কলকাতা, 16 অক্টোবর : স্পষ্টতই বিরক্ত তিনি ৷ বারবার আলোচনায় আসতে চান না । কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কারণেই বারবার মিডিয়ার সামনে আসতে হয়েছে তাঁকে। এতে স্বাভাবিকভাবেই ব্যক্তিগত জীবন হয়ে উঠেছে জনগণের চর্চার বিষয়। এই ঘটনায় যথেষ্টই অস্বস্তিতে রত্না চট্টোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে বেহালা পূর্বের বিধায়ক তিনি। যে ঘটনাক্রম ঘটে চলেছে, তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতেও দ্বিধাগ্রস্ত রত্না চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার ইটিভি ভারতের সঙ্গে টেলিফোনিক আলাপচারিতায় স্পষ্টতই জানান, এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে চান না তিনি। তবুও বলেন, "কী বলব বলুন তো ! যিনি একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তিনি কি জানেন না যা করছেন তা আইনসঙ্গত নয় ৷ আমি একটাই কথা বলতে পারি, এখনও আইনসঙ্গতভাবে আমিই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। এই অবস্থায় কোনও বিবাহ বৈধ নয়। আপনারা বাকিটা শোভনবাবুকে জিজ্ঞেস করুন।"
দীর্ঘ বন্ধুত্বের পর একুশের দশমীতে মা দুর্গার সামনে সরাসরি বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ৷ এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়া হট কেক-এর মতো ছড়িয়ে পরে ৷ পুজোর আগে থেকেই একসঙ্গে ফ্যাশন ফটোশ্যুটে দেখা গিয়েছিল শোভন-বৈশাখীকে ৷ মম চিত্তের তালে কোমর দুলিয়েছিলেন বৈশাখী ৷ হাততালি দিয়ে বান্ধবীর বৈশাখীর সঙ্গে সঙ্গ দিয়েছিলেন শোভনও ৷ এরপর সপ্তমীতে একসঙ্গে বুর্জ খলিফা দর্শনের পর শুক্রবার দশমীতে দেবী দুর্গাকে সাক্ষী রেখে সিঁদুরদান ৷
আরও পড়ুন : উমার বিসর্জনে সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে বৈশাখী আবাহন শোভনের
দুই তরফেই আইনত বৈবাহিক বিচ্ছেদ এখনও হয়নি । কিন্তু তা না-হলেও শুক্রবার সামাজিকভাবে প্রকাশ্যে দুজনের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেন শোভন ও বৈশাখী । কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে দেবী দুর্গাকে বরণ করার পরই শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেন। গোটা বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও জামাই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শ্বশুর দুলাল দাস। তিনি শোভন-বৈশাখীর বিবাহকে ব্যভিচার বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, "আসলে ওরা সমাজকে দূষিত করছে। তাই প্রশাসনের উচিত ওদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করা। পাগল হয়ে ওরা যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে। ওরা যা করছে তাকে ব্যভিচার ছাড়া আর কিছুই বলে না।"
খুব স্বাভাবিকভাবেই এই বিতর্ক যে এত সহজে শেষ হওয়ার নয়, তা বোঝাই যাচ্ছে ৷ এখন দেখার আগামীতে এই বিবাহের জল কতদূর পর্যন্ত গড়ায় ৷