ETV Bharat / city

সাইবার ক্রাইম নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি, সচেতনতায় উদ্যোগ লালবাজারের - সাইবার ক্রাইম

আধুনিকতা সমাজের উন্নতি করছে । টেকনোলজি অনেক সহজ করে দিয়েছে দৈনন্দিন জীবনকে । মানুষ এখন ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের মধ্যেই বসবাস করে । কিন্তু, পৃথিবীজুড়ে গত এক বছরে সবচেয়ে বেশি যে অপরাধ হয়েছে, সেটি সাইবার ক্রাইম । এবার সাইবার ক্রাইম নিয়ে লালবাজারের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ।

short film on cyber crime
সাইবার ক্রাইম নিয়ে স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি
author img

By

Published : Jan 10, 2020, 12:56 PM IST

কলকাতা, 10 জানুয়ারি : গোটা বিশ্বের কাছেই সাইবার ক্রাইম হয়ে উঠেছে মাথা ব্যথার কারণ । গতবছর গোটা পৃথিবীতে সবথেকে বেশি যে অপরাধ হয়েছে, সেটি সাইবার অপরাধ । দেশের বেড়াজাল টপকে অপরাধীরা বিশ্বের নানা জায়গা থেকে অপারেট করছে অপরাধ চক্র । অনেক সময় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় অথবা বিদেশনীতির জটিলতার কারণে অনেক মামলার সমাধান অধরাই থেকে যায় । এর থেকে মুক্তি মিলবে কিভাবে? গোটা বিশ্বের সেরা তদন্তকারীরা এ-নিয়ে চালাচ্ছেন নিরন্তর আলোচনা ।

কলকাতা পুলিশের দাবি, মানুষের সচেতনতাতেই দমন করা সম্ভব এই সাইবার ক্রাইম । তাই এবার সাইবার ক্রাইম নিয়ে জোরদার সচেতনতার প্রচারের উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ । লালবাজারে তৈরি হচ্ছে সেই প্রচারের রূপরেখা ।

সাইবার ক্রাইমের খুঁটিনাটি এবং তা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে লালবাজারের তরফে তৈরি করা হচ্ছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি । যেটি বিভিন্ন সিনেমা হলে ছবি শুরুর আগে বা বিরতিতে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখানো হবে ।

2019 সাল । গত দশকের শেষ বছরে লাফিয়ে বেড়েছে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা । লালবাজারের তথ্য বলছে, কয়েক বছর ধরেই গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী । শেষ বছর মোট কতগুলি সাইবার ক্রাইমের মামলা হয়েছে সেই তথ্য পাওয়া যাবে কিছুদিন পরে । কিন্তু এক ঝলক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে সংখ্যাটা অনেক । বেশ কিছু অপরাধের তদন্তে নেমে রীতিমতো অসুবিধায় পড়েছে পুলিশ । কারণ, সেই অপরাধ এই দেশ থেকে সংঘটিত হয়নি । হয়েছে বিদেশ থেকে । ঠিক যেমনটা কলকাতায় বসে ইউরোপের বিভিন্ন নাগরিককে ঠকানোর চক্র কাজ করছিল ।

short film on cyber crime
সাইবার ক্রাইম

ঘটনা গত অক্টোবরের । কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাত জনকে । পৃথিবীর বিখ্যাত কোম্পানি মাইক্রোসফটের নাম করে ফোন যেত বিলেতে । বলা হত, দেওয়া হবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট । আর সেভাবেই করা হত প্রতারণা । মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে এ'বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভূপিন্দর সিং বিন্দ্রা । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পুরো চক্রটি চালান হচ্ছে তপসিয়ার উইজার্ড হাউস এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের ভিশাল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে । ঘটনায় দু'টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সাত জনকে । এই সাতজন ইউরোপের কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল । কলকাতা পুলিশের এই সাফল্যর পরে নগরপালকে ফোন করেন স্বয়ং লন্ডনের পুলিশ কমিশনার । ধন্যবাদও জানান ।

