি হবে স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সেখানে গ্যালারি সহ খেলার মাঠ, সুইমিং পুল ও জিমনাসিয়াম থাকবে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য DST-র প্রজেক্ট চলছো, তার একটি সেন্টার তৈরি হবে। একটা মিউজিয়াম হবে ওখানকার সংস্কৃতি, হেরিটেজ, আর্টিফ্লেকস সংরক্ষণ করে রাখার জন্য। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ, অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের সঙ্গে ওখানে টিচার, কর্মচারি, আধিকারিকদের থাকার জন্য কোয়ার্টার তৈরি হবে। বয়েজ ও গার্লস হস্টেল ইত্যাদি থাকবে।"

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির প্রথম ফেজের কাজ 2025 সালের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে চায় সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য দীপক কর বলেন, "2025 সালের মধ্যে আমরা প্রথম ফেজ মধ্যে তৈরি করা ফেলব। প্রথম ফেজে একটা অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, বয়েজ হস্টেল, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, মেডিসিনাল প্ল্যান্ট গার্ডেন, টিচারদের কোয়ার্টার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ফার্মার্স ক্লাব তৈরি করা হবে।" RUSA-র থেকে 20 কোটি টাকা অনুদান, রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত 20 কোটি টাকা অনুদান ও কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির থেকে পাওয়া অনুদান মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রায় 50 কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে এই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ার জন্য। আগামীদিনে প্রকল্পের ভিত্তিতে তখন যেমন প্রয়োজন হবে তখন তেমন অনুদানের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানান উপাচার্য।

কলকাতা, 3 নভেম্বর: 53 একর জমির উপর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়তে চলেছে পুরুলিয়ার সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। 2019 সালে পশ্চিমবঙ্গের ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তরের কাছ থেকে পুরুলিয়ায় এই জমি দেওয়া হয় । পুরুলিয়ার ছররায় এই বিশাল জমি পায় সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। তারপরেই একটু একটু করে শুরু হয় দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির কাজ। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেছে। 2025 সালের মধ্যে আধুনিকতায় সমৃদ্ধ এই দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর।

2010 সালে পুরুলিয়ায় প্রায় 13 একর জমিতে তৈরি হয় সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়। সবকিছু তৈরি হয়ে সম্পূর্ণভাবে শিক্ষা সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয় 2014 সাল থেকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিস্তার হতে থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। গত 6 বছরে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারের জন্য জায়গা নেই ক্যাম্পাসে। তাই 2018 দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে জমির আবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 2019 সালে সেই আবেদন মঞ্জুর করে রাজ্য সরকার। পুরুলিয়া শহরের অদূরে ছররা এলাকায় 53 একর জমি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ার জন্য সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয় রাজ্য সরকারের ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দপ্তর।

এই বিশাল জায়গা জুড়ে বিশ্বমানের পরিকাঠামো সহ আধুনিকতায় সমৃদ্ধ দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চায় সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা প্রথম ক্যাম্পাসের মতোই সম্পূর্ণভাবে একটি গ্রিন ক্যাম্পাস হিসেবে তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই PWD ক্যাম্পাসের প্ল্যান তৈরি করে ফেলেছে। প্রস্তাবিত সেই প্ল্যান অনুযায়ী, সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে দোতালা একটি প্রশাসনিক বিল্ডিং, একটি চারতলা লাইব্রেরি সহ প্রশাসনিক, অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, একটি তিনতলা স্টুডেন্ট অ্যাক্টিভিটি সেন্টার, ক্যান্টিন, সাইকেল স্ট্যান্ড, বসার জায়গা সহ ওপেন এয়ার প্লাজা, একটি গেস্ট হাউস, হেল্থ সেন্টার, গার্লস ও বয়েজ হস্টেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কর্মচারীদের থাকার জন্য কোয়ার্টার, উপাচার্যের থাকার জন্য বাংলো, গ্যালারি সহ খেলার মাঠ, সুইমিং পুল, বাস্কেটবল কোর্ট সহ জিমনাসিয়াম, অডিটোরিয়াম, পার্কিং লট, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, মেডিসিনাল প্ল্যান্ট গার্ডেন, মিউজিয়াম, ফার্মার্স ক্লাব, ওয়াটার বডি ফর অ্যাকোয়াকালচার আরও সহ অনেক কিছুই থাকবে।

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নিয়ে সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর বলেন, "4-5 কোটি টাকা খরচে সীমানা প্রাচীর তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। ওখানে মেডিসিনাল প্ল্যান্টের গার্ডেন তৈরি হয়ে গেছে। পুরো জায়গার চারভাগের একভাগ জায়গা জুড়ে তৈরি হবে স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সেখানে গ্যালারি সহ খেলার মাঠ, সুইমিং পুল ও জিমনাসিয়াম থাকবে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য DST-র প্রজেক্ট চলছো, তার একটি সেন্টার তৈরি হবে। একটা মিউজিয়াম হবে ওখানকার সংস্কৃতি, হেরিটেজ, আর্টিফ্লেকস সংরক্ষণ করে রাখার জন্য। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ, অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের সঙ্গে ওখানে টিচার, কর্মচারি, আধিকারিকদের থাকার জন্য কোয়ার্টার তৈরি হবে। বয়েজ ও গার্লস হস্টেল ইত্যাদি থাকবে।"

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরির প্রথম ফেজের কাজ 2025 সালের মধ্যে সম্পূর্ণ করতে চায় সিধো-কানহো-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য দীপক কর বলেন, "2025 সালের মধ্যে আমরা প্রথম ফেজ মধ্যে তৈরি করা ফেলব। প্রথম ফেজে একটা অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, বয়েজ হস্টেল, বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, মেডিসিনাল প্ল্যান্ট গার্ডেন, টিচারদের কোয়ার্টার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, ফার্মার্স ক্লাব তৈরি করা হবে।" RUSA-র থেকে 20 কোটি টাকা অনুদান, রাজ্য সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত 20 কোটি টাকা অনুদান ও কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির থেকে পাওয়া অনুদান মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রায় 50 কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে এই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস গড়ার জন্য। আগামীদিনে প্রকল্পের ভিত্তিতে তখন যেমন প্রয়োজন হবে তখন তেমন অনুদানের জন্য আবেদন করা হবে বলে জানান উপাচার্য।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.