কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি: টেলিভিশন ও খবরের কাগজে রাজ্য সরকার দিয়েছিল বেশ কিছু বিজ্ঞাপন । যেখানে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল, এই রাজ্যে NRC হবে না । ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে সেই বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়েছে । সেই বিজ্ঞাপনে সরকারি তহবিলের অপব্যবহার হয়েছে, এমন বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছেন রাজ্যপাল । আর সেই সূত্রে রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে চিঠি দিল রাজভবন । সেই বিজ্ঞাপন বাবদ কত টাকা খরচ হয়েছে, কে সেই বিজ্ঞাপনে ছাড়পত্র দিয়েছে, সে বিষয়ে নানা তথ্য চাওয়া হল । এই ঘটনার জেরে রাজভবন-নবান্ন সংঘাতের সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়ে উঠল ।
সংঘাতের বাতাবরণ ছিলই । কিন্তু সম্প্রতি নবান্ন ভবন সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত ছিল । এদিনের আঁচে ফের বোমা ফাটাল রাজভবন । ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । চিঠি দেওয়া হয়েছে চলতি মাসের 4 তারিখ । সেই চিঠির উত্তর 7 ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন রাজ্যপাল । বিষয়টি নিয়ে দু'পক্ষই মুখ খোলেনি । আজ এই চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে নিয়ে এল রাজভবন । যদিও নবান্নের তরফে এই চিঠির কোনও উত্তর দেওয়া হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি । এই চিঠিতে রাজ্যপালের স্পেশাল সেক্রেটারি কুমারজীব চক্রবর্তী তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিবেক কুমারকে লিখেছেন, “রাজ্যপালের মনে হয়েছে এই বিজ্ঞাপনে রাজ্যের শাসকদলের রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল । যাতে সরকারি তহবিলের ব্যবহার হয়েছে । এই বিষয়ে রাজ্যপালকে অনেকেই তাদের বক্তব্য জানিয়েছেন । অনেকেই রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছেন । রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার ওই বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে তিনি সক্রিয় হন । পরে আদালতের নির্দেশে বিজ্ঞাপন বন্ধ করা হয়েছে ।"
রাজ্যপালের নির্দেশে তার সচিব সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর । জানতে চাওয়া হয়েছে, এই বিজ্ঞাপনকে অনুমোদন করেছিল? TV-তে তে কোন তারিখ থেকে কত তারিখ পর্যন্ত এই বিজ্ঞাপন চলেছিল? এর জন্য কত টাকা দেওয়া হয়েছে কিংবা কত টাকা দেওয়া হবে? এই বিজ্ঞাপনের বর্তমান অবস্থা কী? এই চিঠির কোন উত্তর দেওয়া হয়েছে কি না নবান্নের তরফ সে কথা বলতে চাওয়া হয়নি । রাজভবনের প্রচার সচিব মানব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি ।