ETV Bharat / city

Blended Mode Class : ব্লেন্ডেড মোডে পঠনপাঠনের সমালোচনায় এসএফআই

author img

By

Published : Oct 29, 2021, 9:17 PM IST

পরিকাঠামো তৈরি না করেই দেশে ব্লেন্ডেড মোডে পড়াশোনা শুরু হলে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা ৷ এমনটাই মনে করছে এসএফআই ৷ তাই 40 শতাংশ পড়ুয়ার জন্য অনলাইনে পঠনপাঠনের বিষয়টি পাকা করার আগে দেশজুড়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি করছে তারা ৷

SFI criticizing blended mode class system
Blended Mode Class : পরিকাঠামো না গড়ে ব্লেন্ডেড মোডে পঠনপাঠন সম্ভব নয়, মত এসএফআই নেতার

কলকাতা, 29 অক্টোবর : করোনা অতিমারির জেরে আগামিদিনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ‘ব্লেন্ডেড মোড’ চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ তাদের বক্তব্য, আগামিদিনে করোনা থাকুক, বা না থাকুক, অনলাইনে পড়াশোনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে ৷ মোট পড়ুয়াদের মধ্যে 60 শতাংশ পড়াশোনা করবে স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে ৷ আর বাকি 40 শতাংশের পঠনপাঠন চলবে অনলাইনে ৷ আর এখানেই আপত্তি তুলেছে এসএফআই ৷ তাদের বক্তব্য, যে দেশের একটা বড় অংশের মানুষই এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন, যেখানে সর্বত্র ইন্টারনেটের যোগাযোগই নেই, সেখানে সারা বছর কীভাবে ব্লেন্ডেড মোডে পঠনপাঠন চালানো সম্ভব ?

আরও পড়ুন : School Reopen : খুলছে স্কুল, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের

শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন এসএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘অনলাইনে শিক্ষার জন্য যে ধরনের শক্তিশালী পরিকাঠামো দরকার, তা আমাদের দেশে নেই ৷ এই অবস্থায় ‘করোনা বা নো করোনা’ পরিস্থিতিতে 40 শতাংশ পড়ুয়ার পঠনপাঠন অনলাইনে সম্ভব নয় ৷ গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা এর ফলে বঞ্চিত হবে ৷ একমাত্র অমিত শাহের ছেলের পক্ষেই এভাবে পড়াশোনা করা সম্ভব ৷’’

পরিকাঠামো তৈরি না করেই দেশে ব্লেন্ডেড মোডে পড়াশোনা শুরু হলে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা ৷

এই ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারেরও সমালোচনা করেছেন সৃজন ৷ তাঁর বক্তব্য, ডিজিটালাইজেশন নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই ৷ কিন্তু, তার আগে পরিকাঠামো গড়ে তোলা দরকার ৷ যেটা পশ্চিমবঙ্গ-সহ অধিকাংশ রাজ্যেই নেই ৷ এই প্রসঙ্গে কেরালার বাম সরকারের প্রশংসাও করেন এসএফআই নেতা ৷ একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিগুলি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷

আরও পড়ুন : No Mask Culture: মাস্ক না পরেই রাস্তায়, জলপাইগুড়িতে দু’দিনে ২২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সৃজন বলেন, ‘‘আমরা টেকনোলজির বিরোধী নই ৷ এর বিরোধিতা করা আমাদের লক্ষ্যও নয় ৷ আসল বিষয়টা হল প্রযুক্তির সমবণ্টন ৷ সবার কাছে প্রযুক্তি পৌঁছোচ্ছে কি না, সেটা দেখতে হবে ৷ আমরা এই নিয়ে আন্দোলন করে চলেছি। আমাদের আন্দোলনের চাপেই পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল ৷ দু’দিন পর আবার তা থেকে সরে গিয়ে ট্যাব কেনার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয় ৷’’ সৃজনের প্রশ্ন, ছাত্রছাত্রীদের হাতে সত্যিই যদি ট্যাব পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে সেই ট্যাবেই কেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হল না ৷ কেন বাতিল করতে হল পরীক্ষা ? এই তরুণ নেতার মতে, যথাযথ পরিকাঠামো তৈরি না করেই যদি ব্লেন্ডেড মোডে পড়াশোনা চালু করা হয়, তাহলে তা হবে একটা জগাখিচুড়ি ব্যবস্থা ৷ যেখানে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা ৷

