ETV Bharat / city

কোরোনায় কার্যকরী রি-পারপাসড ওষুধ, বলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ভবিষ্যৎবাণী করেন, রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহারে একমাসে সাড়ে চার হাজার কোরোনা আক্রান্ত রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব । তাঁদের বক্তব্য 95 শতাংশ সত্যি প্রমাণিত হয়েছে ।

author img

By

Published : Oct 5, 2020, 2:08 PM IST

Updated : Oct 7, 2020, 11:08 AM IST

coronavirus treatment
রি-পারপাস ওষুধ ব্যবহারে সুস্থ হচ্ছেন কোরোনা আক্রান্ত রোগীরা

কলকাতা, 5 অক্টোবর: ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি । নির্দিষ্ট কোনও ওষুধও নেই । কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় তাই অন্য রোগের ওষুধ ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা । সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য রোগের ওষুধ অর্থাৎ রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহারে কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার হার অনেক বেশি । এই বিষয়ে একটি জার্নালে গবেষণাটি দ্রুত প্রকাশিত হতে চলেছে ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সম্প্রতি একটি গাণিতিক গবেষণা চালান । তাতে তাঁরা ভবিষ্যৎবাণী করেন যে, রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহার করে ভারতে এক মাসে সাড়ে চার হাজার মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব ‌। এক মাস পর দেশের কোরোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে তা সত্যি প্রমাণিত হয় । প্রায় 95 শতাংশ ক্ষেত্রে রি-পারপাসড ওষুধ কার্যকরী প্রমাণিত হয় । বর্তমানে COVID-19'এর সম্ভাব্য 41টি ভ্যাকসিন ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে । কিন্তু ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও তা মানুষের জন্য সহজলভ্য করার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি । এরমধ্যে উত্তোরত্ত‍র বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা । এই পরিস্থিতিতে কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় অন্য অসুখের জন্য আবিষ্কৃত বেশ কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তার ফলও পাওয়া যাচ্ছে ‌। চলতি বছর জুলাই মাসে এই ধরনের তিনটি রি-পারপাসড ওষুধ COVID-19 আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) । এরমধ্যে একটি হল ডেক্সামেথাসন । যা আর্থাইটিস, অ্যাস্থমা, অন্ত্রের রোগ ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয় । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ (NIH) জটিল COVID-19 রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে । ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে দেখা গেছে, ডেক্সামেথাসন ভেন্টিলেশনে থাকা COVID-19 আক্রান্তদের মৃত্যুর হার তিন ভাগের এক ভাগ কমাতে সক্ষম হয়েছে । আর একটি ওষুধ হল রেমডেসিভির । ইবোলা ভাইরাস ইনফেকশনে ব্যবহার করা এই ওষুধটি । COVID-19-এ আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করেও ফল মিলেছে । আবার মাইল্ড ও মডারেট রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাবিপিয়াভির ওষুধটি ব্যবহারেও ফল পাওয়া গেছে । কনভ্লাসেন্টস প্লাজ়মা বা ইমমিউনোগ্লোবুলিনস থেরাপির মাধ‍্যমেও বহু গুরুতর অসুস্থ COVID-19 রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে ।

একদিকে নন ফার্মাসিউটিকালস ইন্টারভেনশন (NPI) অর্থাৎ, লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা অর্থাৎ সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা, মাস্ক ও সানগ্লাস পরা । এসবের মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্তরে বা সামাজিক স্তরে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে । অন্যদিকে রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য । প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে NPI স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে রি-পারপাসড ওষুধের ব্যবহার সবথেকে ভালো উপায় । কিন্তু কীভাবে এবং কী পরিমাণে NPI স্ট্র্যাটেজি এবং রি-পারপাসড ওষুধ COVID-19'এর ভার হালকা করতে পারে, তা নিয়ে গাণিতিক মডেল এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণা করার উদ্যোগ নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধীনস্থ সেন্টার ফর বায়োলজি অ্যান্ড ইকোলজি । এই বিষয়ে কো-অর্ডিনেটর নন্দদুলাল বৈরাগী বলেন, "আমরা এতদিন সবাই কবে কোরোনার সংক্রমণ শিখরে পৌঁছাবে, কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কাজ করছিলাম । এই গবেষণাপত্র আমরা একটু ভিন্নভাবে করেছি । আমরা ধরে নিয়েছি, আমাদের কাছে সহজে COVID-19-এর ভ্যাকসিন বা ওষুধ যা নির্দিষ্টভাবে COVID-19-এর জন্যই হবে । সেরকম কিছু হবে না । কিছু ওষুধ আছে যেগুলো অন্য রোগের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছিল । কিন্তু COVID-19-এর চিকিৎসায় তার ব্যবহারে যথেষ্ট ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে । আমরা আমাদের গবেষণাপত্রে দেখিয়েছি যে, 28 অগাস্ট থেকে 26 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রি-পারপাসড ড্রাগ ব্যবহার করে দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার COVID-19 এর মৃত্যু এড়ানো গেছে ।"

