কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: বৃহস্পতিবার থেকে আবার চালু হল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি (School Reopen In WB)। তবে এবার চালু হচ্ছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস। অর্থাৎ দু'বছর ফের স্কুলমুখী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা ৷ ফলে আগে পড়া জুতো-মোজা আর ঢুকছে না পায়ে। তাই, তড়িঘড়ি পাড়ার জুতোর দোকানে যাওয়া হল জুতো কিনতে। তবে টানা দু'বছর পর স্কুলে আসতে পেরে যেমন আনন্দিত অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা ও তাদের অভিভাবকরা। অষ্টম শ্রেণির বহু অভিভাবকরা স্কুলের বাইরে গল্পের মাধ্যমে কীভাবে শেষবেলায় বাচ্চাদের জামাকাপড়, স্কুলব্যাগ থেকে জুতো সবকিছু জোগাড় করলেন সেই নিয়ে বিস্তর হাসি-গল্প করতে করতে নিজেদের অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করলেন (class eight school reopen in west Bengal after two years) ।
এক অভিভাবক বলেন, "স্কুল খোলার ঘোষণা হওয়ার পরেই আমি ও আমার ছেলে উৎসাহিত হই। এরপর যখন ওর স্কুলের জামা কাপড় নামানো হয় তখন দেখা গেল যে জামাকাপড় সবই ছোট হয়ে গিয়েছে। সেগুলি আর পড়ে স্কুলে যাওয়া যাবে না। তাই তড়িঘড়ি আবার দোকানে গিয়ে ছেলের জামা কাপড়, জুতো থেকে ব্যাগ সবকিছুই কিনতে হল।" তিনি আরও বলেন, "নিঃসন্দেহে আমার ছেলে দু'বছর স্কুলের মুখ দেখেনি। কবে যে ক্লাস ফাইভ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে উঠে গেল সেটা বুঝতেই পারলাম না। বাড়িতে থেকে অনলাইনে টানা ক্লাস চলতে পারে না। তাই আবার স্কুল খোলায় আমরা সবাই খুশি হয়েছি।"
অভিভাবক সুজয় পাত্র বলেন, "পুনরায় ক্লাসরুম পঠন-পাঠনের প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘ দু'বছর অনলাইনে পড়াশোনা হয়েছে তবে আমরা অনলাইনের পড়াশোনা তেমন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না। কারণ, স্কুলে এসে যে শিক্ষালাভ করতে পারে একজন ছাত্র সেই শিক্ষা সে অনলাইনে কখনই পেতে পারে না। কারণ, অনলাইনে ক্লাসের নামে ওরা মোবাইলে দেখতেই ব্যস্ত থাকত।"
আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকে খুলছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
তবে আগের বারের মতো এবারও পড়ুয়াদের লাইন দিয়ে ঢুকতে হবে। সবাইকে জল, সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেওয়ার পরে কোন কক্ষে বসতে হবে সেটি দেখে নেওয়া হবে। মাস্ক পড়া বাধ্যতমূলক। ক্লাসরুমে শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে। সরকারের গাইডলাইন মেনে চলবে পঠন-পাঠন।