ETV Bharat / city

সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ নেতাদের সামনে রেখে বঙ্গ-বিজেপির সংগঠন সাজানোর পরিকল্পনা আরএসএস-এর

ভোটে হারে ময়নাতদন্তে দলবদলুদের প্রসঙ্গ বারবার উঠে এসেছে বিজেপি ও আরএসএস-এর অন্দরে ৷ তাই সঙ্ঘ এবার চাইছে দলের সাংগঠনিক পদে থাকুন তাদের ঘনিষ্ঠ নেতারা ৷ এই বার্তা ইতিমধ্যে বিজেপির জাতীয় নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছে বলে সূত্রের খবর ৷

rss wants more control in bengal bjp
সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ নেতাদের সামনে রেখে বঙ্গ-বিজেপির সংগঠন সাজানোর পরিকল্পনা আরএসএস-এর
author img

By

Published : Jul 3, 2021, 2:19 PM IST

কলকাতা, 3 জুলাই : ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের যোগদান করানো যে ভুল হয়েছিল, তা ভোটের পর টের পাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ৷ একই মত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস-এরও (RSS) ৷ তাই তারা চাইছে আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গে দলের নেতৃত্ব এমন নেতাদের হাতে থাকা উচিত যাঁরা সঙ্ঘ থেকে এসেছেন বা সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ বিষয়টি তাই ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে ৷ এই বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ৷ গেরুয়া শিবির সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷

ওই সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে আরএসএস বিধানসভা ভোটে হারের ময়নাতদন্ত করে ফেলেছে ৷ সেখানে সামনে এসেছে যে ভোটের আগে বিজেপির কাজে আরএসএস-এর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না ৷ যাকে খুশি দলে নেওয়া হয়েছে ৷ অন্য দল থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের যাচাই না করেই সাংগঠনিক পদ দেওয়া হয়েছে ৷ এমনকি, 148 টি কেন্দ্রে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের প্রার্থী করা হয়েছে ৷ তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন জিতেছেন ৷ এতে পুরনো বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন ৷ তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিজেপির থেকে ৷

আরও পড়ুন : সুদীপ্ত সেনের চিঠি টুইট করে সারদায় শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি কুণালের

আরএসএস-এর মুখপত্র স্বস্তিকার প্রাক্তন সম্পাদক রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, "তৃণমূল পরিকল্পনা করেই করেই বিজেপিকে হারিয়েছে । সেটা বিজেপি বুঝতে পারেনি । তৃণমূল ভোটের আগে শয়ে শয়ে তাদের কিছু সক্রিয় কর্মীকে বিজেপিতে পাঠিয়ে দিয়েছিল । আর তাঁরা বিজেপিতে থেকেই বিজেপির ক্ষতি করেছেন । আর তৃণমূলকে বিজেপির পরিকল্পনা সব জানিয়ে দিয়েছেন ৷"

আরএসএসের শীর্ষ নেতৃত্ব সংগঠনের বঙ্গ নেতৃত্বের কাজে খুশি নয় বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে ৷ বিজেপির এই পরিস্থিতি দেখেও কেন তারা চুপ ছিল, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ এই রাজ্যে আরএসএস-এর প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন প্রদীপ যোশী ৷ তাঁর কাছে এই নিয়ে জবাব চাওয়া হয় ৷ তিনি নাগপুরে দলের সদর দফতরে তিনি রিপোর্ট জমা দেন ৷ তার পরই নড়েচড়ে বসে নাগপুরের নেতৃত্ব ৷

আরও পড়ুন : গর্জন অনুযায়ী বর্ষণ নয়, বিজেপির চিৎকারে মুখ বন্ধ ধনকড়ের

সূত্রের খবর, এবার বঙ্গ-বিজেপিকে ঢেলে সাজাতে চাইছে আরএসএস ৷ সেই নির্দেশই বিজেপির জাতীয়স্তরের নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৷ আরএসএস থেকে আসা নেতারাই সাংগঠনিক পদে বসানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ তবে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর আস্থা অর্জন করে নিয়েছে ৷ সেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন রয়েছে বলে খবর ৷

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারিয়েছেন ৷ তার পর তাঁর গুরুত্ব বেড়েছে দলে ৷ তাঁকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) করা হয়েছে ৷ গত এক মাসের মধ্যে অন্তত তিনবার তিনি দিল্লি সফর করেছেন ৷ দু’বার সাক্ষাৎ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে ৷ বৈঠক করেছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ৷ ফলে তিনি যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা অর্জন করেছেন, তা বোঝাই যাচ্ছিল ৷ এবার আরএসএস-ও তাতে সিলমোহর দিয়েছে বলে সূত্রের খবর ৷

আরও পড়ুন : শুধুই বিরোধিতা নাকি গঠনমূলক সমালোচনা ? কেমন হবে বিরোধীদের ভূমিকা

এখন দেখার আরএসএস-এর কথামতো বঙ্গ-বিজেপির চালিকাশক্তি হিসেবে কোন কোন মুখকে সামনে নিয়ে আসে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ! সেখানে শুভেন্দু অধিকারী বা তৃণমূল থেকে আসা অন্য কোনও নেতার কোনও জায়গা হয় কি না !

