কলকাতা, 17 মে : মঙ্গলবার জঙ্গলমহলের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ত দফতরের কাজের কড়া সমালোচনা করলেও সরকারি কাজে পূর্ত দফতরকে অস্বীকার করার মত জায়গা নেই । সবচেয়ে বড় কথা প্রায় প্রত্যেক দফতরকে একাধিক কাজের জন্য পূর্ত দফরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন যতই হাওড়া ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাষ্ট এবং এইচআরবিসি ইঞ্জিনিয়ারদের উপর বাড়তি ভরসা দেখিয়ে পূর্ত দফতরের কড়া সমালোচনা করুন, বাস্তব হচ্ছে পূর্ত দফতরের গুরুত্ব অপরিসীম । বিশেষ করে ডিপিআর বা ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্টের জন্য এই বিভাগের গুরুত্বই আলাদা ।
নবান্ন সূত্রে খবর, এমন বহু দফতর যাদের নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নেই তাদের সাহায্যের জন্য আলাদা করে ডিপিআর সেল তৈরি করছে পূর্ত দফতর (Public Works Department of Bengal Govt is creating DPR cell) ।পূর্ত দফতরের এক কর্তার কথায়,খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, উদ্যানপালন, মৎস্য, ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র, কৃষি বিপণন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং সেটআপ নেই । এমন কিছু বিভাগ কখনও কখনও ডিপিআর তৈরির জন্য বহুজাতিক সংস্থার উপর নির্ভর করে । বহু ক্ষেত্রে তাদের দিয়ে কাজ করাতে গিয়ে সরকারের প্রকল্পের খরচ বেড়ে যায় । এখন পূর্ত দফতর ডিপিএল তৈরি করায় বাইরের থেকে আর এজেন্সির সাহায্য দফতরগুলিকে নিতে হবে না । এই সেলটি পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ারের (হেডকোয়ার্টার) নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে ।
আরও পড়ুন : মেট্রো ডেয়ারি মামলার শুনানি শেষ, রায়দান স্থগিত
নবান্ন সূত্রে যতটুকু জানা গিয়েছে, নতুন এই ডিপিআর সেলে থাকছে একজন সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, দু'জন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, পাঁচজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, পাঁচজন জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার, চারজন সার্ভেয়ার, 1 জন ইলেকট্রিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, 1 জন জুনিয়ার ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, একজন এক্সিকিউটিভ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট আর্কিটেক্ট । মূলত এই ডিপিআর সেল দফতরের হয়ে সার্ভে যেমন করবে তেমনি ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করবে, সম্ভাব্য খরচও নির্ধারণ করবে । এই ডিপিআর সেলের অফিস তৈরি করা হয়েছে আলিপুরের ভবানী ভবনে ।