কলকাতা, 20 জুন: কাশীপুর এলাকার রতনবাবুর ঘাট সংলগ্ন চন্দ্রকুমার রায় লেন রাস্তায় আচমকাই নামল ধস (Road collapsed)। পাশাপাশি তিন থেকে চারটি ঘরের দেওয়ালে ফাটল ধরে যায় (house cracked)। এর জেরে আতঙ্কে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বাসিন্দারা । তাঁদের আপাতত সামনেই একটি সরকারি স্কুল বাড়িতে রাখা হয়েছে ।
স্থানীয় বাসিন্দা পায়েল বাগ বলেন, "যে অংশে এই ঘটনাটি ঘটেছে তার নিচেই আছে একটি পুরনো নিকাশি নালা । আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ড্রেনের জল ওই নালার মারফত গঙ্গায় গিয়ে পড়ে । সেই নালা বন্ধ করার পরেই গত শুক্রবার সকাল থেকে আচমকা মাটি বসতে শুরু করে । সন্ধ্যায় অনেকটা অংশের মাটি বসে যায় । পাশাপাশি ফাটল ধরে যায় তিন-চারটে বাড়িতে । আমরা সকলেই আতঙ্কিত হয়ে বেরিয়ে আসি বাইরে । বিষয়টি জানানো হয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলর কার্তিক মান্নাকে । পাইপলাইনের মুখ বন্ধ করায় পুরনো পাইপের ফাটল দিয়ে মাটির ফাঁক ফোকরে জল ঢুকে গিয়েছে এবং মাটি বসে গিয়ে এমন ঘটনা বলে আশঙ্কা ।"
![Road collapsed and house cracked in Cossipore](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-ratanbaburghat-7210726_20062022152756_2006f_1655719076_748.jpg)
দিয়া মণ্ডল বলেন, "ঘটনায় আমরা অত্যন্ত আতঙ্কিত । তিন-চারটে বাড়িতে ফাটল দেখা দেওয়ায় তার আশপাশের ঘরের লোকজনও মালপত্র নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসি । রাতেই সামনে একটি স্থানীয় সরকারি স্কুলে কাউন্সিলরের সাহায্যে আপাতত সেখানে গিয়ে উঠেছি । যতদিন এখানে কাজ চলবে ততদিন ওখানেই থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন পৌর প্রতিনিধি ।"
কলকাতা পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিকাশি নালার জল এতদিন সরাসরি ওই নালা দিয়ে গিয়ে পড়ত গঙ্গায় । বহুদিন আগে অন্য একটি চ্যানেল করা হয়েছে । যেখানে নিকাশির জল ফিল্টার হয়ে তারপরে গঙ্গায় পড়ে । ওই পাইপ বন্ধ করার কাজের পাশাপাশি সেখানে একটি জেটি তৈরি হচ্ছে নতুন । সেই জেটির কাজের জন্য লোহার কাঠামো লাগানো হচ্ছে । আর এই লোহার পিলারের সময় কম্পন থেকেও এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা (Road collapsed and house cracked in Cossipore)।
আরও পড়ুন : KMC Water Illegal Use : কলকাতা পৌরনিগমের পানীয় জলের বেআইনি ব্যবহারের অভিযোগ, আইন তৈরির আশ্বাস মেয়রের
যদিও নিকাশি বিভাগের কী করণীয়, তা খতিয়ে দেখতে কলকাতা পৌরনিগমের একটি ইঞ্জিনিয়রের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । পাশাপাশি এদিন প্রায় দেড়শ থেকে দুশো বস্তা বালি ওই ফাটলে দেওয়া হয়েছে । এছাড়াও প্রায় দুই গাড়ির উপরে জল তার মধ্যে দেওয়া হয়েছে । মাটি দিয়ে ধীরে ধীরে ফাটল ভর্তি করা হয় । আশা করা হচ্ছে আপাতত আর নতুন করে এমন কোনও ঘটনা ঘটবে না ।