ETV Bharat / city

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের RKS-র চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল শান্তনু সেনকে

কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি (RKS)-র চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হল শান্তনু সেনকে ৷ নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা ৷

author img

By

Published : Sep 6, 2019, 3:27 PM IST

শান্তনু সেন

কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর : কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি (RKS)-র চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হল শান্তনু সেনকে ৷ নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে বদলের এই নির্দেশ আসে গতকাল ৷

শান্তনু সেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ৷ সেইসঙ্গে তিনি ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-এর সর্বভারতীয় সভাপতি ৷ জুনে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ওঠে ৷ অবশেষে, 17 জুন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের পরে প্রত্যাহার করা হয় কর্মবিরতি ৷

নবান্নের ওই বৈঠকে হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয় ৷ এরপরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা হিসাবে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের অবাধ যাতায়াতের উপরে নিয়ন্ত্রণ শুরু হয় ৷ এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আউটডোরের রোগীর সঙ্গে একজন, ইমার্জেন্সির রোগীর সঙ্গে দু'জনকে হাসপাতালে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় ৷ হাসপাতালে ভরতি রোগীদের জন্য যেমন এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে ৷ তেমনি ভিজিটিং আওয়ার্সে রোগীর সঙ্গে পরিজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থাও চালু রাখা হয় ৷ তবে, এক্ষেত্রেও হাসপাতালের গেট থেকে কার্ড দেখে পরিজনদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া শুরু হয় ৷ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় এক নম্বর গেটে ৷

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, এভাবে নিয়ন্ত্রণের জেরে হাসপাতালের মধ্যে অবাঞ্ছিত মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পুলিশের প্রশংসা পেয়েছে ৷ কিন্তু এই বিষয়টি নিয়েই তৈরি হয় জটিলতা ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, এই নিয়ন্ত্রণের সুফল পাওয়া যাচ্ছে ৷ অন্যদিকে, এই নিয়ন্ত্রণের জেরে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ সূত্রের খবর, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয় চেয়ারম্যান শান্তনু সেন এবং রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার মধ্যে ৷ ডাক্তার শান্তনু সেন এই নিয়ন্ত্রণের পক্ষে মত দেন ৷ অন্যদিকে, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা এর বিপক্ষে মত দেন ৷ রোগী কল্যাণ সমিতির পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা আনা হবে ৷

এরইমধ্যে গতকাল রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ডাক্তার শান্তনু সেনকে ৷ গেট সংক্রান্ত এমন বিষয়ের জেরেই কি এই বদল? এই বিষয়ে শান্তনু সেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও বক্তব্য মেলেনি ৷ তবে, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা বলেন, " দল একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে ৷ আমার বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ৷ এলাকার মানুষ, রোগীদের স্বার্থ, পরিজনদের স্বার্থ সবকিছু সমন্বয় রেখেই কাজ যাতে হয়, সেই চেষ্টা করব ৷ " রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি জানান, যেভাবে গেট দিয়ে হাসপাতালে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের প্রবেশ করতে দেওয়া শুরু হয়, সে বিষয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ আসছিল ৷ তবে, এজন্য রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে এই বদল নয় বলে তিনি জানিয়েছেন ৷

কলকাতা, 6 সেপ্টেম্বর : কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি (RKS)-র চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরানো হল শান্তনু সেনকে ৷ নতুন চেয়ারম্যান হলেন তৃণমূল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা৷ স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে বদলের এই নির্দেশ আসে গতকাল ৷

শান্তনু সেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ৷ সেইসঙ্গে তিনি ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-এর সর্বভারতীয় সভাপতি ৷ জুনে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ওঠে ৷ অবশেষে, 17 জুন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের পরে প্রত্যাহার করা হয় কর্মবিরতি ৷

