ETV Bharat / city

রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া বাগবাজারে, বাড়িতে বৃদ্ধের পচাগলা দেহ আগলে স্ত্রী-মেয়ে - বাগবাজার

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত দেড় মাস আগে দিগ্বিজয় ঘোষের মৃত্যু হয়েছে ৷ আর তাঁর পচাগলা দেহ আগলে থাকছিলেন স্ত্রী এবং মেয়ে ৷ দিগ্বিজয়বাবু অসুস্থ ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ তবে, তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷

robinson-street-rerun-woman-and-daughter-found-living-with-old-man-corpse-in-kolkata
রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া বাগবাজারে, বৃদ্ধের পঁচাগলা দেহের সঙ্গে বসবাস স্ত্রী ও মেয়ের
author img

By

Published : Jul 14, 2021, 5:48 PM IST

কলকাতা, 14 জুলাই : রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার বাগবাজারে ৷ 78 বছরের বৃদ্ধের পচাগলা দেহ আগলে মা ও মেয়ে ৷ মৃত ব্যক্তির নাম দিগ্বিজয় ঘোষ বলে জানিয়েছে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে ৷ তখনই প্রতিবেশীদের তরফে রাতেই শ্যামপুকুর থানায় খবর দেয় ৷ পুলিশ এসে ওই বাড়িটিতে তল্লাশি চালালে বৃদ্ধের পচাগলা দেহ দেখতে পায় ৷ আর সেই বাড়িতেই বসবাস করছেন এক বৃদ্ধা এবং তাঁর মেয়ে ৷

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত দেড় মাস আগে দিগ্বিজয় ঘোষের মৃত্যু হয়েছে ৷ তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ তবে, তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ সম্পূর্ণভাবে পচে গিয়েছিল ৷ এমনকি বেশকিছু জায়গা থেকে কঙ্কালও দেখা যাচ্ছিল ৷ পুলিশ মা ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ৷ তবে, পুলিশের অনুমান তাঁরা দু’জনের মানসিকভাবে সুস্থ নন ৷ তাঁদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হতে পারে ৷

তবে, পুলিশ যখন প্রথমে ওই বাড়িটিতে ঢুকতে যায়, সেই সময় ওই বৃদ্ধা এবং তাঁর মেয়ে পুলিশকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরে পচাগলা দেহ পড়ে থাকা সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপন করতেন তাঁরা ৷ এমনকি যে ঘরে দেহ পড়ে ছিল, সেখানেই খাওয়া দাওয়া করতেন তাঁরা ৷ সর্বক্ষণ বাড়ির দরজা এবং জানালা ভিতর থেকে বন্ধ করে রাখা হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ কাউকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ ৷

আরও পড়ন : মায়ের মৃতদেহ আগলে মেয়ে, রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া ট্যাংরায়

পুলিশ জানতে পেরেছে, নিহত ব্যক্তির মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, বিগত কয়েকবছর ধরে তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকেন না ৷ বাপের বাড়িতেই কয়েকবছর ধরে থাকছিলেন তিনি ৷ পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ৷ অন্যদিকে, এই ঘটনায় রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে ৷ যে এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পার্থ দে তাঁর বোন দেবযানী দে এবং দুই পোষ্যের কঙ্কালের সঙ্গে দীর্ঘ ছ’মাস কাটিয়েছিলেন ৷ যে ঘটনায় পুলিশ জানতে পেরেছিল যে, পার্থ দে’র বাবা অরবিন্দ দে গায়ে আগুন ধরিয়ে 2015 সালের 10 জুন আত্মহত্যা করেছিলেন ৷

কলকাতা, 14 জুলাই : রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া এবার বাগবাজারে ৷ 78 বছরের বৃদ্ধের পচাগলা দেহ আগলে মা ও মেয়ে ৷ মৃত ব্যক্তির নাম দিগ্বিজয় ঘোষ বলে জানিয়েছে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ ৷ জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে ৷ তখনই প্রতিবেশীদের তরফে রাতেই শ্যামপুকুর থানায় খবর দেয় ৷ পুলিশ এসে ওই বাড়িটিতে তল্লাশি চালালে বৃদ্ধের পচাগলা দেহ দেখতে পায় ৷ আর সেই বাড়িতেই বসবাস করছেন এক বৃদ্ধা এবং তাঁর মেয়ে ৷

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অন্তত দেড় মাস আগে দিগ্বিজয় ঘোষের মৃত্যু হয়েছে ৷ তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷ তবে, তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ সম্পূর্ণভাবে পচে গিয়েছিল ৷ এমনকি বেশকিছু জায়গা থেকে কঙ্কালও দেখা যাচ্ছিল ৷ পুলিশ মা ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ৷ তবে, পুলিশের অনুমান তাঁরা দু’জনের মানসিকভাবে সুস্থ নন ৷ তাঁদের মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হতে পারে ৷

তবে, পুলিশ যখন প্রথমে ওই বাড়িটিতে ঢুকতে যায়, সেই সময় ওই বৃদ্ধা এবং তাঁর মেয়ে পুলিশকে বাধা দেয় বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরে পচাগলা দেহ পড়ে থাকা সত্ত্বেও সাধারণ জীবনযাপন করতেন তাঁরা ৷ এমনকি যে ঘরে দেহ পড়ে ছিল, সেখানেই খাওয়া দাওয়া করতেন তাঁরা ৷ সর্বক্ষণ বাড়ির দরজা এবং জানালা ভিতর থেকে বন্ধ করে রাখা হত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ কাউকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হত না বলে অভিযোগ ৷

আরও পড়ন : মায়ের মৃতদেহ আগলে মেয়ে, রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া ট্যাংরায়

পুলিশ জানতে পেরেছে, নিহত ব্যক্তির মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, বিগত কয়েকবছর ধরে তিনি স্বামীর সঙ্গে থাকেন না ৷ বাপের বাড়িতেই কয়েকবছর ধরে থাকছিলেন তিনি ৷ পুলিশ গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে ৷ অন্যদিকে, এই ঘটনায় রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের স্মৃতিকে উস্কে দিয়েছে ৷ যে এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার পার্থ দে তাঁর বোন দেবযানী দে এবং দুই পোষ্যের কঙ্কালের সঙ্গে দীর্ঘ ছ’মাস কাটিয়েছিলেন ৷ যে ঘটনায় পুলিশ জানতে পেরেছিল যে, পার্থ দে’র বাবা অরবিন্দ দে গায়ে আগুন ধরিয়ে 2015 সালের 10 জুন আত্মহত্যা করেছিলেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.