এই বিষয়টি নিয়ে গাণিতিক গবেষণায় মোট তিনটি কন্ট্রোল ব্যবহার করা হয়েছিল । তার মধ্যে দু'টি NPI স্ট্র্যাটেজি ও একটি রি-পারপাসড ড্রাগ । গাণিতিক মডেল, বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে, মানুষের জীবন রক্ষার এবং কোরোনায় সুস্থতার হার বৃদ্ধিতে রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী । তবে, ঠিক কতটা? তারও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল গবেষণাপত্রে । বলা হয়, এক মাসের মধ্যে ভারতে 4 হাজার 794 জন কোরোনা আক্রান্ত মানুষের প্রাণ বাঁচানো যাবে রি-পারপাসড ড্রাগ ব্যবহার করে । 28 অগাস্ট থেকে 26 সেপ্টেম্বর, এই সময়সীমাকে ধরে করা হয়েছিল ভবিষ্যদ্বাণী । তার 95 শতাংশের উপর মিলে গেছে । নন্দদুলাল বৈরাগী বলেন, "আগে ICU-তে যে সমস্ত COVID-19 আক্রান্ত ভরতি হতেন তার মধ্যে 50 শতাংশের মৃত্যু হত । এখন সেটা অনেক কম । কারণ, আমাদের কাছে রি-পারপাসড ওষুধ চলে এসেছে । আমরা যখন গবেষণাপত্র পাঠিয়েছিলাম তখন এক মাস পরে কী হবে সেটা সম্পর্কে বলেছিলাম ।" ইতিমধ্যে এই গবেষণাপত্র একটি গ্লোবাল জার্নালে প্রকাশের জন্য নির্বাচিত হয়ে গেছে । গবেষণাপত্রে কিছু সংশোধনের পর 29 অগাস্ট এলসভিয়ারের কাছে পাঠান যাদবপুরের গবেষকরা । সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তা এলসভিয়ারের জার্নাল ISA ট্রানজ়াকশনস, দা জার্নাল অফ অটোমেশনে প্রকাশের জন্য নির্বাচিতও হয়ে গেছে । বর্তমানে তা প্রকাশ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে ।

রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহারে সুস্থ হচ্ছেন কোরোনা আক্রান্ত রোগীরা

কলকাতা, 5 অক্টোবর: ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি । নির্দিষ্ট কোনও ওষুধও নেই । কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় তাই অন্য রোগের ওষুধ ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা । সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য রোগের ওষুধ অর্থাৎ রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহারে কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনার হার অনেক বেশি । এই বিষয়ে একটি জার্নালে গবেষণাটি দ্রুত প্রকাশিত হতে চলেছে ।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সম্প্রতি একটি গাণিতিক গবেষণা চালান । তাতে তাঁরা ভবিষ্যৎবাণী করেন যে, রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহার করে ভারতে এক মাসে সাড়ে চার হাজার মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব ‌। এক মাস পর দেশের কোরোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে তা সত্যি প্রমাণিত হয় । প্রায় 95 শতাংশ ক্ষেত্রে রি-পারপাসড ওষুধ কার্যকরী প্রমাণিত হয় । বর্তমানে COVID-19'এর সম্ভাব্য 41টি ভ্যাকসিন ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে । কিন্তু ওষুধ বা ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও তা মানুষের জন্য সহজলভ্য করার প্রক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদি । এরমধ্যে উত্তোরত্ত‍র বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা । এই পরিস্থিতিতে কোরোনা ভাইরাসের চিকিৎসায় অন্য অসুখের জন্য আবিষ্কৃত বেশ কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে এবং তার ফলও পাওয়া যাচ্ছে ‌। চলতি বছর জুলাই মাসে এই ধরনের তিনটি রি-পারপাসড ওষুধ COVID-19 আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারে অনুমতি দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) । এরমধ্যে একটি হল ডেক্সামেথাসন । যা আর্থাইটিস, অ্যাস্থমা, অন্ত্রের রোগ ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয় । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ (NIH) জটিল COVID-19 রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে । ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে দেখা গেছে, ডেক্সামেথাসন ভেন্টিলেশনে থাকা COVID-19 আক্রান্তদের মৃত্যুর হার তিন ভাগের এক ভাগ কমাতে সক্ষম হয়েছে । আর একটি ওষুধ হল রেমডেসিভির । ইবোলা ভাইরাস ইনফেকশনে ব্যবহার করা এই ওষুধটি । COVID-19-এ আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করেও ফল মিলেছে । আবার মাইল্ড ও মডারেট রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাবিপিয়াভির ওষুধটি ব্যবহারেও ফল পাওয়া গেছে । কনভ্লাসেন্টস প্লাজ়মা বা ইমমিউনোগ্লোবুলিনস থেরাপির মাধ‍্যমেও বহু গুরুতর অসুস্থ COVID-19 রোগীর প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে ।

একদিকে নন ফার্মাসিউটিকালস ইন্টারভেনশন (NPI) অর্থাৎ, লকডাউন, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা অর্থাৎ সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া বা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করা, মাস্ক ও সানগ্লাস পরা । এসবের মাধ্যমে ব্যক্তিগত স্তরে বা সামাজিক স্তরে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে । অন্যদিকে রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য । প্যানডেমিকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে NPI স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে রি-পারপাসড ওষুধের ব্যবহার সবথেকে ভালো উপায় । কিন্তু কীভাবে এবং কী পরিমাণে NPI স্ট্র্যাটেজি এবং রি-পারপাসড ওষুধ COVID-19'এর ভার হালকা করতে পারে, তা নিয়ে গাণিতিক মডেল এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষণা করার উদ্যোগ নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধীনস্থ সেন্টার ফর বায়োলজি অ্যান্ড ইকোলজি । এই বিষয়ে কো-অর্ডিনেটর নন্দদুলাল বৈরাগী বলেন, "আমরা এতদিন সবাই কবে কোরোনার সংক্রমণ শিখরে পৌঁছাবে, কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে এর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কাজ করছিলাম । এই গবেষণাপত্র আমরা একটু ভিন্নভাবে করেছি । আমরা ধরে নিয়েছি, আমাদের কাছে সহজে COVID-19-এর ভ্যাকসিন বা ওষুধ যা নির্দিষ্টভাবে COVID-19-এর জন্যই হবে । সেরকম কিছু হবে না । কিছু ওষুধ আছে যেগুলো অন্য রোগের চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছিল । কিন্তু COVID-19-এর চিকিৎসায় তার ব্যবহারে যথেষ্ট ইতিবাচক ফল পাওয়া গেছে । আমরা আমাদের গবেষণাপত্রে দেখিয়েছি যে, 28 অগাস্ট থেকে 26 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই রি-পারপাসড ড্রাগ ব্যবহার করে দেশে প্রায় সাড়ে চার হাজার COVID-19 এর মৃত্যু এড়ানো গেছে ।"

এই বিষয়টি নিয়ে গাণিতিক গবেষণায় মোট তিনটি কন্ট্রোল ব্যবহার করা হয়েছিল । তার মধ্যে দু'টি NPI স্ট্র্যাটেজি ও একটি রি-পারপাসড ড্রাগ । গাণিতিক মডেল, বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে, মানুষের জীবন রক্ষার এবং কোরোনায় সুস্থতার হার বৃদ্ধিতে রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহার অত্যন্ত কার্যকরী । তবে, ঠিক কতটা? তারও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল গবেষণাপত্রে । বলা হয়, এক মাসের মধ্যে ভারতে 4 হাজার 794 জন কোরোনা আক্রান্ত মানুষের প্রাণ বাঁচানো যাবে রি-পারপাসড ড্রাগ ব্যবহার করে । 28 অগাস্ট থেকে 26 সেপ্টেম্বর, এই সময়সীমাকে ধরে করা হয়েছিল ভবিষ্যদ্বাণী । তার 95 শতাংশের উপর মিলে গেছে । নন্দদুলাল বৈরাগী বলেন, "আগে ICU-তে যে সমস্ত COVID-19 আক্রান্ত ভরতি হতেন তার মধ্যে 50 শতাংশের মৃত্যু হত । এখন সেটা অনেক কম । কারণ, আমাদের কাছে রি-পারপাসড ওষুধ চলে এসেছে । আমরা যখন গবেষণাপত্র পাঠিয়েছিলাম তখন এক মাস পরে কী হবে সেটা সম্পর্কে বলেছিলাম ।" ইতিমধ্যে এই গবেষণাপত্র একটি গ্লোবাল জার্নালে প্রকাশের জন্য নির্বাচিত হয়ে গেছে । গবেষণাপত্রে কিছু সংশোধনের পর 29 অগাস্ট এলসভিয়ারের কাছে পাঠান যাদবপুরের গবেষকরা । সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে তা এলসভিয়ারের জার্নাল ISA ট্রানজ়াকশনস, দা জার্নাল অফ অটোমেশনে প্রকাশের জন্য নির্বাচিতও হয়ে গেছে । বর্তমানে তা প্রকাশ করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে ।

রি-পারপাসড ওষুধ ব্যবহারে সুস্থ হচ্ছেন কোরোনা আক্রান্ত রোগীরা
Last Updated : Oct 7, 2020, 11:08 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.