নবান্নের ওই বৈঠকে হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয় ৷ এরপরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা হিসাবে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের অবাধ যাতায়াতের উপরে নিয়ন্ত্রণ শুরু হয় ৷ এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আউটডোরের রোগীর সঙ্গে একজন, ইমার্জেন্সির রোগীর সঙ্গে দু'জনকে হাসপাতালে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয় ৷ হাসপাতালে ভরতি রোগীদের জন্য যেমন এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে ৷ তেমনি ভিজিটিং আওয়ার্সে রোগীর সঙ্গে পরিজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থাও চালু রাখা হয় ৷ তবে, এক্ষেত্রেও হাসপাতালের গেট থেকে কার্ড দেখে পরিজনদের ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া শুরু হয় ৷ এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় এক নম্বর গেটে ৷

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, এভাবে নিয়ন্ত্রণের জেরে হাসপাতালের মধ্যে অবাঞ্ছিত মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পুলিশের প্রশংসা পেয়েছে ৷ কিন্তু এই বিষয়টি নিয়েই তৈরি হয় জটিলতা ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, এই নিয়ন্ত্রণের সুফল পাওয়া যাচ্ছে ৷ অন্যদিকে, এই নিয়ন্ত্রণের জেরে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ সূত্রের খবর, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয় চেয়ারম্যান শান্তনু সেন এবং রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার মধ্যে ৷ ডাক্তার শান্তনু সেন এই নিয়ন্ত্রণের পক্ষে মত দেন ৷ অন্যদিকে, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা এর বিপক্ষে মত দেন ৷ রোগী কল্যাণ সমিতির পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা আনা হবে ৷

এরইমধ্যে গতকাল রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ডাক্তার শান্তনু সেনকে ৷ গেট সংক্রান্ত এমন বিষয়ের জেরেই কি এই বদল? এই বিষয়ে শান্তনু সেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও বক্তব্য মেলেনি ৷ তবে, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা বলেন, " দল একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে ৷ আমার বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ৷ এলাকার মানুষ, রোগীদের স্বার্থ, পরিজনদের স্বার্থ সবকিছু সমন্বয় রেখেই কাজ যাতে হয়, সেই চেষ্টা করব ৷ " রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি জানান, যেভাবে গেট দিয়ে হাসপাতালে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের প্রবেশ করতে দেওয়া শুরু হয়, সে বিষয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ আসছিল ৷ তবে, এজন্য রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে এই বদল নয় বলে তিনি জানিয়েছেন ৷

Intro:কলকাতা, ৬ সেপ্টেম্বর: কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি (RKS)-র চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ডাক্তার শান্তনু সেনকে। নতুন চেয়ারম্যান করা হল বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহাকে‌। চেয়ারম্যান পদে বদলের এই নির্দেশ গতকাল, বৃহস্পতিবারের। হাসপাতালের গেট সংক্রান্ত এক বিষয়ের জেরে এমন বদল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে।
Body:ডাক্তার শান্তনু সেন রাজ্যসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-এর সর্বভারতীয় সভাপতির পদেও রয়েছেন তিনি। গত জুন মাসে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মবিরতি করেছিলেন সেখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা। এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় মৃত রোগীর ক্ষুব্ধ পরিজনদের কাছে আক্রান্ত হন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই ঘটনার জেরে তাঁরা কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। এই কর্মবিরতিকে সমর্থন জানিয়ে এ রাজ্যের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। অবশেষে, গত ১৭ জুন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পরে প্রত্যাহার করা হয় ওই কর্মবিরতি।

নবান্নের ওই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়। ওই সব ব্যবস্থার মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টিও রয়েছে। এর পরে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থার অঙ্গ হিসাবে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের অবাধ যাতায়াতের উপরে নিয়ন্ত্রণ শুরু হয়। এই নিয়ন্ত্রণের অঙ্গ হিসাবে হাসপাতালের গেটেই ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আউট ডোরের রোগীর সঙ্গে একজন, ইমার্জেন্সির রোগীর সঙ্গে দুই জন পরিজনকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেওয়া শুরু হয়। হাসপাতালে ভরতি থাকা রোগীদের জন্য যেমন ব্যবস্থা চালু রয়েছে, অর্থাৎ, ২৪ ঘণ্টার জন্য এবং ভিজিটিং আওয়ার্সে হাসপাতাল থেকে ইস্যু করা যে কার্ডের মাধ্যমে রোগীর সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন পরিজনরা, সেই ব্যবস্থাই চালু রাখা হয়। তবে, এ ক্ষেত্রেও হাসপাতালের গেট থেকে ওই কার্ড দেখে পরিজনদের প্রবেশ করতে দেওয়া শুরু হয়। এই ব্যবস্থা নেওয়া হয় এক নম্বর গেটে। হাসপাতালের ২ নম্বর গেটটি বন্ধ করে রাখা হয়। এবং, তিন নম্বর গেটটি রাখা হয় হাসপাতাল থেকে রোগী এবং পরিজনদের বের হওয়ার জন্য। এই ৩ নম্বর গেট দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য গাড়িকে হাসপাতালে প্রবেশ এবং বের হতে দেওয়া হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, এভাবে নিয়ন্ত্রণের জেরে হাসপাতালের মধ্যে অবাঞ্ছিত মানুষের ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। এর ফলে অবাঞ্ছিত ঝামেলাও এড়ানো সম্ভব হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি পুলিশের প্রশংসা পেয়েছে। আর, এই বিষয়টি নিয়েই তৈরি হয় জটিলতা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, এই নিয়ন্ত্রণের সুফল পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে, এই নিয়ন্ত্রণের জেরে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। সূত্রের খবর, হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয় চেয়ারম্যান, ডাক্তার শান্তনু সেন এবং রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার মধ্যে। ডাক্তার শান্তনু সেন এই নিয়ন্ত্রণের পক্ষে মত দেন। অন্যদিকে, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা এর বিপক্ষে মত দেন। রোগী কল্যাণ সমিতির পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা আনা হবে।

আর, এর মধ্যে বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল ডাক্তার শান্তনু সেনকে। গেট সংক্রান্ত এমন বিষয়ের জেরেই কি এই বদল? এই বিষয়ে ডাক্তার শান্তনু সেনের বক্তব্য জানতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে, তাঁর বক্তব্য মেলেনি। তবে, বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা বলেন, "না, তা কেন হবে। দল একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমার বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে। এলাকার মানুষ, রোগীদের স্বার্থ, পরিজনরা, সব কিছু সমন্বয় রেখেই কাজ যাতে হয়, সেই চেষ্টা করব।" গেটে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি নিয়ে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে তাঁর প্রতিবাদের বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, যেভাবে গেট দিয়ে হাসপাতালে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের প্রবেশ করতে দেওয়া শুরু হয়, তাতে তাঁর কাছে অভিযোগ আসছিল। তবে, এর জন্য রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে এই বদল নয় বলে তিনি জানিয়েছেন।Conclusion:গেটে এই নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছে। এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, "এক নম্বর গেটের একটি পার্ট খুলে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২ নম্বর গেট দিয়ে যাতে একটি মানুষ যাতায়াত করতে পারেন, তা দেখা হবে। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি।" ৩ নম্বর গেট দিয়ে কেউ হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। শুধু হাসপাতাল থেকে বের হতে পারছিলেন। নিয়ন্ত্রণে শিথিলতার জেরে, এই গেট দিয়ে হাসপাতালে প্রবেশও করা যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন। এ দিকে, এই নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এমন শিথিলতার জেরে, হাসপাতালের মধ্যে ফের অবাঞ্ছিত মানুষের প্রবেশ ঘটবে বলে আশঙ্কায় রয়েছে এই মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন অংশ। ওই সব অংশের আশঙ্কা, হাসপাতালে রোগী এবং তাঁদের পরিজনদের প্রবেশের ক্ষেত্রে এমন নিয়ন্ত্রণের জেরে, দালালচক্রকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল। কারণ, অবাঞ্ছিত মানুষের প্রবেশ আটকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছিল গেটে। নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা আনার জেরে, হাসপাতালে মধ্যে ফের দালালচক্র সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কায় রয়েছে ওই সব অংশ। চেয়ারম্যান পদে এই বদলের মধ্যে 'রাজনীতি'ও খুঁজে পাচ্ছে কোনও কোনও অংশ।

_______


ছবি:
wb_kol_01a_cnmch_rks_chairman_pic_7203421
এবং,
wb_kol_01b_cnmch_rks_chairman_pic_7203421
কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক নম্বর গেটের ছবি।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.