কলকাতা, 29 অক্টোবর : করোনা অতিমারির জেরে আগামিদিনে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় ‘ব্লেন্ডেড মোড’ চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ তাদের বক্তব্য, আগামিদিনে করোনা থাকুক, বা না থাকুক, অনলাইনে পড়াশোনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা হবে ৷ মোট পড়ুয়াদের মধ্যে 60 শতাংশ পড়াশোনা করবে স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে ৷ আর বাকি 40 শতাংশের পঠনপাঠন চলবে অনলাইনে ৷ আর এখানেই আপত্তি তুলেছে এসএফআই ৷ তাদের বক্তব্য, যে দেশের একটা বড় অংশের মানুষই এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন, যেখানে সর্বত্র ইন্টারনেটের যোগাযোগই নেই, সেখানে সারা বছর কীভাবে ব্লেন্ডেড মোডে পঠনপাঠন চালানো সম্ভব ?

আরও পড়ুন : School Reopen : খুলছে স্কুল, স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে নির্দেশিকা জারি শিক্ষা দফতরের

শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন এসএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘অনলাইনে শিক্ষার জন্য যে ধরনের শক্তিশালী পরিকাঠামো দরকার, তা আমাদের দেশে নেই ৷ এই অবস্থায় ‘করোনা বা নো করোনা’ পরিস্থিতিতে 40 শতাংশ পড়ুয়ার পঠনপাঠন অনলাইনে সম্ভব নয় ৷ গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা এর ফলে বঞ্চিত হবে ৷ একমাত্র অমিত শাহের ছেলের পক্ষেই এভাবে পড়াশোনা করা সম্ভব ৷’’

পরিকাঠামো তৈরি না করেই দেশে ব্লেন্ডেড মোডে পড়াশোনা শুরু হলে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা ৷

এই ইস্যুতে কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারেরও সমালোচনা করেছেন সৃজন ৷ তাঁর বক্তব্য, ডিজিটালাইজেশন নিয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই ৷ কিন্তু, তার আগে পরিকাঠামো গড়ে তোলা দরকার ৷ যেটা পশ্চিমবঙ্গ-সহ অধিকাংশ রাজ্যেই নেই ৷ এই প্রসঙ্গে কেরালার বাম সরকারের প্রশংসাও করেন এসএফআই নেতা ৷ একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিগুলি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি ৷

আরও পড়ুন : No Mask Culture: মাস্ক না পরেই রাস্তায়, জলপাইগুড়িতে দু’দিনে ২২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সৃজন বলেন, ‘‘আমরা টেকনোলজির বিরোধী নই ৷ এর বিরোধিতা করা আমাদের লক্ষ্যও নয় ৷ আসল বিষয়টা হল প্রযুক্তির সমবণ্টন ৷ সবার কাছে প্রযুক্তি পৌঁছোচ্ছে কি না, সেটা দেখতে হবে ৷ আমরা এই নিয়ে আন্দোলন করে চলেছি। আমাদের আন্দোলনের চাপেই পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল ৷ দু’দিন পর আবার তা থেকে সরে গিয়ে ট্যাব কেনার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয় ৷’’ সৃজনের প্রশ্ন, ছাত্রছাত্রীদের হাতে সত্যিই যদি ট্যাব পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়, তাহলে সেই ট্যাবেই কেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হল না ৷ কেন বাতিল করতে হল পরীক্ষা ? এই তরুণ নেতার মতে, যথাযথ পরিকাঠামো তৈরি না করেই যদি ব্লেন্ডেড মোডে পড়াশোনা চালু করা হয়, তাহলে তা হবে একটা জগাখিচুড়ি ব্যবস্থা ৷ যেখানে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.