ব্রিটেনের মতো বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে । অন্যদিকে, আবার মাইক্রোসফ্টের মতো কোম্পানির ভারতীয় শাখা থাকায় সহজেই সেই মামলার সমাধান হয়েছে । কিন্তু, অনেক দেশের সঙ্গেই বিদেশনীতির কারণে সুসম্পর্ক নেই । আজ সেসব দেশ থেকে সাইবার অপরাধ সংগঠিত করা হলে, পুলিশের হাত-পা বাধা । আর এইসব কারণেই পুলিশ চাইছে জনমানসে সচেতনতা ।

কলকাতার গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা এ'প্রসঙ্গে ETV ভারতকে বলেন, "আমরা চাইছি সাইবার অপরাধের মতো বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাক শহরবাসী । এই জন্য চাই চূড়ান্ত সচেতনতা । কতগুলি ছোটো জিনিস মাথায় রাখলেই এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব । যেমন দেশের বাইরে থেকে অচেনা নম্বরের ফোন না ধরা । কোনও অচেনা লিঙ্কে ক্লিক না করা । ব্যাঙ্কের নামে কোনও ভুয়ো ফোন এলে তাতে কর্ণপাত না করা । প্রয়োজন হলে সশরীরে ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা করতে হবে । মোবাইল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়েবসাইট না খোলা । কোনও অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনও OTP শেয়ার না করা । প্রাথমিকভাবে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলেই চলবে ।"

সাইবার ক্রাইমের খুঁটিনাটি এবং তা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে লালবাজারের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি ছবি । পাশাপাশি ব্যাঙ্ক এবং সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে বলা হবে, এই প্রচার চালানোর জন্য । কলকাতা পুলিশের প্রণাম-এর মত বড় গোষ্ঠী যেগুলি রয়েছে, তাদেরও দেওয়া হবে সচেতনতার পাঠ । পরিকল্পনা, চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয়ে গেছে । এবার তা বাস্তবায়নের পালা ।

কলকাতা, 10 জানুয়ারি : গোটা বিশ্বের কাছেই সাইবার ক্রাইম হয়ে উঠেছে মাথা ব্যথার কারণ । গতবছর গোটা পৃথিবীতে সবথেকে বেশি যে অপরাধ হয়েছে, সেটি সাইবার অপরাধ । দেশের বেড়াজাল টপকে অপরাধীরা বিশ্বের নানা জায়গা থেকে অপারেট করছে অপরাধ চক্র । অনেক সময় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় অথবা বিদেশনীতির জটিলতার কারণে অনেক মামলার সমাধান অধরাই থেকে যায় । এর থেকে মুক্তি মিলবে কিভাবে? গোটা বিশ্বের সেরা তদন্তকারীরা এ-নিয়ে চালাচ্ছেন নিরন্তর আলোচনা ।

কলকাতা পুলিশের দাবি, মানুষের সচেতনতাতেই দমন করা সম্ভব এই সাইবার ক্রাইম । তাই এবার সাইবার ক্রাইম নিয়ে জোরদার সচেতনতার প্রচারের উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুলিশ । লালবাজারে তৈরি হচ্ছে সেই প্রচারের রূপরেখা ।

সাইবার ক্রাইমের খুঁটিনাটি এবং তা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে লালবাজারের তরফে তৈরি করা হচ্ছে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি । যেটি বিভিন্ন সিনেমা হলে ছবি শুরুর আগে বা বিরতিতে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখানো হবে ।

2019 সাল । গত দশকের শেষ বছরে লাফিয়ে বেড়েছে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা । লালবাজারের তথ্য বলছে, কয়েক বছর ধরেই গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী । শেষ বছর মোট কতগুলি সাইবার ক্রাইমের মামলা হয়েছে সেই তথ্য পাওয়া যাবে কিছুদিন পরে । কিন্তু এক ঝলক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে সংখ্যাটা অনেক । বেশ কিছু অপরাধের তদন্তে নেমে রীতিমতো অসুবিধায় পড়েছে পুলিশ । কারণ, সেই অপরাধ এই দেশ থেকে সংঘটিত হয়নি । হয়েছে বিদেশ থেকে । ঠিক যেমনটা কলকাতায় বসে ইউরোপের বিভিন্ন নাগরিককে ঠকানোর চক্র কাজ করছিল ।

short film on cyber crime
সাইবার ক্রাইম

ঘটনা গত অক্টোবরের । কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাত জনকে । পৃথিবীর বিখ্যাত কোম্পানি মাইক্রোসফটের নাম করে ফোন যেত বিলেতে । বলা হত, দেওয়া হবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট । আর সেভাবেই করা হত প্রতারণা । মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে এ'বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভূপিন্দর সিং বিন্দ্রা । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পুরো চক্রটি চালান হচ্ছে তপসিয়ার উইজার্ড হাউস এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের ভিশাল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে । ঘটনায় দু'টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সাত জনকে । এই সাতজন ইউরোপের কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল । কলকাতা পুলিশের এই সাফল্যর পরে নগরপালকে ফোন করেন স্বয়ং লন্ডনের পুলিশ কমিশনার । ধন্যবাদও জানান ।

ব্রিটেনের মতো বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে । অন্যদিকে, আবার মাইক্রোসফ্টের মতো কোম্পানির ভারতীয় শাখা থাকায় সহজেই সেই মামলার সমাধান হয়েছে । কিন্তু, অনেক দেশের সঙ্গেই বিদেশনীতির কারণে সুসম্পর্ক নেই । আজ সেসব দেশ থেকে সাইবার অপরাধ সংগঠিত করা হলে, পুলিশের হাত-পা বাধা । আর এইসব কারণেই পুলিশ চাইছে জনমানসে সচেতনতা ।

কলকাতার গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা এ'প্রসঙ্গে ETV ভারতকে বলেন, "আমরা চাইছি সাইবার অপরাধের মতো বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাক শহরবাসী । এই জন্য চাই চূড়ান্ত সচেতনতা । কতগুলি ছোটো জিনিস মাথায় রাখলেই এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব । যেমন দেশের বাইরে থেকে অচেনা নম্বরের ফোন না ধরা । কোনও অচেনা লিঙ্কে ক্লিক না করা । ব্যাঙ্কের নামে কোনও ভুয়ো ফোন এলে তাতে কর্ণপাত না করা । প্রয়োজন হলে সশরীরে ব্যাঙ্কে গিয়ে দেখা করতে হবে । মোবাইল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ওয়েবসাইট না খোলা । কোনও অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে কোনও OTP শেয়ার না করা । প্রাথমিকভাবে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলেই চলবে ।"

সাইবার ক্রাইমের খুঁটিনাটি এবং তা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে লালবাজারের উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের একটি ছবি । পাশাপাশি ব্যাঙ্ক এবং সোশ্যাল মিডিয়াগুলিকে বলা হবে, এই প্রচার চালানোর জন্য । কলকাতা পুলিশের প্রণাম-এর মত বড় গোষ্ঠী যেগুলি রয়েছে, তাদেরও দেওয়া হবে সচেতনতার পাঠ । পরিকল্পনা, চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয়ে গেছে । এবার তা বাস্তবায়নের পালা ।

Intro:কলকাতা, 10 জানুয়ারি: গোটা বিশ্বের কাছেই সাইবার ক্রাইম হয়ে উঠেছে মাথা ব্যথার কারণ। গতবছর গোটা পৃথিবীতে সবথেকে বেশি যে অপরাধ হয়েছে, সেটি সাইবার অপরাধ। দেশের বেড়াজাল টপকে অপরাধীরা বিশ্বের নানা জায়গা থেকে অপারেট করছে অপরাধ চক্র। অনেক সময় সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে বন্দী প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় কিংবা বিদেশনীতির জটিলতার কারণে অনেক কেসের সমাধান অধরাই থেকে যায়। এর থেকে মুক্তি মিলবে কিভাবে? গোটা বিশ্বের সেরা তদন্তকারীরা এনিয়ে চালাচ্ছেন নিরন্তর আলোচনা। কলকাতা পুলিশের দাবি, মানুষের সচেতনতাতেই করা সম্ভব সাইবার অপরাধকে। তাই এবার কলকাতা পুলিশ সাইবার ক্রাইম নিয়ে সচেতনতা আর জোরদার প্রচারের উদ্যোগ নিচ্ছে। লালবাজারে তৈরি হচ্ছে সেই প্রচারের রুপরেখা।



Body:2019 সাল। গত দশকের শেষ বছরে লাফিয়ে বেড়েছে সাইবারক্রাইমের সংখ্যা। লালবাজারের তথ্য বলছে, কয়েক বছর ধরেই গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী। শেষ বছর মোট কতগুলি সাইবারক্রাইমের কেস হয়েছে তার মধ্যে কতগুলো সমাধান হয়েছে, তার চুলচেরা বিশ্লেষন এখনো পর্যন্ত করা হয়ে ওঠেনি। কিছুদিন পরে পাওয়া যাবে সেই তথ্য। কিন্তু এক ঝলক দেখলেই বোঝা যাচ্ছে সংখ্যাটা অনেক। বেশকিছু অপরাধের তদন্তে নেমে রীতিমতো অসুবিধায় পড়েছে পুলিশ। কারণ, সেই অপরাধ এই দেশ থেকে সংঘটিত হয়নি। হয়েছে বিদেশ থেকে। ঠিক যেমনটা কলকাতায় বসে ইউরোপের বিভিন্ন নাগরিককে ঠকানোর চক্র কাজ করছিল।


Conclusion:ঘটনা গত অক্টোবরের। কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে সাত জনকে। পৃথিবীর বিখ্যাত কোম্পানি মাইক্রোসফট এর নাম করে ফোন যেত বিলেতে। বলা হতো দেওয়া হবে টেকনিক্যাল সাপোর্ট। এক সেভাবেই করা হতো প্রতারণা। মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের হয়ে এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন ভূপিন্দর সিং বিন্দ্রা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পুরো চক্রটি চালানো হচ্ছে তপসিয়ার উইজার্ড হাউস এবং রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের ভিশাল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে। ঘটনায় দু'টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সাত জনকে। এই সাতজন ইউরোপের কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছিল। কলকাতা পুলিশের এই সাফল্যর পরে নগরপালকে ফোন করেন স্বয়ং লন্ডনের পুলিশ কমিশনার। জানান ধন্যবাদ। বৃটেনের মতো বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। অন্যদিকে আবার microsoft-এর মাত্র কোম্পানির ভারতীয় শাখা থাকায় সহজেই সেই কেসের সমাধান হয়েছে। কিন্তু অনেক দেশের সঙ্গেই বিদেশ নীতির কারণে সুসম্পর্ক নেই। আজ সেসব দেশ থেকে সাইবার ক্রাইম সংগঠিত করা হলে, পুলিশের হাত-পা বাঁধা। আর এইসব কারণেই পুলিশ চাইছে মানুষের সচেতনতা।

কলকাতার গোয়েন্দাপ্রধান মুরলীধর শর্মা এপ্রসঙ্গে ইটিভি ভারতকে বলেন, “ আমরা চাইছি সাইবার ক্রাইমের মত বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাক শহরবাসী। আর এর জন্য চাই চূড়ান্ত সচেতনতা। কতগুলি ছোট জিনিস মাথায় রাখলেই এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যেমন দেশের বাইরে থেকে অচেনা নাম্বারের ফোন না ধরা। কোন অচেনা লিংকে ক্লিক না করা। ব্যাংকের নামে কোন ভুয়া ফোন এলে তাতে কর্ণপাত না করা । এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে দেখা করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ওয়েবসাইট মোবাইল থেকে না খোলা। কোন ওটিপি অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে শেয়ার না করা। প্রাথমিকভাবে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখলেই চলবে।" সাইবার ক্রাইমের খুঁটিনাটি এবং তা থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে লালবাজারের তরফের তৈরি করা হচ্ছে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যে ছবি। যেটি বিভিন্ন সিনেমা হলে ছবি শুরুর আগে বা বিরতিতে বিজ্ঞাপন হিসেবে দেখানো হবে। পাশাপাশি ব্যাংক এবং সোশ্যাল মিডিয়া গুলিকে বলা হবে এই প্রচার চালানোর জন্য। কলকাতা পুলিশের প্রণাম এর মত বড় গোষ্ঠী যেগুলি রয়েছে, তাদের কেউ দেওয়া হবে সচেতনতার পাঠ। পরিকল্পনা চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয়ে গেছে। এবার তা বাস্তবায়নের পালা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.