কলকাতা, 3 জুলাই : ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের যোগদান করানো যে ভুল হয়েছিল, তা ভোটের পর টের পাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) ৷ একই মত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস-এরও (RSS) ৷ তাই তারা চাইছে আগামিদিনে পশ্চিমবঙ্গে দলের নেতৃত্ব এমন নেতাদের হাতে থাকা উচিত যাঁরা সঙ্ঘ থেকে এসেছেন বা সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ৷ বিষয়টি তাই ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর তরফে জানানো হয়েছে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষকে ৷ এই বার্তা দিয়েছেন স্বয়ং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) ৷ গেরুয়া শিবির সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷

ওই সূত্র জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে আরএসএস বিধানসভা ভোটে হারের ময়নাতদন্ত করে ফেলেছে ৷ সেখানে সামনে এসেছে যে ভোটের আগে বিজেপির কাজে আরএসএস-এর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না ৷ যাকে খুশি দলে নেওয়া হয়েছে ৷ অন্য দল থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের যাচাই না করেই সাংগঠনিক পদ দেওয়া হয়েছে ৷ এমনকি, 148 টি কেন্দ্রে তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের প্রার্থী করা হয়েছে ৷ তাদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন জিতেছেন ৷ এতে পুরনো বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন ৷ তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন বিজেপির থেকে ৷

আরও পড়ুন : সুদীপ্ত সেনের চিঠি টুইট করে সারদায় শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবি কুণালের

আরএসএস-এর মুখপত্র স্বস্তিকার প্রাক্তন সম্পাদক রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, "তৃণমূল পরিকল্পনা করেই করেই বিজেপিকে হারিয়েছে । সেটা বিজেপি বুঝতে পারেনি । তৃণমূল ভোটের আগে শয়ে শয়ে তাদের কিছু সক্রিয় কর্মীকে বিজেপিতে পাঠিয়ে দিয়েছিল । আর তাঁরা বিজেপিতে থেকেই বিজেপির ক্ষতি করেছেন । আর তৃণমূলকে বিজেপির পরিকল্পনা সব জানিয়ে দিয়েছেন ৷"

আরএসএসের শীর্ষ নেতৃত্ব সংগঠনের বঙ্গ নেতৃত্বের কাজে খুশি নয় বলে ওই সূত্র জানাচ্ছে ৷ বিজেপির এই পরিস্থিতি দেখেও কেন তারা চুপ ছিল, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে ৷ এই রাজ্যে আরএসএস-এর প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেন প্রদীপ যোশী ৷ তাঁর কাছে এই নিয়ে জবাব চাওয়া হয় ৷ তিনি নাগপুরে দলের সদর দফতরে তিনি রিপোর্ট জমা দেন ৷ তার পরই নড়েচড়ে বসে নাগপুরের নেতৃত্ব ৷

আরও পড়ুন : গর্জন অনুযায়ী বর্ষণ নয়, বিজেপির চিৎকারে মুখ বন্ধ ধনকড়ের

সূত্রের খবর, এবার বঙ্গ-বিজেপিকে ঢেলে সাজাতে চাইছে আরএসএস ৷ সেই নির্দেশই বিজেপির জাতীয়স্তরের নেতৃত্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৷ আরএসএস থেকে আসা নেতারাই সাংগঠনিক পদে বসানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ তবে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে নেতাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই আরএসএস-এর আস্থা অর্জন করে নিয়েছে ৷ সেই শুভেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন রয়েছে বলে খবর ৷

প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারিয়েছেন ৷ তার পর তাঁর গুরুত্ব বেড়েছে দলে ৷ তাঁকে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of Opposition) করা হয়েছে ৷ গত এক মাসের মধ্যে অন্তত তিনবার তিনি দিল্লি সফর করেছেন ৷ দু’বার সাক্ষাৎ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে ৷ বৈঠক করেছেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ৷ ফলে তিনি যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থা অর্জন করেছেন, তা বোঝাই যাচ্ছিল ৷ এবার আরএসএস-ও তাতে সিলমোহর দিয়েছে বলে সূত্রের খবর ৷

আরও পড়ুন : শুধুই বিরোধিতা নাকি গঠনমূলক সমালোচনা ? কেমন হবে বিরোধীদের ভূমিকা

এখন দেখার আরএসএস-এর কথামতো বঙ্গ-বিজেপির চালিকাশক্তি হিসেবে কোন কোন মুখকে সামনে নিয়ে আসে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ! সেখানে শুভেন্দু অধিকারী বা তৃণমূল থেকে আসা অন্য কোনও নেতার কোনও জায়গা হয় কি না !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.